সিএনবাংলা ডেস্ক :: কুকুর দেখলে বানরকে দৌড়ে পালাতে দেখা যায় হরহামেশা। ব্যতিক্রম দেখা গেল খাগড়াছড়ির পানছড়িতে। বানর-কুকুরের সখ্য দেখতে পানছড়ির ঝর্ণাটিলায় প্রতিদিন ছুটে আসে অসংখ্য দর্শনার্থী। এদের বন্ধুত্বের বাঁধন দেখে তৃপ্তির ঢেঁকুর নিয়ে ফেরে অসংখ্য মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পানছড়ি-মাটিরাঙ্গা উপজেলার সীমান্তবর্তী ঝর্ণাটিলায় নানা জাতের ফলদ ও বনজ বাগান সাজিয়েছেন রেজাউল করিম ও আবদুল খালেক। তাঁদের বাগানের পরিচর্যা করেন মো. হারুণ-অর-রশিদ নামের এক ব্যক্তি। একটি কালো কুকুর এই বাগানের পাহারাদার।
হারুণ-অর-রশিদ জানায়, লিচু, বরই, কলা ও বিভিন্ন ফলে প্রায়ই উপদ্রব চালায় বানর। মাস সাতেক আগে বানরের একটি বাচ্চা বাগানে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর বাড়ির সবার চেষ্টায় বানরের বাচ্চাটি সুস্থ হয়ে ওঠে। তখন থেকে বানরটি পরিবারের সদস্যের মতো বেড়ে উঠতে থাকে। এরই মধ্যে বাগানের পাহারাদার কালো কুকুরটির সঙ্গে গড়ে ওঠে বানরের বাচ্চাটির সখ্য। এদের সঙ্গে আছে গৃহপালিত প্রায় ২০-২৫টি মুরগি।
বাড়ির সদস্য জুয়েল ও সোহেল জানায়, বানর, কুকুর ও বাড়ির পালিত মোরগ-মুরগি একসঙ্গে পুরো বাড়ি চষে বেড়ায়। বিস্কুট, ভাতসহ নানা খাবার এরা একসঙ্গে খায়।
পানছড়ি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ভাস্কর তালুকদার জানান, কুকুর-বানরের সখ্যের কথা সাধারণত শোনা যায় না। বিরল সম্পর্কের কথা জানা গেল পানছড়িত
সিএনবাংলা/জীবন