রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :কুয়াকাটায় পাওনা টাকা না দেয়ার জন্য বিভিন্ন অপকৌশল ও আদালতে মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী আ: রহিম ফরাজী। সোমবার সকালে কুয়াকাটা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অুনষ্ঠিত হয়। কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লবের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্যে আ: রহিম ফরাজী বলেন, মহিপুর থানার মাইটভাঙ্গা গ্রামের ইউসুফ গাজী’র সাথে তার পারিবারিকভাবে সুসম্পর্ক ছিলো। দু’জনই একসময় প্রবাসে ছিলো। পারিবারিক সম্পর্ক গড়ায় আর্থিক লেনদেনে। ইউসুফ গাজী দেশে ফিরে এসে শুটকি মাছের ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে আ: রহিম ফরাজীর নিকট থেকে ১০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন। একপর্যায়ে ইউসুফ গাজী ব্যবসা বন্ধ করে রহিম ফরাজীর পাওনা দশ লক্ষ টাকা না দিয়ে ঢাকায় চলে যায়।
রহিম ফরাজী যোগাযোগ করলে কখনও নগদ টাকা পরিশোধ করবেন আবর কখনও জমির দলিল সম্পাদন করে দিবেন এমন প্রতিশ্রুতি দিতে থাকেন। এবারে প্রায় ১০ বছর অতিবাহিত হয়। এরপর ইউসুফ গাজী যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেন। একপর্যায়ে গত ২০ আগষ্ট তার সাথে দেখা হলে পাওনা ১০ লক্ষ টাকা ফেরৎ দেয়ার জন্য সময় চেয়ে তিনশত টাকার ননজুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্প ক্রয় করেন।এর পাঁচদিন পর গত ২৫ আগষ্ট উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সম্মুখে ননজুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে লিখিত ও ব্যাংক চেক প্রদান করেন। পরবর্তীতে টাকা পরিশোধ না করার জন্য প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা কল্পকাহিনী সাজিয়ে রহিম ফরাজীকে প্রধান আসামী করে তার বোনের জামাই মো: বাবুল ভূইয়া ও ভাগিনা মো: শাহিন ভূইয়ার নামে কলাপাড়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪৬৯/২০২০ নং একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
লিখিত বক্তব্যে আ: রহিম ফরাজী আরো বলেন, মো: ইউসুফ গাজী আমার পাওনা ১০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করার জন্য সময় চেয়ে তিনশত টাকার মূল্যমানের নন জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে লিখিত এবং আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিঃ, আলীপুর শাখার চেক প্রদান করার সময় ইউপি সদস্য হারুনঅর রশিদ ভদ্র, ইউপি সদস্যা মোসা: মিনা রহমান, মহিপুর থানা শ্রমিকলীগ সভাপতি মো: আবুল কালাম ফরাজী ও আমার বড় ভাই আ: মজিদ ফরাজী উপস্থিত ছিলেন। তিনি স্বইচ্ছায় ষ্ট্যাম্প ও ব্যাংক দেয়ার পর আমার পাওনা দশ লক্ষ টাকা পরিশোধ না করার জন্য প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা কল্পকাহিনী সাজিয়ে বিভিন্নভাবে আমাকে হেয় পতিপন্ন করে আসছেন।
অভিযুক্ত ইউসুফ গাজী মোবা: না:- ০১৭৩৩-৭৬৫৯৯২ তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমাকে আলীপুর একা পেয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ষ্ট্যাম্প ও ব্যাংকের চেক নিয়েছেন আ: রহিম ফরাজী।