আবদুল কাদির জীবন : সুনামগঞ্জের ছাতকে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাতক থানায় একটি ধর্ষণচেষ্টার মামলা হয়েছে। মামলার আসামী মাওলানা তৈমুছ আলীর বড় ছেলে তানবীর আহমদ (১৮) কে উলুরগাঁও গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে ছাতক থানা পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (১১ মে ২০২১) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন শুক্রবার দুপুরে শিশুটিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগ ওঠা যুবকের বয়স ১৮ বছর। তার বাড়িও ছাতক উপজেলার একই গ্রামে। ভিকটিম ও অভিযুক্ত তানবীর পরস্পর প্রতিবেশী।
শিশুটির মা বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার সকালে মেয়েকে বাড়িতে রেখে পাশের বাড়ি আমি আমার বাপের বাড়িতে বেড়াতে যাই। তখন আমার মেয়ে বাড়িতে একা একা খেলছিল । সে সময় প্রতিবেশী মাওলার তৈমুছ আলীর বড় ছেলে পাষান্ড তানবীর আহমদ গোসল করানোর কথা বলে মেয়েকে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে।’
সন্ধার দিকে বাড়িতে এলে মেয়ে আমাকে বলে, ‘…তাকে ব্যথা দিছে। তবে সে কিছুই গুছিয়ে বলতে পারছিল না। পরদিন আমরা মেয়েকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করি।’
ছাতক থানার দায়ীত্বরত কর্মকর্তা এসআই আতিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি ‘ডেইলি সিএন বাংলা’কে জানান, ‘ শিশুর শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে ভিকটিমের পিতা থানায় মামলা দাখিল করলে আমরা সাথে সাথে অভিযুক্ত তানবীর আহমদকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করেছি। এখন জেল হাজতে আছে। তবে ভিকটিম এবং অভিযুক্তের বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় তারা বিষয়টা মিমাংশার চেষ্টা করছে।’
মিমাংশার জন্য কে চেষ্টা চালিয়েছে ভিকটিম না অভিযুক্ত? এমন প্রশ্ন করলে, তিনি (এসআই) কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।’