সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধের গবেষক আল আজাদ বলেছেন সাংবাদিকতা মানুষের জন্য করতে হবে। সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তাদের লেখনীর মাধ্যমে সমাজের ত্রুটিগুলো জনসম্মুখে উন্মোচিত হয়।
সিলেট মেট্রপলিটন ইউনির্ভাসিটিতে স্বল্প মেয়াদী সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণের সনদপত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,আজকের শিক্ষা সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজে লাগাতে হবে। আমরা দীর্ঘ দিন যারা সাংবাদিকতা করেছি। নীতিমালা অনুসরণ করে করেছি। সাংবাদিকতা একটা দারুণ-অসাধারণ পেশা। হাতে অস্ত্র না তুলেও যে যুদ্ধ করা যায় তা সাংবাদিকরা দেখাতে পারে।
সাংবাদিকতা একটা মহৎ পেশা। যদি কোনো সাংবাদিক তার নিজ দায়িত্বের পথে অটল থেকে কাজ করে যায় তাহলে এর চেয়ে আর ভালো কাজ আর কিছু হতে পারে না। সরাসরি যুদ্ধে না নেমেও যুদ্ধে অংশ নিতে পারে একজন সাংবাদিক।
সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মুস্তাইন বিল্লাহর পরিচালনায় এবং আইন ও বিচার বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যান গাজী সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে,বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন মেট্রোপলিটন ইউনির্ভাসিটির উপ রেজিষ্টার কবি,লেখক ও গবেষক মিহির কান্তি চৌধুরী, প্রশাসন বিভাগের পরিচালক তারেক ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল আজাদ বলেন, সাংবাদিকতা করতে হলে সৎ থাকতে হবে চ্যালেনঞ্জ নিয়ে মাঠে ময়দানে থাকতে হবে। পেটে পাথর বাধতে হবে। তিনি বলেন,আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমান কে অনেক কাছ থেকে দেখেছি এবং তার মুখ থেকে আমি সর্বপ্রথম সাংবাদিক শব্দটি শুনেছি ।তিনি সাংবাদিকদের খুব ভালোবাসতেন,সাংবাদিকদের প্রতি ছিলেন আন্তরিক। এ সময় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় সাংবাদিকতা করার আহবান জানান । অনুষ্ঠান শেষে দশজন শিক্ষার্থীদের মাঝে সাংবাদিকতার সনদপত্র তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।