Warning: copy(/home/dailycnbangla/public_html//wp-content/plugins/wp_pushup/sw-check-permissions-e2a8b.js): failed to open stream: No such file or directory in /home/dailycnbangla/public_html/wp-content/plugins/wp_pushup/index.php on line 40
দুর্গাপূজায় এসএমপির ২০ নির্দেশনা; মাস্ক ছাড়া ও রাত ৯ টার পর পূজামন্ডপে প্রবেশ নিষিদ্ধ – Daily CN Bangla

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দুর্গাপূজায় এসএমপির ২০ নির্দেশনা; মাস্ক ছাড়া ও রাত ৯ টার পর পূজামন্ডপে প্রবেশ নিষিদ্ধ

সিএনবাংলা ডেস্ক:: শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকার নগরবাসীর অবগতির জন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ।

মঙ্গলবার এসএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের গণমাধ্যমে এই গণবিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করেন।

করোনা পরিস্থিতিতে সস্মানিত সিলেটবাসীকে নিম্নোক্ত পরামর্শসমূহ অনুসরণের জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

১. পূজা মন্ডপের প্রবেশমুখে ভীড় নিয়ন্ত্রন করা এবং দর্শনার্থী আগমনে নিরুৎসাহিত করা। যে সকল মন্দিরে বিপুল সংখ্যক জনসমাগম ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে, সে সকল মন্দিরে জনসমাগম সীমিত রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। মন্ডপের চারদিকে বা উপরের অংশ উন্মুক্ত রাখা।

২. রাত ৯টার পর পূজামন্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা।

৩. পূজার লগ্ন ব্যতীত অপ্রয়োজনীয় সময়ে শুধুমাত্র পুরোহিত ও পূজা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্যান্যদের পূজামন্ডপে উপস্থিতি নিরুৎসাহিত করা। মন্ডপের ভিতরে একসঙ্গে ২০ জনের অধিক লোক অবস্থান না করা।

৪. স্বল্প জনসমাগম এবং কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গাপূজা উদযাপন করা। পূজা মন্ডপের প্রবেশ মূখে দৃশ্যমান স্থানে স্বাস্থ্যবিধি সম্বলিত ব্যানার টাঙ্গানোর জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

৫. মন্ডপগুলোতে আয়োজক কর্তৃক পূজামন্ডপসমূহের প্রবেশমুখে পুরুষ ও নারীর জন্য পৃথকভাবে হাত ধোয়া, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হাত ধোয়ার সাবান ও পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ও র্থামাল স্ক্যানারের মাধ্যমে তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা রাখা। প্রয়োজনে জীবানুনাশক অটো স্প্রে মেশিন বসানো।

৬. পূজামন্ডপে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ করা। পুরোহিত এবং উপস্থিত ভক্ত ও পূজারিগণ সকলেই মাস্ক পরিধান করবেন। মাস্ক ছাড়া কোনো দর্শনার্থী মন্ডপে আগমন করলে তাকে মাস্ক সরবরাহের ব্যবস্থা করা।

৭. দেশব্যাপী প্রতিমা ও পূজামন্ডপ তৈরির কাজ চলছে। প্রতিমা তৈরির সময় পূজামন্ডপগুলোতে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা।

৮. শারদীয় দুর্গাপূজা আয়োজক কর্তৃপক্ষকে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক/নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করে অনুষ্ঠানস্থলের সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষা ও অনাকাক্সিক্ষত ব্যক্তি/বস্তু সম্পর্কে সজাগ দৃষ্টি রাখা এবং নিরাপত্তাকর্মী/স্বেচ্ছাসেবকদের আলাদা পোশাক বা দৃশ্যমান পরিচয়পত্র ও ‘স্বেচ্ছাসেবক’ লিখিত আর্মড ব্যান্ড পরিহিত অবস্থায় থাকার জন্য অনুরোধ করা হল।

৯. পূজা উদযাপন কমিটি কর্তৃক পূজা মন্ডপে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান পথের ব্যবস্থা করা। নারী দর্শনার্থীদের দেহ তল্লাশীর জন্য পর্যাপ্ত নারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা এবং পূর্জা মন্ডপে Hand-held metal detector এর মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক কর্তৃক তল্লাশীর ব্যবস্থা করা।

১০. পূজা মন্ডপে ব্যাগ, থলে, পোটলা, সুটকেস, টিফিন ক্যারিয়ার বা এ জাতীয় কোন বস্তু বহনকে নিরুৎসাহিত করা। পূজা মন্ডপের আশেপাশে কোন ফেরিওয়ালা, বাদাম, চানাচুর বিক্রেতা বা ছদ্মবেশী কোন হকার, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি হতে সতর্ক থাকা।

১১. গুরুত্বপূর্ণ পূজামন্ডপ ও প্রতিমা বিসর্জনের স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসি টিভি স্থাপন/ভিডিও রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা করা।

১২. বড় বড় মন্দিরগুলো হতে পূজার মূল ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা যথা-‘লগ্ন অনুযায়ী পুরোহিত কর্তৃক পূজা সম্পাদন’ ‘আরতি’ ও ‘অঞ্জলি প্রদান’ অনুষ্ঠানসহ অবশ্য পালনীয় আচার-অনুষ্ঠানাদি ভার্চুয়ালি এবং বিটিভিসহ ২/৩টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এবং অনলাইন মাধ্যম ও ফেইসবুকে প্রচারের ব্যবস্থা করা যাতে ভক্তরা ঘরে বসে পূজা উদযাপন করতে পারে।

১৩. পূজা চলাকালীন আতশবাজী এবং পটকা ফুটানো হতে বিরত থাকা এবং পূজা উপলক্ষে কোন ধরণের মেলা এর আয়োজন না করা।

১৪. প্রসাদ তৈরি ও বিতরণ সীমিত পর্যায়ে করা। মাইক, বাদ্য যন্ত্রের ব্যবহার ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান পরিহার করা।

১৫. প্রতিটি পূজা মন্ডপে পূজা উদযাপন কমিটি কর্তৃক পর্যাপ্ত আলো, স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর/হ্যাজাক লাইট এবং প্রতিমা বিসর্জনের স্থানে মাইক ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। বিদ্যুৎ এবং পানি সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে পূজা কমিটি কর্তৃক পূর্বেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করা।

১৬. প্রতিমা বিসর্জনে যে কোন ধরণের শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা এবং স্থানীয় পর্যায়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে নিকটস্থ জলাধারে প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করা।

১৭. আযান ও নামাজের সময় মাইক ও বাদ্য-বাজনা বন্ধ রাখা।

১৮. পূজা মন্ডপ এলাকায় যানজট নিরসনকল্পে ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য প্রয়োজনীয় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা।

১৯. পূজা মন্ডপের পাশে অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রের ব্যবস্থা রাখা এবং প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের (০১৭৩০-৩৩৬৬৪৪) সাথে যোগাযোগ করা।

২০. দুর্গাপূজা উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন গোষ্ঠী/স্বার্থান্বেষীমহল উস্কানীমূলক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা চালানো বা যে কোন ধরনের গুজবের বিষয়ে তাৎক্ষনিকভাবে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য, সংশ্লিষ্ট থানা অথবা পুলিশ কন্ট্রোল রুমকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগঃ পুলিশ কমিশনার ০১৩২০০৬৭০০০, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদর)-০১৩২০০৬৭০০৩, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম)-০১৩২০০৬৭০০৪, ডিসি (উত্তর) ০১৩২০০৬৭৫৩০, ডিসি (দক্ষিণ) ০১৩২০০৬৭৬৫০, ডিসি (ট্রাফিক) ০১৩২০০৬৭৭৭০, ওসি, কোতয়ালি থানা-০১৩২০০৬৭৫৬৮, ওসি, জালালাবাদ থানা ০১৩২০০৬৭৫৯৪, ওসি, এয়ারপোর্ট থানা ০১৩২০০৬৭৬২০, ওসি, দক্ষিণ সুরমা থানা ০১৩২০০৬৭৬৮৮, ওসি, শাহপরাণ(র) থানা ০১৩২০০৬৭৭৪০, ওসি, মোগলাবাজার থানা ০১৩২০০৬৭৭১৪

পুলিশ কন্ট্রোল রুম (২৪ ঘন্টা খোলা): ০১৩২০০৬৯৯৯৮, ০১৯৯৫-১০০১০০ ও ০৮২১-৭১৬৯৬৮।

ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম ০৮২১-৭১৮০২৮, ডিবি কন্ট্রোল রুম ০৮২১-৭২০০৬৬ ও জাতীয় সেবা ৯৯৯।

সিলেট মহানগরী পুলিশ আইন-২০০৯ এর ধারা-১১১ এর প্রদত্ত ক্ষমতা বলে এই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় যা শারদীয় দুর্গাপূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

সিএনবাংলা/এনএএ

Sharing is caring!

 

 

shares