জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: আজ ৩১ আগস্ট সোমবার ১৯৭১ সালের এই দিনে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের শ্রীরামসী গ্রামে ১২৬ জন বাঙালিকে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় এলাকায় শান্তি স্থাপনের কথা বলে এলাকার লোকজনকে নৌকা যোগে শ্রীরামসি হাইস্কুল মাঠে একত্রিত করা হয়। এরপর পাকিস্তানি সেনারা একজন করে বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে ঢুকিয়ে ফেলে। পরে ১০/১২ জনকে একত্রিত করে হাত-পা বেঁধে বিদ্যালয়ের নিকটস্থ রসুলপুরের হিরণ মিয়ার বাড়ির পুকুর পারে নিয়ে যায়। সেখানে সবাইকে
লাইন ধরিয়ে র্নিবিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়।পরে সকলের মরদেহ পুকুরের পানিতে ফেল দেয়া হয়।
নিহতদের মধ্যে ছাত্র, শিক্ষক, সরকারী র্কমচারী, যুবক, সাধারণ গ্রামবাসী ও বেড়াতে আসা স্বজনরাও ছিলেন। পাকিস্তানি সেনারা এ হত্যাকাণ্ডের পরপরই শ্রীরামসি গ্রামে ঢুকে গ্রামের প্রায় ২৫০টি ঘরবাড়ী আগুনে পুডি়য়ে দেয়।ভীত মানুষজন গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেলে দাফনের অভাবে লাশগুলো কুকুর শেয়াল টানা হেঁচড়া করে। ঘটনার ৪/৫দিন
পর কয়েকজন লোক গ্রামে ফিরে লাশগুলো দাফনের ব্যবস্থা করে। এরপর দেশ স্বাধীন হয়েছে।আর এই স্বাধীনতার পর থেকেই দিনটিতে শ্রীরামসি গ্রামবাসী শহীদের স্মরণে আঞ্চলিক শোক দিবস পালন করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার( ৩০ আগষ্ট) এলাকাবাসীর আয়োজনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে শোকসভার
আয়োজন করা হয়েছে।
সিএনবাংলা /শোভন