আহা,মিন্নি! আলোচিত সমালোচিত এক চরিত্র। স্মাট শিক্ষিতা সুন্দরী উর্বশী তরুণী। টানা টানা শরীর। মোহনীয় নজরকাড়া রুপের ঝলকানিতে কুপোকাত হয়েছে কতো তরুণ, কতো যুবক তার হিসেব কে রাখে।কতো স্বপ্ন ছিলো বেচারির। নিমিষেই আজ সবটুকুই অন্য রকম হয়ে গেলো, মাত্র একটা রায়ে।
বরগুনায় আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার রায় হয়েছে আজ। স্ত্রী মিন্নি সহ ৬ জনের ফাঁসির রায় দিয়েছে বরগুনা জজ আদালত।অন্যদের সাথে আজ থেকে মিন্নিকেও নির্বাসিত জীবন কাটাতে হবে কারাগারের ভয়ংকর সেলে। কেনো এমন হলো? এমন তো হওয়ার কথা ছিলোনা! বাঙালি মেয়ে বলে কথা! অন্য দশটি বধুর মতো তাকেও তো সংসার সন্তান সন্ততি নিয়ে জীবন কাটানোর কথা।
কারন তো অবশ্যই আছে।আদালত মিডিয়া ও তার নিজের জবানবন্দির সূত্র মতে,এক সাথে মিন্নির স্বামী ছিলো দুইজন।একজন প্রকাশ্য আরেকজন গোপনীয়।ইসলামী শরিয়াহ মতো এই পদ্ধতির কি কোন বৈধতা আছে? একজন বৈধ স্বামী রেখে আরেকজনের সাথে অসম প্রেম পরকিয়া ও শারীরিক সম্পর্ক! এটা কি গ্রহণ যোগ্য? তাই যদি না হয়, ধর্মীয় প্রচলিত আইন ও নৈতিকতার মানদণ্ডে প্রথমেই মিন্নি একজন অপরাধী। দ্বিতীয় তো, স্বামী রিফাত হত্যার সাথে তার যোগসূত্র ।সব দিক বিবেচনায় ধরে নেওয়া যায় সেও একজন। অপরাধী।
একজন মিন্নির আজকের এই অবস্থা অতি আধুনিকতা ও ফ্রি স্টাইল বেপরোয়া জীবন-যাপনের নির্মম পরিনিতি।এখান থেকে সকল নারীর শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন কি নেই? মিন্নি কারো মেয়ে কারো বোন কারো স্ত্রী।আমাদের মেয়ে আমাদের বোন আমাদের স্ত্রীরা যেনো এ পথে পা না বাড়ায়! সমাজ চিত্রে আরো কোন মিন্নিকে দেখতে চাইনা আমরা।এতে পুরুষ অভিভাবকরা যেনো সক্রিয় মনযোগী হন তাদের দায়িত্ব পালনে!!
লেখকঃ কাজী নাজমুল ইসলাম
সিএনবাংলা/ পিএ