সিলেটের ১৩টি ইউনিটে স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি অনুমোদন দিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
দলের ত্যাগী, সাহসী এবং প্রকৃত জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী নেতৃবৃন্দকে বঞ্চিত করে সুবিধাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
গত ২ ফেব্রুয়ারি বুধবার কেন্দ্র থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলের সিলেটের যে ১৩টি ইউনিট কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে, এর মধ্যে ৯টি কমিটি নিয়ে সাংগঠনিক টিম প্রদানরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কমিটি গঠনের পর সিলেট সদর উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা ঝাড়ু মিছিল দিয়েছেন।
নেতাকর্মীরা জানান সাংগঠনিক কমিটি মতামত উপেক্ষা করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা ও পৌর, বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌর, সিলেট সদর, জকিগঞ্জ উপজেলা ও পৌর, দক্ষিণ সুরমা ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা কমিটি ঘোষণা দেয়। দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে যারা মামলা হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কারাগারের নির্যাতন বুকে নিয়ে এখনো রাজনীতির ময়দান চষে বেড়াচ্ছেন তাদের বাদ দিয়ে একপেশী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এটি দলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিভিন্ন ইউনিট কমিটি গঠন নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্ষুব্ধ যুগ্ম আহ্বায়কদের এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিলেটের অমিমাংসিত ৯টি উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠন ও অনুমোদন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
সিলেট সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ঝাড়ু মিছিলের পর এবার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নবগঠিত কমিটির সদস্যরা। নবগঠিত ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মধ্যে ২৩ জন একত্রিত হয়ে তারা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মিফতাহুল কবীর মিফতার অনুরোধে তারা আপাতত পদত্যাগ থেকে সরে আসেন। মিফতাহুল কবীর মিফতা নেতৃবৃন্দের আশ্বাস দেন যে দক্ষিণ সুরমার বিষয়টা তিনি ফোনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের অবগত করছেন এবং আগামী এক সাপ্তাহর ভিতরে কেন্দ্র থেকে এর একটি সমাধান আসবে বলে উপস্থিত নেতৃবৃন্দদের আশ্বাস প্রদান করেন।