জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নে কুশিয়ারা ব্রীজের নিচে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা
কোকাকোলার সাথে ঔষধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে টমটম নিয়ে যাওয়ার পথে জনতা হাতে অজ্ঞান পার্টির এক
সদস্য আটক হয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ আটক অবস্থায় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা থানায় নিয়ে যায়।
প্রতক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রবিবার (১৬ আগষ্ট) সন্ধার দিকে ঢাকা-সুনামগঞ্জ রোডে কুশিয়ারা ব্রীজের
নিচে টমটম ড্রাইভারকে কোকাকোলার সাথে ঔধষ মিশিয়ে অজ্ঞানকরে টমটম নিয়ে যাওয়ার পথে জনতার হাতে
আটক হয়। পরে স্থানীয়রা রানীগঞ্জ বাজারে একটি দোকানে অজ্ঞান পার্টির সদস্যকে আটক করে রাখেন।
আটককৃত অজ্ঞান পার্টির সদস্য হল উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ঘোষগাঁও গ্রামের সামসুল হকের ছেলে শাকিল। অজ্ঞান পার্টির সদস্যকে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দিলে থানার এসআই রফিক আহমদের
নেতৃত্বে এএসআই ভোলানাথ সহ একদল পুলিশ অজ্ঞান পার্টির সদস্যকে থানায় নিয়ে যায়। জনতার দাওয়া খেয়েঅজ্ঞান পার্টির আরো দুই সদস্য পালিয়ে যায়।
অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়া টমটম ড্রাইভার বলেন, ৩টা লোক আমাকে নতুন ব্রীজে বেড়াতে বলে নিয়ে আসে।পথের মধ্যে আমাকের কোকাকোলার সাথে ঔষধ মিশিয়ে অচেতন করে ফেলে। সামান্য জ্ঞান থাকায় প্রাণে বেঁচে গেছি। যদি আমাকে স্থানীয়রা উদ্ধার না করতো আমাকে তারা প্রাণে মেরে ফেলতো।
আটককৃত অজ্ঞান পার্টির সদস্য শাকিল বলে, আমাদের গ্রামের তছর আলীর ছেলে তামিম ও আনাই মিয়া ছেলেরাহি আজ আমাকে সংগ্রহ করছে। আমার কাছে তারা ৫শত টাকা পাইতো এজন্য আনছে। তারা টমটম গাড়ী চুরিকরবে বলে নিয়ে আসে। রানীগঞ্জ ব্রীজের পাশে ড্রাইভারকে অজ্ঞান করে টমটম নিয়ে যাবে বলে। পরে আমাকে রেখে তারা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার এসআই রফিক আহমদ জানান, রবিবার সন্ধা রাতে টমটম চুর জনতা আটক
করেছে খবর পেয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসি। আজ সোমবার তাকে সুনামগঞ্জে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্য আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সিএনবাংলা/ মান্না