সিএনবাংলা ডেস্কঃ তথ্য ও প্রযুক্তির এই যুগে মানুষের অনেকটা সময় কাটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে এর অনেক খারাপ প্রভাবও রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়া। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ফলে মানুষ ধীরে ধীরে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।
সম্প্রতি ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ স্ক্রিন টাইম অ্যান্ড ডিপ্রেশন ইন অ্যাডোলেসেন্ট’ নামের একটি সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। কী কী কারণে এমনটা হয় এবং কীভাবে এই অবসাদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব তা ব্যাখ্যা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই সমীক্ষায় শরীর ও মনের যোগসূত্রের উপরে সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হয়েছে। শরীর অবসন্ন থাকলে তার প্রভাবে কাজে নানা ব্যাঘাত ঘটে, ফলে মানুষের মন অবসাদগ্রস্ত হয়।
ওই সমীক্ষায় বলা হয়, অনেক রাত পর্যন্ত সামাজিক মাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে সময় কাটানোর ফলে ব্যবহারকারীদের ঘুম কম হচ্ছে। এতে করে কাজে নানরকম ভুল-ভ্রান্তি হচ্ছে, মেজাজও ভাল থাকছে না।
সামাজিক মাধ্যমে সবাই নিজেকে অন্যের চেয়ে ভালো দেখাতে চায়। তাই অন্যদের ভালো থাকার পোস্ট ক্রমাগত দেখতে দেখতে মাথার মধ্যে গেঁথে যায়, ‘আমি ভাল নেই’। যা অবসাদকে বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও সামাজিক মাধ্যমে বেশি সময় দিলে বাস্তব জগতে মেলামেশা কমে যায়। এর ফলে মানুষ একা হয়ে যায়। এতে করেও মানসিক অবসাদ তৈরি হয়।
এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো সাইবার উপহাস- অনেক সময়েই ব্যক্তিবিশেষের কোনো লেখা বা ছবি নিয়ে অন্যদের উপহাস করতে দেখা যায়। এতে মনের উপরে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
বিশেষজ্ঞারা এই সমস্যাকে যেমন চিহ্নিত করেছেন, তেমনি কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায় তারও উপায় বাতলে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানান, নিজেকেই ঠিক করে নিতে হবে, সামাজিক মাধ্যমে দিনে কতটুকু সময় দেয়া যায়। সেখানেই সারাক্ষণ পড়ে থাকলে চলবে না! তারা আরো বলেন-
নোটিফিকেশন বন্ধ রাখা :
এক্ষেত্রে নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখাই ভালো। তাতে করে কে কখন কী করছেন নজরে আসবে না, বার বার সামাজিক মাধ্যম ঘেঁটে দেখতেও ইচ্ছে করবে না।
বাস্তবের সঙ্গে যোগাযোগ :
পরিবার আর কাছের বন্ধুদের সঙ্গে বেশি সময় কাটানোর সুবিধে দুই রকমের- মনটাও ভাল থাকবে আবার সামাজিক মাধ্যমে দেয়ার মতো সময়ও কমে আসবে!
সিএনবাংলা/সাকিল