সিএনবাংলা ডেস্ক :: উগান্ডার মরিয়ম নাবাতাঞ্জি ৪৪টি সন্তানের গর্ভধারিনী। মরিয়মের বয়স এখন ৪০ বছর। ১২ বছর বয়সে তার বিয়ে হয়, তখন তার স্বামীর বয়স ছিলো ৪০ বছর। বিবাহিত জীবনে এ পর্যন্ত তিনি ৩ বার ৪টি করে, ৪ বার ৩টি করে এবং ৬ বার যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। যখন তার বয়স ৩৬, তখন তিনি রেকর্ড সংখ্যক সন্তানের মা। ৩ বছর আগে তার স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যান। তখন থেকে মরিয়মকে তার নিজের ও সন্তানদের ভরণ পোষণ করতে হচ্ছে। বিয়ের এক বছরের মাথায় মরিয়ম প্রথম যমজ সন্তানের জন্ম দেন।
চিকিৎসকের কাছে গেলে চিকিৎসক তাকে জানান যে, মরিয়ম অস্বাভাবিক বড়ো জরায়ূর অধিকারী। ডাক্তার তাকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যদি তিনি জন্মনিরোধক পিল ব্যবহার করেন তবে তার স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে। এভাবে মরিয়ম একের পর এক সন্তান জন্ম দিতে থাকেন। মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি ২৫ সন্তানের মা হন। তিনি তার চিকিৎসকের কাছে আবার যান। চিকিৎসক তাকে গর্ভবতী হতে উপদেশ দেন, কারণ তার ওভারি কাউন্ট অত্যন্ত উচ্চ।
আড়াই বছর আগে তিনি যখন শেষবারের মতো গর্ভবতী হন, তখন সন্তান প্রসবে তার সমস্যা দেখা দেয়। তিনি ৬ষ্ঠ বারের মতো যমজ সন্তান জন্ম দেন। তবে এদের মধ্যে একটি সন্তান মারা যায়। তখন তার স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যান। মরিয়ম বলেন, আমি অশ্রæজলের মধ্যে বেড়ে ওঠেছি। আমার পুরুষ আমাকে বিপুল দুঃখের মধ্যে ফেলে চলে গেছে। সব সময় আমাকে কাটাতে হয় সন্তানদের দেখাশোনা করে এবং কিছু অর্থের জন্য কাজ করে।
এই দরিদ্র নারী সব ধরণের কাজ করেছেন- হেয়ার ড্রেসার থেকে শুরু করে ইভেন্ট ডেকোরেটর এমনকি ভাঙ্গাড়ি ব্যবসা থেকে ভেষজ ঔষুধ বিক্রেতা হিসেবে। অনেকগুলো মুখের খাবার জোগাড় করতে হয় তাকে। অথচ তার সবচেয়ে বড়ো সন্তানের বয়স ২৩ বছর, নাম ইভান কিবুকা। মাকে কাজে সাহায্য করতে গিয়ে সে স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে।
সূত্রঃ খালিজ টাইমস্
অনুবাদঃ নিজাম উদ্দীন সালেহ: কবি ও সাংবাদিক
সিএনবাংলা/জীবন