নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মারুফ আহমদ। বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার দাপুনিয়া বাজার। লেখাপড়া করছেন মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ১ম বর্ষে। বর্তমানে সিলেট শহরস্থ কুমারপাড়ায় বাস করা মারুফ তার সৃজনশীল প্রতিভা দিয়ে ইতোমধ্যে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন সর্বমহলে।
করোনাকালীন লকডাউনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুবাধে মারুফ চাকরি নেন নগরীর নয়াসড়কস্থ মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে। বর্তমানে তিনি সেখানকার ফার্মেসীতে ফার্মাসী এসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত আছেন।
কাজের ফাঁকে অবসর সময়ে তিনি নিজের ইচ্ছানুযায়ী তার সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ঘটান। ওষুধের পরিত্যাক্ত কার্টুন দিয়ে বিভিন্ন স্থাপনার বাহিরের অবয়ব হুবহু ফুটিয়ে তোলার অসাধারন প্রতিভা তিনি ধারন করেন। ইতোমধ্যে নিজ কর্মস্থল মাউন্ট এডোরার প্রতিকৃতি সহ আরো অনেক প্রতিকৃতি হুবহু ডিজাইন করে তিনি বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
কাগজ দিয়ে তৈরী নান্দনিক সৃষ্টির অভিযাত্রী মারুফ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ডিজাইনের অবয়ব সুনিপুনভাবে তুলে ধরেছেন তার কাগুজে শিল্পকর্মে। নিজ হাতে তৈরী তার এই অসাধারণ শিল্পকর্মটি তিনি বিগত ২২ জুন মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নগরপিতা আরিফুল হক চৌধুরী কে তা উপহার প্রদান করেন। মেয়র তার এই সৃষ্টিকর্মের ভূয়সী প্রশংসা করে তার উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনা করে তাকে অনুপ্রাণিত করেন।
মেয়র মারুফের এ শিল্পকর্মটিকে তার অনন্য প্রতিভার আলোকরশ্মি হিসেবে উল্লেখ করেন। জন্মগত দৃষ্ঠি প্রতিবন্ধী মারুফের এ সৃজনশীল শিল্পকর্মটি তৈরী করতে ৫ দিন সময় লেগেছে বলে জানা যায়। সময় ও অর্থের টানাপোড়ন প্রতিভাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে নি। পিতৃহীন মারুফ হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে লেখাপড়ার পাশাপাশি চাকুরী করে পরিবারের আর্থিক চাহিদা মেটাতে নিরলস কাজ করছেন।মায়ের স্নেহ-মমতা আর সমাজের শিক্ষানুরাগী দানশীল ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় কিশোর মারুফ উৎসাহ ও প্রেরণা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
মারুফ তার এই অনবদ্য সৃষ্টিকর্মগুলো সংরক্ষণ ও প্রচার করতে একটি ইউটিউব চ্যানেলও চালু করেছেন। Maruf Craft নামের সেই চ্যানেলে তিনি তার হাতে তৈরী সৃজনশীল কর্মগুলোর ভিডিও আপলোড করে থাকেন।
নিজের প্রতিভা বিকাশে সকলের সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা প্রত্যাশি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ুয়া এ মেধাবী শিক্ষার্থীর।