আবদুল কাদির জীবনঃ শান্তিতে নোবেল জয়ী মাদার তেরেসা বলেছিলেন, ‘কেবল সেবা নয়, মানুষকে দাও তোমার হৃদয়। হৃদয়হীন সেবা নয়, তারা চায় তোমার অন্তরের স্পর্শ ‘।
যুবকরা চাইলে দেশকে নতুন করে গড়তে পারে। তারা চাইলে সৃষ্টি করতে পারে নতুন পথ ও পদ্ধতি। আজকের যুবকরাই দেশ সমাজ ও মানুষের কল্যাণের অনেক কাজ করছে। এলাকার সবধরনের দূর্যোগ মোকাবেলায় যুবকরাই নেয় প্রথম সাহসী উদ্যোগ। আজকে আপনারা জানবেন এমনি একজন সাহসী তরুনের গল্প।যিনি এই করোনাভাইরাস এবং বন্যা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়ে কুড়িয়েছেন অনেক সম্মান। এই তরুণ সবসময় তার অন্তরের স্পর্শ দিয়ে বুকে আগলে রাখেন গরীব-দুঃখীদের ।
এই তরুণ যুবক হলেন বাংলাদেশের আধ্যাতিক নগরী সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার একজন
উদীয়মান তরুণ সমাজ সেবক, মোঃ রুবেল মিয়া। তিনি সমাজ সেবায় আত্মনিয়োগ করে সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে উঠেছেন।
এলাকার চা টেবিল থেকে শুরু করে সর্বত্রই এখন আলোচনা এই তরুন সমাজসেবককে নিয়ে। নিজের জবের টাকা ও ব্যবসার প্রতিষ্ঠানের আয়ের অর্থ দিয়ে তিনি সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে কাজ করে যাচ্ছেন অবধারিত।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ৬নং পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও গ্রামের পশ্চিম পাড়ার (৭নংওয়ার্ড) বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সাবেক দুইবারের সফল মেম্বার শাবান্নুর রহমানের ছেলে মোঃ রুবেল মিয়া। বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ডের লন্ডন শহরে পরিবারের সাথে বসবাস করছেন। এই তরুন সমাজ সেবক ছেলেবেলা থেকেই ছিলেন পরোপকারী। প্রতীবেশীর দুঃখ-দূর্দশা দেখে তার মন কেঁদে উঠতো। তিনি সবসময় ভাবতেন প্রতিবেশী অসহায় মানুষদের নিয়ে। নিজের খাবার একজন ক্ষুধার্ত মানুষের হাতে তুলে দিয়ে তিনি তৃপ্তি পেতেন। এজন্য অবশ্য ছেলে বেলায় মা-বাবার অনেক বকুনি খেতে হয়েছে তাকে। ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ার পর তিনি সংকল্প করেন। সাধারণ মানুষের সেবা করার। তাই ব্যবসায়ের প্রতিদিনের লাভের টাকার অর্ধেক জমা রাখেন সাধারণ মানুষের সেবায় বিলিয়ে দেবার জন্য।
তরুন এই সমাজ সেবক নিজ এলাকার কল্যাণে এবং যেকোনো দূর্যোগ মোকাবিলায় গরীব, দুঃখি, এবং অসহায় মানুষের পাশে থাকেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে দেশ, সমাজ ও মানুষের কল্যাণে পাশে দাঁড়ানো চিত্র –
১. ২০২০ সালে বর্তমান মহামারী করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) কালে তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বীরগাঁও সমাজকল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে এলাকার প্রায় ১০০ জন দরিদ্রদের মধ্যে ত্রান বিতরণ (ত্রান বিতরণের মধ্যে ছিল-চাল, ডাল, পেয়াজ, আলু, সাবান ইত্যাদি) করছেন।
২.২০২০ সালে বীরগাঁও সমাজকল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বই, খাতা-কলম, ও শিক্ষাসামগ্রিক বিতরণ
৩. ২০২০ সালের দফায় দফায় বন্যায় কবলিত ৩০০ জন দরিদ্র মানুষের মাঝে বীরগাঁও সমাজকল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে শুকনো খাবার (চীরা, মুড়ি, গুর, ইত্যাদি) বিতরণ করেছেন।
৫. ২০২০ সালের বন্যায় কবলিত মানুষের কল্যাণের জন্য ৪০টি বাঁশ দিয়ে সাকু নির্মানে সহযোগিতা করেছেন।
৪. ২০১৯ সালের ঈদুল আজহায় ইউনিয়নের দরিদ্রদেরর মাঝে প্রায় ২০০জনকে শাড়ি এবং লুঙ্গি বিতরণ করেন।
৪. ২০১৯ সালে খালপার মিনি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট একসেট জার্সি ও একটি টিভির দাতা ছিলেন রুবেল মিয়া
৫. ২০১৯ সালে এস এস সি ও দাখিল কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনায় পূর্ব বীরগাঁও স্টুডেন্ট ফোরামের মাধ্যমে ৩০টি ক্রেস্টের দাতা ছিলেন রুবেল মিয়া।
তাছাড়া, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে ত্রান বিতরণ, গরীব দুঃখি মেহনতী মানুষের সমস্যা সমাধানে ভুমিকা রাখছেন। এছাও বিদ্যালয়ের মেধাবী ও অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠ্যবই কিনে দেওয়া, নিজ খরচে ডাক্তার দিয়ে এলাকার দরিদ্র মানুষের চিকিৎসাসেবা, প্রাকৃতিক দূর্যোগের পূর্বাভাষে সামর্থ অনুযায়ী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন এই তরুন সমাজসেবক।
এ ব্যাপারে তরুন সমাজ সেবক রুবেল মিয়ার সাথে কলা হলে তিনি ডেইলি সিএন বাংলা কে বলেন- মানুষ আল্লাহর সৃষ্টির সের জীব। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)কে আমরা মানি অথচ তার পথকে অনুসরণ করিনা। আমাদের নবীও আটার বস্তা কাধে নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে খাদ্য বিলিয়ে বেড়াতেন। আমি তার অনুসারী হয়ে কেন মানুষের সেবায় এগিয়ে আসতে পারবো না। মহান আল্লাহ আজ যেটা আমাকে দিচ্ছেন তাহা আমার একার নয়। আমার প্রতিবেশী ও এলাকার মানুষও তার দাবীদার। আমি যে টাকা রুজি করি তার অর্ধেক টাকা গরীব-দু:খি মানুষের সেবায় ও এলাকার উন্নয়নে ব্যয় করে আসছি এবং ইনশাআল্লাহ করে যাবো। আমার দ্বারা যদি অন্যের কোন উপকার হয় বা আমি সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে পারি তাহাই হবে আমার পরপারের পাওয়া। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই আমার মূল লক্ষ।
রুবেল মিয়ার ১৯৯২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারী বীরগাঁও পশ্চিম পাড়ায় পিতা শাবান্নুর রহমান এবং মাতা আফিয়া বেগমের ঘর আলোকিত করে পৃথিবীতে আসেন। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে রুবেল মিয়া দ্বিতীয়। রুবেল মিয়ার ভাইবোন স্ব স্ব ক্ষেত্রে সবাই প্রতিষ্ঠিত।
রুবেল মিয়ার স্ত্রী রুমেনা জাহান রুমি এবং তাদের ঘর আলোকিত করা একবছরের ছেলে ইউসুফ মিয়া নিয়ে সোনার সংসার। বর্তমানে স্বপরিবারে লন্ডনে অবস্থান করছেন।
রুবেল মিয়া ছোট বেলা থেকেই বাংলাদেশের গণমানুষের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনৈতির সাথে যুক্ত।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বৈবাহিক সম্পর্কে আত্মীয়।
তরুণ উদীয়মান যুবসমাজের আইডল, মোঃ রুবেল মিয়ার ফেমিলীগত ভাবে আছে ঐতিহ্য। তার চাচা শাবাজুর রহমান ১৯৯০-২০০১ সাল পর্যন্ত বিপুল ভোটে বিজয়ী দুই দুই বারের সফল ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার ছিলেন। তারপর রুবেল মিয়ার পিতা শাবান্নুর রহমান ২০০১-২০১০ সাল পর্যন্ত জনগণের বিপুল ভোটে বিজয়ী দুই দুই বারের সফল ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার ছিলেন। তাছাড়া তার চাচাতো ভাই, সাবেক মেম্বার শাবাজুর রহমানের ছেলে মোঃ নুর কালাম বর্তমান ৬নং পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।এই ঐতিহ্যবাহী পরিবার থেকে রুবেল মিয়া আগামী ইউপি নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান হিসেবে আসাটা সবার জন্য আশাবাদী নিউজ হিসেবে দেখছেন এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এলাকার মানুষ অধিক আগ্রহ আছে যে, তরুণ সমাজ সেবক রুবেল মিয়া আগামী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হবেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়নের কল্যাণে কাজ করে এলাকার স্বনাম বয়ে আনবেন। ৬নং পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নকে একটি আদর্শবান মডেল হিসেবে রুপান্তরিত করবেন।
আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, তরুণ সমাজ সেবক রুবেল মিয়ার সম্পর্কে অত্র ইউনিয়নের বিশিষ্ট মুরুব্বি জনাব শাহাজুল ইসলাম তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘ডেইলি সি এন বাংলা’ কে বলেন, রুবেল মিয়া একজন তরুন সমাজসেবক এবং যুব সমাজের আইডল। সে তরুণ হলেও তার মনটা অনেক বড়ো। এলাকার যেকোনো সমস্যা সমাধানে থাকে কাছে পাওয়া যায়। এলাকার মানুষ তাদের নির্বাচিত করতে চায় যারা দেশ সমাজ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। আমি আশাবাদী, রুবেল মিয়ার কাজেরদিক বিবেচনায় সফলকাম হবে।