সি.এন. বাংলা ডেস্কঃবন্যা কবলিত এলাকা বিশ্বনাথ উপজেলার
লামাকাজী ইউপি। করোনা মহামারীর কারণে নিম্ন আয়ের মানুষেরা কর্মহীন। তার উপর এক টানা বৃষ্টিতে বন্যার মধ্যে আমনের বীজতলার সর্বস্ব হারিয়ে কৃষকরা যেমন দিশেহারা। তেমনি পানি বৃদ্ধির কারণে নতুন এলাকা স্কুল মসজিদ সহ প্লাবিত হয়ে গেছে। প্রায় লাখো মানুষ পানিবন্দি। এসব মানুষ বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সংকটে পড়েছে।
বিশেষ করে মাহতাবপুর, শাহপুর, মির্জার গাঁও, সিরাজপুর, সাহেব নগর, মাধবপুর, দিঘলী, সিলেট-সুনামগঞ্জ সওজ এর উত্তর পার্শ্বে সুরমা তীরে অবস্থিত থাকায় খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্যার আক্রমনে শিকার হতে হয়েছে । মাহতাবপুর, শাহপুর, সিরাজপুর এলাকায় একদিকে নদী ভাঙ্গনে ভিটে মাটি হারা মানুষের কৃত্রিম অস্থায়ী ও স্থায়ী বাসস্থান সহ প্রায় ৬০% মানুষের শেষ আশ্রয় স্থল সাম্প্রতিক ২য় দফা বন্যায় প্লাবিত, এর মধ্যে অত্রএলাকায় নদীর তীরে যাদের ঘরবাড়ি বন্যাপ্লাবিত মাথাগুজার শেষ আশ্রয় স্থল সুরমায় কখন বিলিন হয়ে যায়, এমন আতংকে সময়ক্ষপন করছেন অত্র এলাকার জন সাধারণ। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে অধিকাংশ মানুষ কর্মহীন হয়েপড়ত; নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষের বাড়ি ঘর কোমর পানি পর্যন্ত প্লাবিত, এমন অবস্থায় অত্র এলাকার মানুষ কিভাবে জীবন যাপন করছে তা প্রত্যক্ষদর্শী হৃদয়বানদের চোখ অশ্রুসিক্ত না হয়ে পারবেনা। প্রথম দফা বন্যায় স্থানীয় সামাজিক সংস্থা স্মাইল চ্যারিটি ফাউন্ডেশন এর ত্রান কার্যক্রম চোখে পড়লে ও সরকারি বা স্থানীয় প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি , তাই প্রথম দফার পর ২য় দফা বন্যা যেনো মরার উপর খরার ঘাঁ এমন পরিস্থিতিতে অত্র এলাকায় ত্রান কার্যক্রম সময়ের দাবী ও আক্রান্ত এলাকার অধিকার হয়ে পড়েছে। এব্যাপারে জেলা গরিষদ সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিধি ওপ্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা করছি।
লেখকঃ মাওলানা আবুযর মাহতাবী