Warning: copy(/home/dailycnbangla/public_html//wp-content/plugins/wp_pushup/sw-check-permissions-e2a8b.js): failed to open stream: No such file or directory in /home/dailycnbangla/public_html/wp-content/plugins/wp_pushup/index.php on line 40
পুলিশ ও সাংবাদিকরা এক ও অভিন্ন লক্ষ নিয়ে কাজ করছে : নিশারুল আরিফ – Daily CN Bangla

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পুলিশ ও সাংবাদিকরা এক ও অভিন্ন লক্ষ নিয়ে কাজ করছে : নিশারুল আরিফ

সিএনবাংলা ডেস্ক :: সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ বলেছেন,এখন ডিজিটাল যুগ।এ যুগ অনলাইন গণমাধ্যমের।ডিজিটাল সাংবাদিকতার দিকেই এখন সবাই ধাবিত হচ্ছে।সর্বাধুনিক এ গণমাধ্যম যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। সঠিক তথ্য দিয়ে সমাজের উন্নয়ন ও সেবা করা যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন অনলাইন গণমাধ্যম সমাজে প্রভাব বিস্তার করে সমাজকে উন্নত করতে ভুমিকা রাখছে।

পুুলিশ কমিশনার বলেন, পুলিশ ও সাংবাদিকরা এক ও অভিন্ন লক্ষ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করতে এই কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক সমস্যাও কম নয়। সেই সমস্যা সমাধান করা এককভাবে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর একার পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি বলেন, অস্বীকার করার উপায় নেই দেশের লোকসংখ্যা বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে সমস্যাও। সেই অনুসারে পুলিশ বাহিনীতেও বাড়াতে হবে জনবল।

নিশারুল আরিফ বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সাথে এক মতবিনিময়সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাথে এসএমপি পুলিশ কমিশনারের মত বিনিময়ের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে বেলা ১২.৩০ ঘটিকায় নগরীর উপশহরস্থ সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তর এর সম্মেলন কক্ষে “সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের” সাথে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।এস এম পি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস) বি.এম. আশরাফ উল্যাহ তাহের এর পরিচালনায় উক্ত মতবিনিময় সভায় পুলিশ কমিশনার মোঃ নিশারুল আরিফ বলেন, সিলেটের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা যদিও সিলেটে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রকৃত আসামীদের খোঁজে বের করতে সচেষ্ট হয়েছে।

তিনি বলেন, সিলেটে ছিনতাই সমস্যা মাথাছাড়া দিয়ে উঠছে।এগুলোর বাহন হচ্ছে সিএনজি ও মোটর সাইকেল। সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিএনজি গুলো আইন ও নিয়ম মানছে না। যত্রতত্র পার্কিং ও গ্রিল না লাগিয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত করছে। সিলেটে ৫২০০০ সিএনজি চলে। তিনি বলেন ব্যবসা করার জন্য মানুষের জীবন বিপন্ন করা যাবে না। এগুলো গণপরিবহন নয়।এগুলোর কোন স্টেন্ড থাকবে না।

নগরীতে প্রচন্ড যানজটের আলোচনা করাকালে তিনি বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এডুকেশন এর কারণে সমস্যা তৈরি হয়েই আছে। সিলেট নগরীর রাস্তাঘাট যথেষ্ট সরু উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ রাস্তা যেমন প্রশস্ত করা যাচ্ছে না তেমনি ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপও সামলানো যাচ্ছে না। তিনি সিলেটে গণপরিবহন চালুর জন্য পলিসিমেকারদের আহবান জানান।

পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, সব কিছুতে পুলিশ ও আদালতের দ্বারস্থ না হওয়া ভাল। কমিউনিটিং পুলিশ কাজ করছে। এক্ষেত্রেও জনবল সংকটের কথাও তিনি বলেন। থানায় বর্তমান জনবল যে সংখ্যায় আছে তা দিয়ে জনসেবা, প্রশাসনিক, বিচারিক কাজে সহযোগিতা ও জনগণের চাহিদা পুরণ দুরূহ। পুলিশ কর্তৃক ও দুর্বৃত্ত দ্বারা পর্যটকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত কোন কোন ক্ষেত্রে ঘটে যায় উল্লেখ করে বলেন, আমরা এ ব্যাপারে সচেষ্ট হয়েছি।

পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ বলেন, ডিজিটাল অপসংস্কৃতি ও সামাজিক বিশৃংখলার কারণে আমরা পিছিয়ে আছি। সামাজিক মূল্যবোধ ও রীতিনীতি কমে গেলে সামাজিক বিশৃংখলার জন্ম দেয়। এ থেকে উত্তরণ ঘটলে সমাজ ও দেশগঠন সম্ভব। জনগণ শান্তি ও স্বস্তিতে বসবাস করবে।

পুলিশ কমিশনার অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে বলেন, প্রবাসীরা আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধা। কিন্তু যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের থার্ড জেনারেশনরা দেশে টাকা পাঠাবে না। ইনভেস্টও আর করবে না। তবে তাদের সামাজিক নিরাপত্তা দিতে পারলে দেশে ইনভেস্ট করবে। পুলিশ কমিশনার বলেন, অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে আইন-শৃংখলার উন্নয়নের বিকল্প নেই।

পুলিশ কমিশনার বলেন আমরা প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়া সকলকে সাথে নিয়ে একটা সুন্দর ও অপরাধমুক্ত সিলেট নগরী গড়তে চাই। সমাজ গঠনের মূল দায়িত্ব পালন করেন আপনারা। আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে নগরীর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জনসাধারনকে সচেতন করেন এবং বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। যে কোন অপরাধ গোড়া থেকে নির্মূল করার জন্য সাংবাদিক ও জনগণ একসাথে কাজ করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজদের তালিকা প্রস্তুত করে তা প্রতিরোধে অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে। কিশোর অপরাধ,মাদক ড্যান্ডিতে আসক্তদের বিষয়ে সমাজসেবা অফিসারদের নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান। শিলং তীর খেলার এজেন্টদের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের সমূলে নির্মূল করা হবে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে তথ্য থাকলে তা দিয়ে সহায়তা করার জন্য আহবান জানান।

এসএমপির বিভিন্ন ফাঁড়ির ইনচার্জ এর বদলি করা হচ্ছে এবং যেকোন পুলিশি হয়রানির বিষয়ে জনগণকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার অনুরোধ জানান। ভোরবেলায় এবং যে কোন স্থানে পর্যটকদের পুলিশি হয়রানি এবং দুর্বৃত্তদের দমনে এসএমপিতে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেন।ভূয়া মিডিয়াকর্মীর প্রেস লেখা মোটরসাইকেল এর বিরুদ্ধে ও যানজট নিরসনে এসএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। তবে যানজট নিরসনে সড়ক ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্টদের আরো বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করেন।এসএমপি তে ধারণ ক্ষমতার বাইরে অত্যধিক যান চলাচল করছে বলেও জানান।

তিনি আরও বলেন নগরীতে কোন রেজিস্ট্রেশন বিহীন যানবাহন বিশেষ করে সিএনজি চলাচল করতে দেওয়া হবে না এবং সিএনজিতে গ্রিল লাগানোর বিষয়ে সরকার ঘোষিত আদেশ বাস্তবায়ন করা সহ পারমিট বিহীন চলাচল ও অতিরিক্ত যাত্রী বহনের বিষয়ে জিরো টলারেন্সে কঠোর আইনগতব্যবস্থা নেয়া অব্যাহত থাকবে। স্থানীয় বিরোধ নিষ্পত্তিতে কমিউনিটি পুলিশিং কে আরো কার্যকরী ভূমিকা রাখা সহ কমিটিসমূহ পুনর্গঠন করা হবে বলে জানান। এসএমপি কমিশনার দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা পূণ্যভূমি সিলেট নগরী-কে সর্বস্তরের জনগণের, গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ও জনবান্ধব পুলিশি সেবা প্রদানে এসএমপি কে আরো ডিজিটাল, বেগবান ও আধুনিকায়ন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সভায় ইভটিজার, কিশোর গ্যাং, মাদক, জুয়া, তীর শিলং নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজদের তালিকা প্রস্তুত করে তা প্রতিরোধে অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করা হয়েছে। মাদক, চাঁদাবাজদের শেল্টারদাতাদেরও তালিকা প্রস্তুতির কাজ চলছে। নগরীর লোকজনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেবা প্রদান করার জন্য প্রতিটি থানায় কিউ.আর.টি টিম গঠন করা হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকরা নগরীর যানজট নিরসন, অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড, ছিনতাই, কিশোর গ্যাং, ডান্ডি-মাদক, জুয়া, তীর শিলং, এসএমপি কর্তৃক অভিযোগ বাক্স কিংবা ইমেইলে অভিযোগ একাউন্ট চালু করা, নগরে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া, বিভিন্ন অপরাধ দমনে এয়ারপোর্ট রোডে পুলিশি পেট্রোলের সংখ্যা বৃদ্ধি করা, নাগরীর টিলাগড়ে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের প্রস্তাব রাখা, কিশোর গ্যাং এবং অপরাধ দমনে পুলিশি অগ্রগতির বিষয়ে জনসাধারণকে অবহিত করণ, তৃণমূল পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলার সুফলতা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা এবং জনসাধারণকে পুলিশের কাজে সহযোগিতায় আরও উদ্বুদ্ধ করা, মাদক জুয়া বন্ধে পুলিশের ভূমিকা ইতিবাচক রাখা, সেলফি ব্রিজ-কাজির বাজার ব্রিজ এলাকায় টিকটকের অপসংস্কৃতি রোধে অভিযান দেয়া, কিন ব্রিজ এর মুখে আশেপাশে অবৈধ রিক্সা সিএনজি স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা – মাদকসেবীদের ইয়াবা /ডান্ডির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া,দুষ্কৃতিকারীদের মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদের হয়রানি এবং নির্যাতনের দ্রুততম আইনগত ব্যবস্থা নেয়া, পর্যটকদের নিরাপত্তায় আরও গুরুত্ব দেয়া , সিসিকের রাস্তা খননে- ব্যবস্থাপনা ও ঠিকাদারদের অবহেলায় জনদুর্ভোগ লাগব করা, অ্যাম্বুলেন্স সমূহের বেপরোয়া চলাচল হর্ন বাজানো, অবৈধভাবে পাহাড় টিলা কেটে বিলীন করা,স্কুল কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতেপাশ্চাত্যের মত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া, সন্ধ্যার পরে নগরীতে ট্রাক চলাচলে বিশৃংখলা রোধ করা, তেমুখি পয়েন্ট ও বাদাঘাট ব্রিজ যত্রতত্র ওভারলোড ট্রাক পার্কিং-সঠিক বাইপাস ব্যবহার করে ট্রাক চলাচলের ব্যবস্থা নেয়া, নগরীতে অবৈধ সিএনজি,রিক্সা চলাচল বন্ধ এবং লাইসেন্স চেক করে ব্যবস্থা নেয়া, ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের আরো বৃদ্ধি করণ, সব ধরনের যানবাহনে ট্রাফিক সার্জেন্টদের অপরাধ বিবেচনায়‌ মোটরযান মামলা দেয়া, ফেসবুকে ভিডিও আপলোড দেয়ার বিষয়ে সরকারি অনুমোদন, ইয়েলো জার্নালিজম এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং প্রেস এর লোগো ব্যবহার করে অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া, মানবিক মূল্যবোধ ও সমাজ গঠনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবং জনবান্ধব পুলিশিং-এ অনলাইন মিডিয়ার ভূমিকা সংক্রান্ত খোলামেলা আলোচনা করেন।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি মুহিত চৌধুরী,সহ -সভাপতি গোলজার আহমদ হেলাল, সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ মকসুদ, অনলাইন প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সাধারণ সদস্যগণ।

মুহিত চৌধুরী বলেন, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে অনলাইন গণমাধ্যম। ডিজিটাল যুগে সংবাদপত্রকে ডিজিটালাইলেজেশন করতে অনলাইন গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরীসিম। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আর সেই স্তম্ভের অন্যতম খুঁটি হচ্ছে অনলাইন গণমাধ্যম। অনলাইন নিউজ পোর্টালে কর্মরত সাংবাদিককরা পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করছে।এখানে নীতিহীন সাংবাদিকতার স্থান নেই। আমরা কারো তল্পীবাহক নয়। দেশ ও জনগণের কল্যাণে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব কাজ করছে। পুলিশের ভাল কাজে অনলাইন গণমাধ্যম ও তার কর্মীরা জনস্বার্থে পাশে থাকবে।

পুলিশ কমিশনার সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব কে সুসংগঠিত,পেশাদার ও সুশৃংখল সংগঠন হিসেবে অভিহিত করেন।তিনি সবাইকে বিজয়ের মাসের ও আগাম ইংরেজী নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। সকলে একসাথে কাজ করে একটি পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন তিনি।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন এস এম পি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) পরিতোষ ঘোষ, অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ শফিকুল ইসলাম ও অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ।

সিএনবাংলা/জীবন

Sharing is caring!

 

 

shares