জানা যায়- সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলায় নিখোজের ২দিন পর এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের নাম ডালিম আহমদ (২২), সে উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের ঘাটেরচটি গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রাতে বাড়ীতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোজাখুজি শুরু করে। নিকট আত্মীয় স্বজন কর্মস্থল সহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোজ নিয়ে কোন রকম সন্ধান না পেয়ে তার বাবা বাচ্চু মিয়া জৈন্তাপুর মডেল থানায় ৬ মার্চ একটি সাধারণ ডায়রী করেন। ৭ মার্চ সোমবার বিকাল ৩টায় ঘাটেরচটি এলাকার একটি মৎস্য খামারের পানিতে ডালিমের ভাসমান লাশ পাওয়া যায়। এব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম দস্তগীর আহমদ জানান- নিহত ডালিমের গলায় দড়ি পেচানো ছিল, প্রাথমিক আলামতে মনে হচ্ছে কেউ তাকে হত্যা করে মৎস্য খামারে ফেলে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাৎক্ষনিক ডালিমের স্ত্রী, শশুর ও শালাকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে- সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে পানিতে ডুবে সুমাইয়া বেগম (৮) ও নাহিদা বেগম (৬) নামের একই পরিবারের দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুুপুরে উপজেলার ছৈলা-আফজালাবাদ ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রাম সংলগ্ন বটেরখাল নদীতে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। তারা দু’বোন কৃষ্ণনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ওই গ্রামের নজরুল ইসলামের কন্যা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে কৃষ্ণনগর সকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায় দ্বিতীয় শ্রেনির শিক্ষার্থী বাক প্রতিবন্ধি সুমাইয়া বেগম (৮) ও প্রথম শ্রেনির শিক্ষার্থী নাহিদা বেগম (৬)। বিদ্যালয় ছুটি শেষে বাড়িতে ফিরে তারা পার্শ্ববর্তী বটেরখাল নদীতে গোসলে করতে গেলে পানিতে তলিয়ে যায়। ঘটনার পর স্থানীয়রা ওই বটেরখাল নদী থেকে শিশু দু’টির লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ছাতক থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহিন আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ছুটি শেষে বাড়িতে যাওয়ার পর গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছে তারা। ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও জানা যায়- সিলেট মহানগরীর কুমারগাঁওয়ের আব্দুল বারির ছেলে লাহিন আহমদ (২৫) এবং অপরজন বিশ্বনাথ উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর ধর্মদা গ্রামের কনাই মিয়ার ছেলে শিপন মিয়ার ওরফে শিপু মিয়া (৩০) আত্মহত্যা করেছে। কুমারগাঁওয়ে বাসার ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই যুবক এলাকার আব্দুল বারির ছেলে। নাম লাহিন আহমদ । সোমবার বিকেল ৪টার দিকে তার লাশ বাসার ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তার পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার এসআই নিহারেন্দ। তিনি আরও জানান, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে বর্তমানে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় লাশের গলায় রশির দাগ ছিল বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
অপরদিকে- সিলেট জেলার বিশ্বনাথে গলায় ফাঁস দিয়ে অপর এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর ধর্মদা গ্রামের কনাই মিয়ার ছেলে ঐ যুবকের নাম শিপন মিয়ার ওরফে শিপু মিয়া। বাড়ির পাশ্ববর্তী নির্জন এলাকার রেন্টি গাছ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তার মৃতদেহ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে রাতের কোন এক সময় গলায় রশি পেঁচিয়ে গাছের সাথে ফাঁস নেন শিপু মিয়া। শিপুর পিতা কনাই মিয়া সাংবাদিকদের জানান, ছয় ছেলের মধ্যে শিপু সবার বড়। সন্ধ্যায় খাবার-দাবার শেষে বাড়ির থেকে বের হয়ে রাতে আর ঘরে ফিরেনি। পরদিন সকাল ৭টায় লোকমুখে শুনতে পেয়ে গ্রামের উত্তরের ফুটবলের মাঠের পাশ্ববর্তী বশির মিয়ার পুকুর পাড়ে গাছের সাথে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। তবে, তার আত্মহননের প্রকৃত কারণ জানাতে পারেননি তিনি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের ওসি (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, ভিকটিমের মৃতদেহ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোটের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
