Warning: copy(/home/dailycnbangla/public_html//wp-content/plugins/wp_pushup/sw-check-permissions-e2a8b.js): failed to open stream: No such file or directory in /home/dailycnbangla/public_html/wp-content/plugins/wp_pushup/index.php on line 40
সোনার দাম কি কমবে? – Daily CN Bangla

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সোনার দাম কি কমবে?

সি এন বাংলা ডেস্ক:  ভারতের বাজারে পরপর তিন দিন কমেছে সোনার দাম। আরও কিছুদিন দেশটিতে সোনার দাম কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের পত্রিকা খালিজ টাইমস রবিবার (১৩ জুন) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অচিরেই বিশ্ববাজারে সোনার দাম ব্যাপক বাড়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি অপ্রত্যাশিত রূপ নেওয়ায় আগামী কয়েক মাসে সোনার দাম বাড়তে পারে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ফোর্বসের তথ্য বলছে, গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। মে মাসে দেশটির মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ শতাংশ, যা কিনা ২০০৮ সালের আগস্টের পর সর্বোচ্চ। ২০০৮ সালের ওই মাসে দেশটির মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫ দশমিক ৪ শতাংশ।

এদিকে বাংলাদেশের সোনা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের বাজারে যেহেতু সোনার দাম কমেছে, সেহেতু বাংলাদেশের বাজারে সোনার দাম আপাতত বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘আপাতত সোনার দাম বাড়বে না বলেই মনে হচ্ছে।’ তার মতে, কিছুদিনের মধ্যে সোনার দাম কমতে পারে। তবে সেটা নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক বাজারের পরিস্থিতির ওপরে।

বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ায় গত মে মাসে দেশের বাজারে দুই দফায় ভরিতে সোনার দাম ৪ হাজার ৩৭৪ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। ওই সময় সোনার দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বাজুস জানায়, করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট ও নানা জটিল সমীকরণে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়েছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বন্ধ থাকা, আমদানিতে শুল্ক জটিলতা (উপকরণ কর রেয়াত) এবং নানা ধরনের দাফতরিক জটিলতায় ব্যবসায়ীরা সোনার বার আমদানি করতে পারছেন না।

দেশে বাজারে সর্বশেষ গত ২৩ মে থেকে সোনার নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, বর্তমানে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনা ৭৩ হাজার ৪৮৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের সোনা ৭০ হাজার ৩৩৩, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৬১ হাজার ৫৮৪ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৫১ হাজার ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ বাংলাদেশে যখন সোনার দাম বাড়ানো হয়, তখন বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ১৮৮১ ডলার। বাংলাদেশে এর আগে গত ১০ মে ভরিতে সোনার দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়ানো হয়। ফলে মে মাসে দুই দফায় ভরিতে সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ৪ হাজার ৩৭৪ টাকা।

বিশ্ববাজারের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, করোনাভাইরাস মহামারির প্রকোপ শুরু হলে গত বছরের শুরু থেকেই বিশ্ববাজারে সোনার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। দফায় দফায় দাম বেড়ে প্রতি আউন্স সোনার দাম রেকর্ড পরিমাণ ২ হাজার ৭৪ ডলারে উঠে যায়। আগস্টে দামের কিছুটা পতন হয়। অবশ্য ডিসেম্বরের শেষার্ধে ও চলতি বছরের জানুয়ারিতে আবারও বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়ে যায়। এতে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়ে ১৯৫০ ডলারে উঠে যায়। যদিও তা খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ববাজারে সোনার দাম ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে যায়। ফেব্রুয়ারির পতনের ধারা মার্চ মাসের শুরুতেও দেখা যায়। মার্চের প্রথম সপ্তাহে বিশ্ববাজারে সোনার দাম কমে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

বিশ্ববাজারে বড় পতন হওয়ায় মার্চ মাসে দু’দফায় দেশের বাজারে সোনার দাম কমায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি। এর মধ্যে ১০ মার্চ ভরিতে সোনার দাম কমানো হয় ২ হাজার ৪১ টাকা। তার আগে ৩ মার্চ ভরিতে সোনার দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা কমানো হয়।

বাজুসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার গহনার দাম ২ হাজার ৪১ টাকা বাড়িয়ে ৭৩ হাজার ৪৮৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের ৭০ হাজার ৩৩৩, ১৮ ক্যারেটের ৬১ হাজার ৫৮৪ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার গহনা ৫১ হাজার ৬২ টাকায় বিক্রি হবে।

গত ১০ মে থেকে দাম বেড়ে ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার গহনা ৭১ হাজার ৪৪৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের ৬৮ হাজার ২৯৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৫৯ হাজার ৫৪৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি গহনা ৪৯ হাজার ২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জানা গেছে, ভারতের বাজারে ২২ ক্যারেট সোনার ১০ গ্রামের দাম ৪৮ হাজার ৪৮০ ভারতীয় রুপি। ২৪ ক্যারেট সোনার ১০ গ্রামের দাম ৫১ হাজার ১৮০ রুপি। অবশ্য

খালিজ টাইমসের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তা পর্যায়ে সোনার দাম প্রতিদিনই ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ফলে দেশটির সোনা খাত ১৩ বছরের মধ্যে রেকর্ড সর্বোচ্চ বার্ষিক দরবৃদ্ধি দেখতে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশটিতে গত মে মাসে ভোক্তা পর্যায়ের সূচকে (সিপিআই) সোনার মূল্য বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। এর আগে এপ্রিলে এ সূচক বৃদ্ধির হার ছিল শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ, যা ২০০৯ সালের জুনের পর সর্বোচ্চ। দুবাই গোল্ড অ্যান্ড জুয়েলারি গ্রুপের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ক্যারেট সোনার প্রতি গ্রাম বিক্রি হয়েছে ২২৭ দশমিক ৫ দিরহামে। ২২ ক্যারেট ২১৩ দশমিক ৭৫ দিরহামে, ২১ ক্যারেট ২০৪ দিরহামে এবং ১৮ ক্যারেট ১৭৪ দশমিক ৭৫ দিরহামে বিক্রি হয়। চাহিদা বাড়ায় সে সময় সোনার দাম সর্বোচ্চ চূড়ায় ওঠে। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম) স্পট গোল্ড ২ হাজার ৬৩ ডলার পর্যন্ত বিক্রি হয়। পরে অবশ্য দাম কমে যায়।

Sharing is caring!

 

 

shares