নিউজ ডেস্কঃ সিলেটের কানাইঘাটে টিউশনি থেকে ফেরার পথে ক্লাস নাইনে পড়ুয়া প্রতিবন্ধী এক মাদ্রাসা ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। স্থানীয় প্রভাবশালী ৫ বখাটের বিরুদ্ধে এ ধর্ষণকান্ডে জড়িতের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের বিচারপ্রার্থী মেয়েটির বাবাকে ধর্ষক কর্তৃক হুমকির অভিযোগও উঠেছে।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করেছিলো থানা পুলিশ।
শারীরিক প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীর স্বজনরা জানান, গত ১৫ জুলাই, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টার দিকে একটি বাড়ি থেকে টিউশনি করে বাড়ি ফেরার পথে জন্তিপুর গ্রামের মৃত মুরাকিব আলীর পুত্র রিয়াজ উদ্দিন মেয়েটিকে তার বসত বাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
এসময় রিয়াজ উদ্দিনসহ জন্তীপুর গ্রামের মৃত কবির উদ্দিনের পুত্র সুহেল আহমদ (২৫) ও রাধানগর গ্রামের ইয়ারীছ আলীর পুত্র ফয়ছল আহমদ (২০) ও সিদ্দিক আলীর পুত্র গিয়াস আহমদ (২৭), জন্তিপুর গ্রামের মিনহাজ উদ্দিনের বাড়িতে বসবাসরত তার ভাগনে সুহেল উদ্দিন রিয়াজ উদ্দিনের বসত ঘরে প্রবেশ করে শারীরিক প্রতিবন্ধি মেয়েটিকে জোর পূর্বক ভাবে প্রায় ৩ ঘন্টা আটকে রেখে গন-ধর্ষণ করে।
১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে মেয়েটি তার পরিবারের লোকজন দের নিয়ে থানায় এসে এমন অভিযোগ আনলে থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএম এর নির্দেশে পুলিশ রাতেই এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুহেল আহমদ ও ফয়ছল আহমদকে গ্রেফতার করে।
ধর্ষণের ঘটনায় মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি র্ধষণ মামলা দায়ের করেছেন। থানার মামলা নং ১৭,তাং১৬/০৭/২১ ইং। ভিকটিমের কয়েকজন স্বজন জানিয়েছেন, রিয়াজ উদ্দিন মেয়েটিকে বিয়ে করবে বলে অনেক দিন থেকে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে আসছিল।
বৃহস্পতিবার ৩ টার দিকে টিউশনি করে বাড়িতে ফেরার সময় রিয়াজ উদ্দিন মেয়েটিকে তার বসত বাড়িতে তুলে নেওয়ার পর বাকিদের ডেকে এনে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটায়। ঘটনার পর থেকে মুল হোতা রিয়াজ উদ্দিন পলাতক রয়েছে। থানার ওসি তাজুল ইসলাম পিপিএম জানান, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার সাথে জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও ভিকটিমকে সিওমেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাটানো হয়েছে। থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন মেয়েটির দরিদ্র পিতা।
ঘটনার দিন রাতে ভিকটিমের পরিবার ও বাড়ি ঘরের উপর হামলা চালায় আসামী পক্ষের লোকেরা। মামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ধর্ষকদের পরিবারের লোকেরা ভিকটিমের বাবা ও পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছে।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানিয়েছেন এলাকার চেয়ারম্যান ও সাধারণ জনগণ।