এক ভোরে পাখির সুরে ঘুম ভেঙে উঠবো
ভাববো, এটা স্বপ্ন নয়তো?
জঞ্জাল শহরে এ কোন পাখির সুরেলা মন্ত্র
পাখি তো কবেই হারিয়েছে তার অস্তিত্ব!
তাহলে কি এটা?
হাতে চিমটি কেটে দেখবো,নাহ সব ঠিকই আছে!
সবুজ বুকে আঘাত হেনে মানুষ বানিয়েছে নিকেতন
সেই আবাসের প্রবেশদ্বারে করেছে বৃক্ষরোপণ
হ্যাঁ, সব তো ঠিকই আছে!
আমি হণ্যে হয়ে খুঁজছি সেই সুরের মুকুট
অভিযোগ দিচ্ছে ছুঁড়ে কাঠগড়ায় সব মন্দ উঠুক
সুধাকুর ঘুমিয়ে গেছে সেই কবেতে সব শুনেই বেসুর!
বিচারি করবে কে সে, কেদারেতো স্বয়ং খাদুক!
পাখিটা মুক্ত আছে এই সুখেতেই বাজায় বাঁশি
নীড়েতে ফিরবে কি-না তাও অজানা কাজেই খুশি
ব্যবধান কমছে ভীষণ মানুষরূপী পশুর দলে
কবে হয় ফাঁদের বলি, সেই ভাবনায় মুচকি হাসে
জানে তার সুরের কলি পৌঁছবেনা ওই কর্ণকুরে
তবু সে দূঃখের বুলি করছে বিলি বধির ঘরে
বলে সে বন্ধ করো, মারছো কেনো কুড়াল ঘরে?
আঘাত তো পরবে বুকে অবশেষে নিজের নীড়ে।
কি? খুব ভীষণ গরম?
এটা তো তোমাদেরই ডেকে আনা নতুন অতিথি
তাই দিলাম না আর শরম।
এই বলেই পাখিটা উড়ে চলে গেলো
গন্তব্যে যাযাবর জীবন!