Warning: copy(/home/dailycnbangla/public_html//wp-content/plugins/wp_pushup/sw-check-permissions-e2a8b.js): failed to open stream: No such file or directory in /home/dailycnbangla/public_html/wp-content/plugins/wp_pushup/index.php on line 40
ওমানে ছাদ থেকে পড়ে প্রবাসী যুবকের মৃত্যু – Daily CN Bangla

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ওমানে ছাদ থেকে পড়ে প্রবাসী যুবকের মৃত্যু

সিএনবাংলা ডেস্ক :: মরুর দেশ ওমানের জালান বুহালি শহরে রাতের আাধারে চার তলা বিশিষ্ট ভবনের ছাদ থেকে পড়ে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে নোয়াখালী জেলার লিখনের।

জানা যায়, গত ১৭ই মার্চ স্থানীয় সময় রাত অনুমানিক ১টার দিকে ভবন থেকে নিচে পড়ে লিখন (৩০) নামের এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়। নিহত লিখন নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার বুড়ির চর ইউনিয়নের রেহানিয়া গ্রামের নুর আলমের একমাত্র ছেলে। নিহত লিখন ভাগ্যে বদলের আশায় গত ১০ বছর পৃর্ব প্রবাসে পাড়ি জমান।

লিখনের সহপাঠি সুহেল আলী জানান, লিখন খুব ভাল ছেলে ছিল। সে সবার সাথে ভাল ব্যবহার করত। তার হঠাং এমন মৃত্যু মোটেই মেনে নিতে পারছিনা। তার মৃত্যুতে পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছে। মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

এসময় তিনি জানান, নিহত লিখন করোনাকালীন সময় তার ৪ জন সহপাঠিকে নিয়ে ওমানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেছিলেন। ব্যবসায় লোকসান হওয়ার কারণে বর্তমানে সেটি বন্ধ করে দেন। দুই বছর পৃর্বে বিয়ে করে প্রবাসে আসা লিখন রমজানে দেশে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্ত হঠাং করে এমন মৃত্যু কষ্টকর।

পারিবারিক কোন সমস্যা ছিল কী না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, লিখনের পরিবারের সাথে ভাল সম্পর্ক ছিল। নিহতের স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে, তিনি জানান তার সাথে কোন বিবাদ ছিলনা। তাদের সাথে ভাল সম্পর্ক ছিল। প্রতিদিন তাদের মধ্যে কথা হত। স্বামীর মৃত্যুতে নিহতের স্ত্রী বারবার কেঁদে কেঁদে বলেন, আমাকে কথা দিয়েছিলেন আগামী রমজানের দেশে আসবেন। যদিও দেশে আসেন,তবে আামাদের সাথে আর কথা বলবেননা! লাশ হয়ে আাসবেন।

এদিকে, ওমানে নিহতের সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, এত রাতে লিখন একা ছাদে যাবে কেন। তারা এ বিষয় কিছু বলতে পারছেনা। সবার মনে একটি প্রশ্ন লিখন কী আত্মহত্যা করেছে, না কেউ শত্রুতা করে তাকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করেছে। রবিবার নিহতের কপিল হাসপাতালে আসবে। মর্গে পাঠানো হলে হয়তো জানা যাবে নিহত লিখন আত্মহত্যা করেছে না কি হত্যা করা হয়েছে।

নিহতের লাশ দেশে নেওয়া হবে কি এমর প্রশ্নের জবাবে তার পরিবার জানায়, কপিল হাসপাতালে আসার পর বলা যাবে। তবে তার বাবা-মা বলেন- অামার একমাত্র ছেলের মুখ শেষ বারের মত হলেও দেখতে চাই। আমরা চেষ্টা করব লাশ দেশে নিয়ে আসতে।

সিএনবাংলা/জীবন

Sharing is caring!

 

 

shares