বিশেষ প্রতিনিধি :: গণ্যমাধ্যম গণতন্ত্রের সদাজাগ্রত প্রহরী। মহা বিচারপতির বিচার-শালায় সে নিপীড়িত মানুষের পক্ষ সমর্থন করে।কোথায় মানাবাধিকার লংঘিত হলে, গণতন্ত্রের মর্যাদা ভুলুণ্ঠিত হলে কিংবা গণতন্ত্রের পবিত্রতা কোনো কারণে কলুষিত হলে গণ্যমাধ্যম নির্ভীক কণ্ঠে সেখানে সোচ্চার হয়ে ওঠে।সাংবাদিক নির্যাতনের সমস্যা সম্পূর্ণ দেশের কাছে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে? যদিও এই সমস্যা আর্থসামিজিক ও রাষ্ট্রীয় সমস্যার সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত।রাষ্ট্রেরর ৪র্থ স্তম্ভ হচ্ছে আগামী দিনের বিকল্প পার্লামেন্ট। স্বাধীনতার আজ ৪৯ বছর চলে গেছে।
কিন্তু সাংবাদিকসহ সাধারণ জনগণ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি।সকল দিবস পালন করা হলেও গণমাধ্যমের কোন দিবস সরকারিভাবে পালন করা হয়না। একটি দেশ কে বিশ্বকাছে মাথাউচুঁ করে দাঁড়াতে অন্যতম মূখ্য ভূমিকা পালন করে গণ্যমাধ্যম। যে দেশে গণমাধ্যম কে গুরুত্ব দেওয়া হয়না সেই দেশে কি ভাবে সাংবাদিক নির্যাতন হামলা-মামলার বিরুদ্ধে কঠোর আইন বাস্তবায়ন করবে ? আমরা যারা এ পৃথিবীতে বসবাস করি। সবাই চাই সুখ শান্তিতে বসবাস করতে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের সুখ শান্তি কিছু শয়তানির গোষ্ঠীর এক শ্রেণীর লোকেরা কেড়ে নিয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বা গণ্যমাধ্যমের পরিস্থিতির দিকে তাকালে সমস্যা ছাড়া কোন সম্ভবনার দ্বার দেখা যায় না।
যেখানে দেশের সকল শ্রেণীর লোকের তালিকা থাকলে ও গণ্যমাধ্যম কর্মীদের কোন তালিকা নেই। তাহলে
এই দেশ কি ভাবে উন্নত হবে! এই প্রীয় মাতৃভূমি অনেক সম্ভবনার দেশ কিন্তু সংঘাত পূর্ণ প্রতিহিংসার রাজনীতির দেশ কে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তাই গোটা বিশ্বের কাছে দেশের ভাব মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। সংকীর্ণ মনতা পরিহার করে গণ্যমাধ্যম এবং গণ্যমাধ্যমের কর্মীদের গণ্যমাধ্যম দিবস কে প্রধাণ্যদিয়ে সকল শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ের গণ্যমাধ্যম বিষয়ক একটি পাঠ অর্ন্তভুক্ত করতে হবে।নতুবা এই দেশ ধ্যাবিত হবে এক অজানা গতন্তব্যের দিকে।
লেখক-সিদ্দিকুর রহমান আদিল
সদস্য-বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম
(বিএমএসএফ)
সিএনবাংলা/জীবন