অব্যাহত মিথ্যাচার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা বিএনপির লক্ষ্য উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিজেরা ক্ষমতায় থাকাকালে দেশকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল। এখন শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমে ঈর্ষান্বিত হয়ে দুর্নীতির গন্ধ খুঁজে বেড়ায়। তিনি বলেন, বিএনপি তাদের শাসনামলে দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্ক তিলক দেশকে পরিয়েছিল, যা জনগণ এখনো ভুলে যায়নি।
যারা হাওয়া ভবন নামের খাওয়া ভবন তৈরি করে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল, তাদের মেগা প্রকল্প দেখলে মনোযন্ত্রণা হওয়াই স্বাভাবিক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতি–অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ নীতি স্পষ্ট ও কঠোর। যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে নিজ দলের নেতাকর্মীদেরও ছাড় দেওয়া হয়নি। অপর দিকে বিএনপি দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা, গঠনতন্ত্র থেকে দুর্নীতিবাজদের অযোগ্যতাবিষয়ক ধারা বাতিল করে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজদের দল হিসেবে নিজেদের স্বীকৃতি দিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন, ‘সাহস থাকলে আপনাদের গঠনতন্ত্রে দুর্নীতিবিরোধী ৭ ধারা ফিরিয়ে আনুন। একদিকে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে অন্যদিকে কল্পিত অভিযোগ করাকে জনগণ নৈতিকতাবিরোধী বলেই মনে করে।’
শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অদম্য গতিতে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সড়ক অবকাঠামো খাতে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, টানেলসহ যে কটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে, সেখানে কোনো দুর্নীতি হলে কাল্পনিক অভিযোগ না করে সুস্পষ্ট প্রমাণ দিন। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিন, কোথায় দুর্নীতি হয়েছে?’
সিএনবাংলা/রেজাউল করিম