নিউজ ডেস্ক: করোনা বাড়ায় মঙ্গলবার (২২ জুন) ভোর থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ঢাকার সঙ্গে সাত জেলার যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (২১ জুন) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জরুরি বৈঠকে এ ঘোষণা দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
যে ৭ জেলায় লকডাউন দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ।
এই ৭ জেলায় কী কী বন্ধ থাকবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সবকিছু বন্ধ থাকবে। মানুষও যাতায়াত করতে পারবে না। মালবাহী ট্রাক এবং অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কিছু চলবে না। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জেলাগুলো ব্লকড থাকবে, কেউ ঢুকতে পারবে না।’
এছাড়া এর বাইরে যদি কোনো জেলা লকডাউন দেওয়ার প্রয়োজন মনে করে, তাহলে জেলা প্রশাসন থেকে লকডাউন দিতে পারবে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতি বিস্তাররোধে দেশে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়ে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়।
গত ১৬ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এ বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয়।চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার।
পরে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল ঈদ পর্যন্ত বন্ধ ছিল।
পরে ২৪ মে থেকে গণপরিবহন চলার অনুমতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো আসন সংখ্যার অর্ধেক বসিয়ে খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।
এ ছাড়া বিধিনিষেধে আগে থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া ছিল। এ ছাড়া জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া যথারীতি অফিস সীমিত পরিসরে চলছে। আর সীমিত পরিসরে হচ্ছে ব্যাংকের লেনদেন।
সবশেষ রোববার (২০ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৮২ জন মারা গেছেন। এই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও তিন হাজার ৬৪১ জন।