Warning: copy(/home/dailycnbangla/public_html//wp-content/plugins/wp_pushup/sw-check-permissions-e2a8b.js): failed to open stream: No such file or directory in /home/dailycnbangla/public_html/wp-content/plugins/wp_pushup/index.php on line 40
চীনে জোরপূর্বক বন্ধ্যা করা ও নির্মম নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরলেন মুসলিম নারী – Daily CN Bangla

 

 

 

 

 

 

 

 

 

চীনে জোরপূর্বক বন্ধ্যা করা ও নির্মম নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরলেন মুসলিম নারী

সিএনবাংলা ডেস্কঃ‘উইঘুর’ চীনের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়। বহু দিন ধরেই নিজ দেশের সরকার কর্তৃক নির্যাতিত তারা। বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে নির্যাতনের সংবাদ প্রকাশ হলেও এবার উঠে এল নির্মম নির্যাতনের ভয়ঙ্কর চিত্র।

চীন সরকারের হাতে জোরপূর্বক বন্ধ্যার শিকার ও শিনজিয়াংয়ে বন্দিশিবিরে মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের কথা বর্ণনা করেছেন এক উইঘুর নারী। তার নাম কেলবিনুর সিদিক, যাকে শিনজিয়াংয়ে বন্দিশিবিরে আটকদের ক্লাস নিতে বাধ্য করা হত। তিনি ৫০ বছর বয়সে চীনা সরকারের হাতে জোরপূর্বক বন্ধ্যা হতে বাধ্য হন।

কেলবিনুর সিদিক জানান, শুধু সন্তানসম্ভাবা নারীদের জোর করে বন্ধ্যা করা হয় না, যাদের সন্তান জন্মদানের বয়স পেরিয়ে গেছে তাদেরও বন্ধ্যা করা হয়।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষকের কাছ থেকে তিনি যে বার্তা পেয়েছেন সে সম্পর্কে বলেন, ১৯ থেকে ৫৯ বছর বয়সী নারীদের জরায়ুতে আইইউডি (অস্থায়ী দীর্ঘমেয়াদি গর্ভনিরোধক উপকরণ) স্থাপন করা হয় বা জোরপূর্বক বন্ধ্যা করতে বাধ্য করা হয়।

সিদিক জানান, ২০১৭ সালে যখন তার বয়স ৪৭ তার একমাত্র মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো তখন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাকে আইইউডি নিতে বাধ্য করে। এরপর ৫০ বছর বয়সে তাকে বন্ধ্যা করতে বাধ্য করা হয়।

এছাড়া এই উইঘুর নারী জানান, বন্দিশিবিরে এবং পুরো অঞ্চলে যা ঘটছে তা সত্যি ভয়ানক। তিনি বলেন, আমি চুপ থাকতে পারি না।

তিনি আরও বলেন, আমি অবাক হই কেন পশ্চিমা দেশগুলো এখনও ওইসব শিবিরের মধ্যে কী ঘটছে তা বিশ্বাস করতে পারে না, কেন তারা নিশ্চুপ।

কেলবিনুর সিদিক দু’টি ক্যাম্পে শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি জানান, সেখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, পর্যাপ্ত খাবার নেই, শৌচাগার ও পানির অভাব।

তিনি বন্দিশিবিরে আটকদের নির্যাতনের চিৎকারও শুনেছেন বলে জানান।

সিএনবাংলা/ মান্না / সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Sharing is caring!

 

 

shares