Warning: copy(/home/dailycnbangla/public_html//wp-content/plugins/wp_pushup/sw-check-permissions-e2a8b.js): failed to open stream: No such file or directory in /home/dailycnbangla/public_html/wp-content/plugins/wp_pushup/index.php on line 40
জামায়াতের টাকা ফিরত দিলো সিলেট প্রেসক্লাব – Daily CN Bangla

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জামায়াতের টাকা ফিরত দিলো সিলেট প্রেসক্লাব

স্টাফ রিপোর্টার: মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা গ্রহন করে আবার ফিরত দিয়েছে সিলেট প্রেসক্লাব।

রোববার (৯ মে) সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ও সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলী সিলেট প্রেসক্লাবে এসে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সিলেটে কর্মরত করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ সাংবাদিকের জন্য আর্থিক অনুদান হিসেবে এই টাকা সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকীর হাতে তোলে দেন।

পরবর্তীতে এই অনুদানের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। জামায়াতও এটি ‘গণমাধ্যমকমীদের জন্য সিলেট মহানগর জামায়াতের আর্থিক অনুদান’ শিরোনামে তাদের ফেইসবুক পেইজে প্রকাশ করে।

সিলেটের অন্য আরো দুটি প্রেসক্লাব(সিলেট জেলা প্রেসক্লাব ও সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব)কে বাদ দিয়ে শুধু মাত্র সিলেট প্রেসক্লাবের সদস্যদের জামায়াত কেন বার বার আর্থিক সহায়তা দেয় এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। তাই প্রচন্ড চাপে পড়ে সিলেট প্রেসক্লাব।

ফলে বাধ্য হয়ে তারা জামায়াতের টাকা ফিরত দেয় এবং জামায়াতের নিন্দা করে একটি বিবৃতি দেয়। বিবৃতিটি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু ও ক্লাবের সদস্য মোহাম্মদ এনামুল হকের ফেইসবুকে প্রকাশ হলে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়।

বিবৃতিটি ছিলো এরকম:
‘জামায়াতের অপপ্রচারের নিন্দা সিলেট প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের’

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সিলেটে কর্মরত করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ সাংবাদিকের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিলেট মহানগরের নেতৃবৃন্দ যে অপপ্রচার চালিয়েছেন এর নিন্দা জানিয়েছেন সিলেট প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ।
সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ মো. রেনু
এক বিবৃতিতে বলেন, গত রোববার (৯ মে) সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ও সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলী সিলেট প্রেরসক্লাবে আসেন। তারা প্রেসক্লাব সভাপতিকে জামায়াতের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য গত বছর তাদের সুবিধাভোগীদের নামের একটি তালিকা প্রদান করেন। তালিকায় থাকা ২৫ জনের প্রত্যেককে ২০০০/- টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকা প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকীর মাধ্যমে বিতরণের অনুরোধ করলে সরল মনে তা গ্রহণ করেন ক্লাব সভাপতি।
কিন্তু পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইনে ‘সিলেটে কর্মরত করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ সাংবাদিকের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়’ দাবি করে বিষয়টি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে লিপ্ত হন জামায়াত নেতৃবৃন্দ। তাদের এমন অপপ্রচারে শরিক হয় কেউ কেউ। জামায়াতের এই সুদূরপ্রসারী অপতত্পরতা অনুধাবন করে তাত্ক্ষণিকভাবে তাদের অনুদানের টাকা ফেরত দেয়ার কথা বললে তারা টাকা ফেরত নিয়ে যান। এ নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির সুযোগ নেই।
সিলেটের শতবর্ষের সাংবাদিকতার স্মারক প্রতিষ্ঠান সিলেট প্রেসক্লাবকে নিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিতে তারা সিলেট প্রেসক্লাব নিয়ে অপপ্রচার থেকে বিরত থাকা এবং সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে প্রদত্ত বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য জামায়াত নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।
একই সঙ্গে সিলেট প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ এ ধরণের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য ক্লাব সদস্য, শুভাকাঙ্খিসহ সকলের প্রতি আহবান জানান।

এই বিবৃতি প্রচার হবার সাথে সাথে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তারা তখন নানা ভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কমেন্ট করেন।
কেউ বলেন- মানুষ যেখানে ৫ কেজি চাল দিয়ে ছবি ফেইসবুকে দেয়, নিউজ করাতে চায় সেখানে জামায়াত ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কেন তা প্রকাশ করতে পারবেনা। জামায়াত গত বছরও সিলেট প্রেসক্লাবের ২৫ জন সদস্য আর্থিক অনুদান দিয়েছে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা সংবাদ পত্রে প্রকাশ হয়নি। এবারও তারা সেই ২৫ জনের তালিকা মত বিতরণ করতে বলেছে। তখন সভাপতি এ টাকা গ্রহন না করলেও পারতেন। তিনি নাকি সরল বিশ্বাসে গ্রহন করেছেন এবং ফটো সেশনও করেছেন।

Md Mohiuddin Faisol লিখেছেন-
‘প্রেসক্লাব কি কারো অনুদান নেয় না?
অনুদান নিলেন আবার প্রকাশ করায় ফেরত দিলেন এ কেমন কথা?’

আহমেদ সফির লিখেছেন-
‘তাদের বক্তব্য তারা স্বীকার করলেন যে গত বছর ২৫ জন সাংবাদিককে জামায়াত সহযোগীতা করেছিল সে ধারাবাহিকতায় এবারও তাদের ২০০০ টাকা করে অনুদান তারা গ্রহণ করেছেন।গোপনে টাকা গ্রহণ আরাম কিন্তু মিডিয়ায় প্রকাশ করলে তা হারাম’

আবু নেহা লিখেছেন-
‘প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের জন্য বিষয়টি অবশ্যই স্পর্শকাতর।জবাবদিহিতার জায়গায় তারা আটকে যাবেন।তবে জামায়াত নেতৃবৃন্দের …

Emdadul Islam Emran লিখেছেন-
প্রথমে সরল মনে গ্রহণ করলেও পরে মন বক্র হওয়ার কারন কী????

Kazi Md Jamal Uddin লিখেছেন-
‘সরল মনে গ্রহন করা ঠিক হয়নি। তবে সরল মনে কথাটি ভাল লেগেছে। নিউজ হওয়ায় গরল হয়ে গেল। গোপন থাকা ভাল ছিল।
আজকাল তো কাউকে মিষ্টি একটা দিলেও নিউজ হয়। সমস্যা অন্য জায়গায়,
সেটা হলো সবাই জাইন্না গেছে। আর আপনারা নিন্দা দিয়া আরো জানাইয়া দিলেন।’

অনুক্ত কামরুল লিখেছেন-
‘ গত বছর তাদের সুবিধাভোগী’ শব্দের যথেষ্ট ব্যাখা দরকার। এরা ২৫ জন কি প্রেসক্লাবের সদস্য? আর গত বছর মানে ২০২০ সাল। এখন একুশ। তাহলে কি আপনাদের মেয়াদেই আগেও পেয়েছেন আরো । বিষয়টি ক্লিয়ার করা হলে ভাল।’

Obaidullah Bin F Rahman লিখেছেন-
‘অনুক্ত কামরুল আগে খাইলা তে এখন নাজায়েজ অইল কিলা !!!’

DrHussain Ahmad লিখেছেন-
‘অনুক্ত কামরুল গত বছরের টা তো মিডিয়ায় আসেনি তাই ……???’
Kabir Sohel তার নিজের ফেইসবুকে স্টেটাস দিয়েছেন
‘জামায়াতের তোহফাঃ সরলমনে গ্রহন বনাম অপপ্রচারের নিন্দা’
‘সরলমনে’ গ্রহণ,ফটোসেশান। একদিন পরেই বলছেন
” অপপ্রচার” করছেন “নিন্দা “। আরো বলছেন ২৫ জন ” সুবিধাভোগী”। গতবছর ও পেয়েছেন। সাহস করে তালিকা প্রকাশ করুন। জাতি কী এত বোকা? জামায়াত নেতারা কেমনে কোন মাধ্যমে কার লিংকে সভাপতির দর্শন লাভ, আশীর্বাদ গ্রহন এবং তোহফা দিয়ে আসলেন? তথ্য আমরাও পেয়ে গেছি। দিনে প্রগতিশীল রাতে জামায়াত কানেকশন কাদের? তাদেরও মুখোশ উন্মোচন সময়ের দাবী। আসছে…….

শামসুল বাসিত শেরো লিখেছেন-
‘বুঝিনাই অপপ্রচার কোনটা৷’

Nazrul Islam লিখেছেন-
‘একা একা খেতে চাও দরজা বন্ধ করে খাও। দরজা খুলে দেওয়ায় সমস‍্যাটা হইছে মনে হয়।’

মুহাম্মাদ মুহিব আলী লিখেছেন-
‘বক্তব্য পরিস্কার নয়। তবে অপরিপক্ষতা স্পষ্ট।’

রাজীব রাসেল লিখেছেন-
সিলেট প্রেসক্লাবে তাদের লোকজন আছে এটা স্পষ্ট। তারা কেমনে আছে সেটা স্পষ্ট না। সব যেদিন স্পষ্ট হবে, সেদিন আর এসব ‘অপপ্রচারের’ সুযোগ থাকবে না। কাজেই, স্পষ্ট করা দরকার।

Mohammad Anamul Hoque লিখেছেন
এর মানে গতবছরও জামায়াত টাকা দিয়েছিল বেনিফিশিয়ারী ২৫ জন মহাশয় সাংবাদিককে। আমরাওতো ক্লাবের নগন‍্য সদস্য আমরা কিছুই জানিনা। তাহলে কোন সেই ২৫ জন যাদেরকে গতবারও জামায়াত টাকা দিয়েছে এবারও তালিকা নিয়ে সভাপতি মাধ‍্যমে দিতে এসেছে। এই সুবিধাভোগীরা কি ক্লাবের সদস্য? আমাদের ক্লাব নিয়ে একোন খেলা চলছে?

এভাবে নানা জন নানাভাবে তাদের মতামত তোলে ধরেছেন।
পর্যবেক্ষক মহল এখানে জামায়াতের কোন দোষ খুজে পাচ্ছেন না । তারা বলছেন জামায়াত কোন লুকোচুরি করেনি। তারা স্পস্ট এসে বলেছে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সিলেটে কর্মরত করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ তাদের পছন্দের সাংবাদিকের জন্য আর্থিক অনুদান হিসেবে তারা এই টাকা দিতে চায়। তারা সিলেট প্রেসক্লাবের সদস্য ২৫ জনের একটি তালিকাও ক্লাবের সভাপতির কাছে দেয়। সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি বুঝেশুনে কৃতজ্ঞচিত্রে তা গ্রহন করেন। এখানে সরল বিশ্বাসের কোন অবকাশ নেই।

জানা গেছে,বিগত ১২ বছর থেকে অলিখিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সিলেটের প্রেস কমিউনিটি জামায়াতকে উপেক্ষা করে চলেছে। এমনকি প্রেসক্লাবের বিভিন্ন প্রোগ্রামে জামায়াত নেতাদের আমন্ত্রণেও সীমাবদ্ধতা আছে। এছাড়া সাধারণত কোন রাজনৈতিক দলের বা নেতার কোন অনুদান প্রেসক্লাবে গ্রহণে বিধি নিষেধ আছে বলে জানা যায়।এবার সিলেটের শতবর্ষের সাংবাদিকতার স্মারক দাবীদার  সিলেট প্রেসক্লাবের জামায়াতের অনুদান গ্রহণ করায় সচেতনমহলসহ সংবাদকর্মীরা ক্ষুব্ধ ও মনোক্ষুণ্ণ হয়েছেন।সিলেট প্রেসক্লাব কর্তৃক অনুদানের টাকা সচেতনভাবে গ্রহণ করা এবং জামায়াত উৎফুল্ল হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বঙ্গবিজয়ের মতো ঢোল পিটিয়ে অতিরঞ্জিতভাবে জানান দেয়া কোনটাই ভাল চোখে দেখছেন না সাধারণ মানুষ।সোস্যাল মিডিয়ায় জামায়াত কর্মীদের অতিরিক্ত খুশী ও প্রচারে বিব্রতকর পরিস্থিতির তৈরী হয় বলে জানা যায়।

Sharing is caring!

 

 

shares