সিএনবাংলা ডেস্ক :: দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের জাল পাসপোর্ট ও ভিসা তৈরির কারবার করে আসছিলেন মাসুম আহমেদ নামে সিলেটের এক প্রতারক।
তিনি ইসরাইল, স্পেন, তুরস্ক, ক্যামেরুন এবং ইউরোপের বেশিরভাগ দেশের পাসপোর্ট ও ভিসা তৈরির মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের সাথে প্রতারণা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও র্যাবের অভিযানে ধরা পড়েছেন এই প্রতারক।
কানাইঘাট মনসুরিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আতাউর রহমানের ছেলে মাসুম আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট জালিয়াতি এবং মানব পাচার সহ প্রায় ১০ মিলিয়ন ইউরোপীয় ইউরো লেনদেনের মাধ্যমে ও মানি লন্ডারিং ও হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত।
মাসুমের গ্রামের বাড়ি গোয়াইনঘাট উপজেলার লাফনাউট এলাকার ধর্মগ্রামে। তারা স্বপরিবারে সিলেট নগরীর মেজরটিলা এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন বলে জানা গেছে। তবে তাকে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনএসআইয়ের সহযোগিতায় র্যাব কানাইঘাট থেকে আটক করেছে গত রোববার রাতে।
মাসুমের পিতা মাওলানা আতাউর রহমান কানাইঘাট মনসুরিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল। মাসুম এলাকার কারো সাথে উঠাবসা না থাকলেও তার প্রতারণার খবরে বিস্মিত এলাকাবাসীসহ স্বজনরা।
সূত্র জানায়, মাসুম স্পেনের একটি পাসপোর্ট তৈরিতে নেন দুই হাজার ইউরো। বাংলাদেশীদের পাশাপাশি বিদেশি নাগরিকদের বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট ও ভিসা তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করে দিতেন।
জার্মানি ও বুলগেরিয়া থেকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে গত মাসে ১ মিলিয়ন ইউরো গ্রহণ করেন মাসুম যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১০ কোটি টাকা। তিনি জার্মানি, নিউজিল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, রোমানিয়া, ইটালি, গ্রিস, মালয়েশিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে মানব পাচার করে আসছিলেন। নেপাল, দিল্লি, সৌদি আরব, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার রুট ব্যবহার করে তিনি ওইসব দেশে মানব পাচার করেন।
মাসুমের সহযোগীদের আটক করার জন্য দেশব্যাপী তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে এনএসআই ও র্যাব।
সিএনবাংলা/জীবন