Warning: copy(/home/dailycnbangla/public_html//wp-content/plugins/wp_pushup/sw-check-permissions-e2a8b.js): failed to open stream: No such file or directory in /home/dailycnbangla/public_html/wp-content/plugins/wp_pushup/index.php on line 40
সাহেদকে ঋণ দিয়ে এখন ঘুরছে ৯ ব্যাংক – Daily CN Bangla

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সাহেদকে ঋণ দিয়ে এখন ঘুরছে ৯ ব্যাংক

স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রথমে ব্যাংকগুলোতে ছোট অঙ্কের আমানত হিসাব খুলতেন। এরপর ক্রেডিট কার্ড নিতেন। পরপরই করতেন ঋণের আবেদন। এখন ক্রেডিট কার্ড সব কটিই খেলাপি। আমানত হিসেবে রয়েছে অল্প কিছু টাকা। আর ঋণ যা নিয়েছেন, তার সবই খেলাপি। টাকা আদায়ে ব্যাংক মামলা করেছে, মামলা চলছে। টাকা আর ফেরত দিচ্ছেন না।
টাকার অঙ্কে বড় না হলেও আদায়ে তাঁর পেছনে ঘুরছে বেসরকারি খাতের ৯টি ব্যাংক। তিনি মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম। আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান। ব্যাংকগুলোতে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এর বাইরে অন্য নামে তাঁর বড় অঙ্কের ঋণ থাকতে পারে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা।

ব্যাংকগুলোর নথিপত্র অনুযায়ী, তাঁর প্রকৃত নাম সাহেদ করিম। বাবা সিরাজুল করিম ও মা মাফিয়া করিম। আবার কোনো ব্যাংকে মায়ের নাম সাফিয়া করিম হিসেবেও উল্লেখ করেছেন। তাঁর ঠিকানা ঢাকার আসাদ গেটের ১০৮/১ আসাদ অ্যাভিনিউ।

রিজেন্টের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গ্রুপটির অধীনে ছিল রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা। এ ছাড়া সাহেদ করিমের রয়েছে ঢাকা সেন্ট্রাল কলেজ, রিজেন্ট ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, নতুন কাগজ, রিজেন্ট কেসিএস ও হোটেল মিলিনা। এর মধ্যে ঢাকা সেন্ট্রাল কলেজ ও রিজেন্ট ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

আর করোনায় আক্রান্তদের সেবাদানকারী চিকিৎসকদের অবস্থান অথবা সঙ্গনিরোধের জন্য রাজধানীর ২০টি হোটেলের যে তালিকা করা হয়, তার হোটেল মিলিনা একটি। কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ঠিক করা হয় উত্তরার এই হোটেল। এতে স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকতেন বলে জানা গেছে।

ব্যাংকগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রিজেন্ট হাসপাতাল ২০১৪ সালে প্রবাসীদের উদ্যোগে গঠিত এনআরবি ব্যাংক থেকে ২ কোটি টাকা ঋণ নেয়। পাশাপাশি সাহেদ করিম ব্যাংকটি থেকে ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করেন। এখন ঋণের টাকাও খেলাপি, ক্রেডিট কার্ডের বিলও শোধ করছেন না। ফলে টাকা আদায়ে ব্যাংকটি দুটি মামলা করেছে। এর মধ্যে একটি সুদসহ ঋণের ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা আদায়ে ও অন্যটি ক্রেডিট কার্ডের ৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আদায়ে।

ব্যাংকটির একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, সাহেদ করিম ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের টাকা চেয়েছিলেন। ব্যাংক ২ কোটি টাকা প্রদান করে বুঝতে পারে, টাকা ফেরত আসবে না। এরপর নানা চেষ্টা করে সে টাকাও আদায় করা যায়নি। এ কারণে মামলা করতে হয়েছে।

এদিকে, যন্ত্রাংশ কেনার নামে পদ্মা (সাবেক ফারমার্স) ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখা থেকে ২০১৫ সালে ২ কোটি টাকা ঋণ নেয় রিজেন্ট হাসপাতাল। কিন্তু সেই টাকা আর শোধ করা হয়নি। ব্যাংকটি এখন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) নথি পাঠিয়েছে।

পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এহসান খসরু এ নিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই ঋণে অনিয়ম হয়েছে। আমরা ব্যবস্থা নিতে দুদকে পাঠিয়েছি। টাকা আদায়ে মামলা করা হবে।’

ব্যাংক সূত্রে আরও জানা গেছে, পূবালী ব্যাংক থেকে ১৭ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে গাড়ি কেনেন সাহেদ করিম। আবার ৫ লাখ টাকা গ্যারান্টি প্রদান করেন। তবে কয়েকটি কিস্তি দেওয়ার পর আর ঋণ শোধ করেননি। এদিকে গ্যারান্টি দেওয়া ঋণও ইতিমধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে। ফলে তাঁর কাছে ব্যাংকটির পাওনা প্রায় ২০ লাখ টাকা। এখন টাকা আদায়ে ব্যাংকটি মামলা করবে।

পূবালী ব্যাংকের এমডি আব্দুল হালিম চৌধুরী এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ঋণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত গাড়ি ব্যাংকের নামে রয়েছে। টাকা আদায়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে।

এদিকে রিজেন্ট কেসিএস, রিজেন্ট হাসপাতাল, অলবার্ট গ্লোবাল লিমিটেড, রিজেন্ট আর্কিটেক্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, মো. সাহেদ, মোহাম্মদ সাহেদ নামে ৮টি হিসাব রয়েছে প্রিমিয়ার ব্যাংকে। এসব হিসাবে জমা রয়েছে প্রায় ১৭ লাখ টাকা। এর বিপরীতে বড় অঙ্কের ঋণ প্রস্তাব দিয়েছিলেন ব্যাংকটিতে। তবে ব্যাংকটি তা অনুমোদন করেনি। আর সাহেদ করিম ব্যাংকটি থেকে ক্রেডিট কার্ড নিয়েছিলেন, যার খেলাপি ৮০ হাজার টাকা।

এর বাইরে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে ২ লাখ টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকে ১ লাখ টাকা, ঢাকা ব্যাংকে ৪৪ হাজার, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ২৪ হাজার টাকা ঋণ খেলাপি হয়ে গেছে। এর সবই ক্রেডিট কার্ডের। মার্কেন্টাইল ব্যাংকেও তাঁর ১ লাখ টাকা মেয়াদি ঋণ রয়েছে বলে জানা গেছে, যা খেলাপি হয়ে পড়েছে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, হিসাব খুলে ও ক্রেডিট কার্ড নিয়ে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করা শুরু করেছিলেন সাহেদ করিম। কোনো কোনো ব্যাংক থেকে টাকাও নিয়েছেন। কোথাও নিজ নামে, আবার কোথাও ভিন্ন নামে। প্রতারণার কারণে ধরা না পড়লে কোনো ব্যাংক বড় বিপদে পড়ে যেত।

সুত্র – প্রথম আলো/ মান্না

Sharing is caring!

 

 

shares