আজ ১২ই নভেম্বর বিকেল চারটায় সিলেট শহরের সিটি পয়েন্টে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার আহবানে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার অতিরিক্ত আবেদন ফি বাতিল এবং ২য় বার পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যুগ্ম আহবায়ক পাপ্পু সরকারের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা সংসদের আহবায়ক মনীষা ওয়াহিদ। সমাবেশে সংহতি জানান সিলেট জেলা সংসদের সাবেক সংগ্রামী সভাপতি আমজাদ খান। সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছাত্রনেতা কে এম আব্দুল্লাহ আল নিশাত, রাহাত হাসান, সৈয়দ প্রিন্স প্রমুখ। বক্তারা বলেন, শিক্ষাব্যবস্থার মতো গোজামিল এই দেশের আর কোনো সেক্টরেই নাই। এই দেশের কৃষক-শ্রমিকের সন্তান গুচ্ছ পরীক্ষাপদ্ধতি নামক এই প্রহসনের চাপে হতাশার চরম সাগরে আজ নিমজ্জিত। এই প্রহসন বন্ধ করতে হবে।
সংহতি বক্তব্যে সাবেক সংগ্রামী সভাপতি আমজাদ খান বলেন, “ছাত্রজীবনে এই টাকা যার-শিক্ষা তার নীতির বিরুদ্ধে আমরা আমাদের জীবন বাজি রেখেছিলাম। আজ এত বছর পরও প্রবাস থেকে ফিরে দেখতে পাই এখনো এই দেশের শিক্ষার্থীরা আগের মতোই নিষ্পেষিত হচ্ছে। এই স্বৈরাচারী ব্যবস্থা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছি। আমার বিশ্বাস অতীতের মতো বর্তমানেও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকারের প্রশ্নে তার লড়াই অব্যাহত রাখবে এবং সফলতা অর্জন করবে”।
সভাপতির বক্তব্যে মনীষা ওয়াহিদ বলেন, “এই গুচ্ছ পদ্ধতির পরিকল্পনা এই বছর প্রথম হয় নাই। বছর বছর ভর্তি পরীক্ষার নামে যে অসম প্রহসনের শিকার হয় এদেশের শিক্ষার্থীরা তার অবসানের জন্য বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। প্রতিবছর বিভিন্ন নাটকের পর এই বছর গুচ্ছ্ পরীক্ষা শোনে আমরা একটু স্বস্তিবোধ করেছিলাম। কিন্তু এই স্বৈরাচারী সরকারের ‘টাকা যার – শিক্ষা তার’ নীতি আমাদের সেই স্বস্তিকে অবিলম্বে আতঙ্কে পরিণত করেছে। এই নাটক আমরা মানি না। এক টাকাও অতিরিক্ত ফি এদেশের ছাত্রসমাজ দিবে না। অবিলম্বে আমাদের দাবি মেনে নিতে হবে। নাহলে এই দাবি বাস্তবায়নে রাজপথের দখল নিতে আমাদের বেশি সময় লাগবে না”।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল সিলেট নগরীর বন্দরবাজার থেকে জিন্দাবাজার হয়ে চৌহাট্টা মোড়ে এসে এক সংক্ষিপ্ত পথসভার মাধ্যমে আজকের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটে।