Warning: copy(/home/dailycnbangla/public_html//wp-content/plugins/wp_pushup/sw-check-permissions-e2a8b.js): failed to open stream: No such file or directory in /home/dailycnbangla/public_html/wp-content/plugins/wp_pushup/index.php on line 40
কলাপাড়ায় মাত্র ২ মাইলে ৯ টি সাঁকো, বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন মানুষগুলোর দূর্বীসহ জীবন-যাত্রা – Daily CN Bangla

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কলাপাড়ায় মাত্র ২ মাইলে ৯ টি সাঁকো, বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন মানুষগুলোর দূর্বীসহ জীবন-যাত্রা

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : কলাপাড়ায লালুয়া ইউনিয়নের বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন মানুষগুলোর জীবন-যাত্রা মারাত্মক অমানবিক। জোয়ার ভাটার সাথে যুদ্ধ করে চলছে এখানের মানুষের জীবন। সরকারের উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি এসব এলাকায়। রয়েছে মাত্র ২ মাইলের মধ্যে ৯ টি বাঁশের সাঁকো। সুনির্দ্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব অবহেলিত মানুষের প্রতি নজর দিবেন এমনটিই প্রত্যাশা করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লালুয়া ইউনিয়নের বানাতী বাজার হতে চারিপাড়া, নয়াকাটা ও চৌধুরীপাড়া গ্রামে যাওয়ার একাধিক জায়গায় ভাঙ্গা রয়েছে। মাত্র ২ মাইল অতিক্রম করতে ৯ টি বাঁশের সাঁকো পার হতে হয়। যা বর্তমান সরকারের আমলে অবিশ্বাসযোগ্য একটি বিষয়।

এছাড়াও এসব এলাকার বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন মানুষগুলো অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে জীবন অতিবাহিত করছে। জোয়ারের পানিতে ঘরে হাটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে যায়। তখন তাদের ঘরের চৌকির উপর বসেই রান্না ও খাওয়া-দাওয়াসহ যাবতীয় কাজ করতে হয়। রাতে ঘুমিয়ে থাকলেও আতঙ্ক কাজ করে কখন জোয়ারের পানিতে তলিয়ে দেয়, কখন ঝড় এসে ঘরটি উড়িয়ে নিয়ে যায়। এসব আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠার মাঝেই কাটছে তাদের জীবন। রাস্তা-ঘাটগুলোও খুবই শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে। ইটের রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ইট উঠে গিয়ে খানা-খন্দে ভরে গিয়েছে। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীরা।

অসুস্থ রোগী নিয়ে বিপাকে পরতে হচ্ছে স্বজনদের। এ যেনো সোনার দেশের মধ্যে অন্য একটি অন্ধকার দেশের কল্পকাহিনী। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে তবে এসব এলাকার উন্নয়নের প্রশ্নের সঠিক উত্তর যেনো জানা নেই কারোরই।

স্থানীয় র্সত্রে আরো জানা যায়, ইউনিয়নের চারিপাড়া, নয়াকাটা ও চৌধুরীপাড়া গ্রামে মোট ৮ শত পরিবারের বসবাস রয়েছে। তারমধ্যে স্বচ্ছল প্রায় দুইশত পরিবার অন্য ইউনিয়নে চলে যায়। এদেরমধ্যে নিতান্ত গরীব প্রায় দুইশত পরিবার বেড়িবাঁধের দুই পাশে আশ্রয় নিয়েছে। এখানকার বেশিরভাগ মানুষ কৃষক ও জেলে। অথচ সরকার থেকে তেমন কোনো সাহায্য পাচ্ছে না বলে অনেকেই অভিযোগ করেন।

সর্বশেষ সুপার ঘূর্ণিঝড় আম্পানে এসব এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তবুও বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন অসহায় মানুষগুলো তেমন কোন সাহায্য পাননি বলে জানান সংবাদকর্মীদের।

চারিপাড়া গ্রামের বেড়ীবাঁধের উপর বসবাসকারী আবুল হাওলাদারের স্ত্রী জেসমিন বেগম, শামসুল হক ফকিরের ছেলে সেলিম ফকির, মৃত মফিজ ফকিরের ছেলে আকবর ফকির ও মৃত ওয়াজেদ আলী হাওলাদারের ছেলে মহিউদ্দিন হাওলাদারসহ অনেকে বলেন, ঘরবাড়ি নদীর ভাঙ্গনে ভেঙ্গে যাওয়ায় বেড়ীবাঁধের উপরে আশ্রয় নিয়েছি।

ঝড়, বন্যা ও জলোচ্ছ¡াসের মধ্যে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে আমাদের থাকতে হয়। অন্যত্র যাওয়ার কোন জায়গা নেই তাই ইচ্ছে থাকা সত্তে¡ও যেতে পারছিনা। সরকার আমাদের প্রতি একটু সু-নজর দিবে এটাই আমরা আশা করছি।

লালুয়ার ৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. রবিউল হাওলাদার বলেন, ইউনিয়নের মধ্যে এইওয়ার্ডটিই মানুষগুলোই সবচেয়ে নাজুক, বিপদগ্রস্থ ও অসহায়। একটি রাস্তায় ৯ টি বাঁশের সাঁকো যা অন্য কোথাও আছে কিনা তা জানা নেই। এরমধ্যে ২/১টি ছাড়া বাকি সাঁকোগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। দ্রুত এগুলোর মেরামত করা প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, ওয়ার্ডের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ লোক অন্যত্র চলে গেছে। যারা আছে তাদের সহায়তার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।

লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, ইউনিয়নের সবগুলো ওয়ার্ডের মধ্যে ৫ নং ওয়ার্ডটি খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন হওয়ায় এ ওয়ার্ডটি প্রায় বারো মাসই পানির নিচে তলিয়ে থাকে। জোয়ার-ভাটার মধ্যেই এলাকার মানুষগুলোকে বসবাস করতে হয়। যে কোনো সহায়তা এলে বেশিরভাগই এ এলাকায় দেয়ার চেষ্টা করি।

খুব শীঘ্রই রাস্তার সাঁকোগুলো মেরামত করা হবে বলে তিনি জানান।

সিএনবাংলা /শোভন

Sharing is caring!

 

 

shares