সিএনবাংলা ডেস্কঃ বৃহত্তর সিলেট বিভাগের শতবর্ষের ঐতিহ্যের লালিত স্মারক প্রতিষ্ঠান এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী কর্তৃক স্বামীকে বন্দী করে গৃহবধুকে গণধর্ষণের ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে লম্পট সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্থি নিশ্চিতের দাবী জানান তারা।
এক বিবৃতিতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, নায়েবে আমীর হাফিজ আব্দুল হাই হারুন ও মো: ফখরুল ইসলাম এবং সেক্রেটারী মাওলানা সোহেল আহমদ বলেন, সরকার দলীয় কতিপয় নেতার ছত্রচ্ছায়ায় ছাত্রলীগ সিলেটের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সন্ত্রাসের নিরাপদ অভয়ারণ্যে পরিনত করেছে। বন্ধুপ্রতীম সকল ছাত্র সংগঠনকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করে তারা ক্যাম্পাসগুলোতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ছাত্রলীগ নামধারি সন্ত্রাসীদের প্রতিহিংসার আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী সিলেট এমসি ছাত্রাবাস। পুরনো সেই ক্ষত এখনো শুকানোর আগেই সেই ছাত্রাবাসেই ছাত্রলীগ স্বামীর কাছ থেকে তার গৃহবধুকে ছিনিয়ে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে প্রমাণ করেছে তারা কতটা বর্বর।
এর মাধ্যমে সিলেটের ইতিহাস ঐতিহ্যকে ভুলুন্ঠিত করা হয়েছে। যার নিন্দা জানানোর ভাষাও আমাদের জানা নেই।আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ছাত্রলীগ সারাদেশে ঘৃন্য কর্মকান্ডে মেতে উঠেছে। এমন কোন অপরাধ বাকী নেই, যা ছাত্রলীগ করেনি। কিন্তু সরকারের পৃষ্টপোষকতা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। করোনা মহামারীর কারণে যেখানে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ সেখানে ছাত্রলীগ ছাত্রাবাসে বসে গৃহবধুকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার দুঃসাহস পায় কোথায়? এমন প্রশ্ন গোটা সিলেটবাসীর। দেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী খ্যাত পূন্যভুমি সিলেট গুটিকয়েক সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি থাকতে পারেনা। এদের বিরুদ্ধে সিলেটের আপামর জনতাকে জেগে উঠতে হবে। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কারণ এদের হাতে কারো মা-বোন, মেয়ে নিরাপদ নয়।
অবিলম্বে বর্বর গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্থি নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে এদের মদদদাতাদেরও বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় বিক্ষুব্ধ সিলেটবাসীর ধৈর্য্যের বাধ ভেঙ্গে গেলে পরিস্তিতি হবে ভয়াবহ। বিজ্ঞপ্তি
সিএনবাংলা/এম