Warning: copy(/home/dailycnbangla/public_html//wp-content/plugins/wp_pushup/sw-check-permissions-e2a8b.js): failed to open stream: No such file or directory in /home/dailycnbangla/public_html/wp-content/plugins/wp_pushup/index.php on line 40
কলাপাড়ায় আলী আহম্মেদ পানিকচু চাষ করে বানিজ্যিকভাবে লাভবান – Daily CN Bangla

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কলাপাড়ায় আলী আহম্মেদ পানিকচু চাষ করে বানিজ্যিকভাবে লাভবান

রাসেল কবির মুরাদ ,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :- কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সলিমপুর গ্রামের আলী আহম্মেদ পানিকচু চাষ করে বানিজ্যিকভাবে প্রচুর লাভবান হয়েছে। কচু চাষের আগে তার সংসার চালানো ও ছেলে মেয়ের পড়া শুনা এবং মেয়েদের বিয়ে দেয়া খরচ হিমশিম খেতে হয়েছে। এখন পানিকচু চাষ করে ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনা ও সংসারের চালাতে কোনো সমস্যা হয় না। তিনি এখন খুব ভালভাবে চলতে পারেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দাম ও ভাল পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি। তার পানিকচু চাষ নজর কেড়েছেন অনেকের। তারাও অগ্রহী হয়েছেন পানি কচু চাষে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সলিমপুর গ্রামের আলী আহম্মেদ অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ৩৯ শতক জমিতে কচু চাষ শুরু করেন। ৭ বছর ধরে কচু চাষ করে আসছেন তিনি। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসে জমি চাষ দিয়ে পরিচর্যা করে। এরপর বড় কচু গাছ থেকে চারা সংগ্রহ করে চারা রোপন করেছেন। চারা বেড়ে উঠার জন্য ঘাস পরিস্কার করে সার দেন। চারা বড় হলে গাছটিতে চার থেকে পাঁচটি ডাটা রেখে কচু গাছটির গোড়া থেকে উঠিয়ে বাজারে এনে বিক্রি করেন। কচুতে প্রচুর ভিটামিন থাকায় সবজি হিসাবে কচুর ব্যাপক চাহদিা রয়েছে প্রতিটি কচু ছোট-বড় ৪০ থেকে ৭০টাকায় বাজারে বিক্রি করেন। ৩ টাকা করে প্রতিটি কচুর চারা বিক্রি করেন অন্যদের কাছে। তারা আবার ওই চারা কিনে নিয়ে চাষ করে। কচুর লতি ১হাজার ২০০ টাকা মন দরে ক্রেতা তার কাছ কিনে নেয়। কচু বিক্রির শেষ সময় আগ্রহায়ন মাস পর্যন্ত। এ বছর আবহাওয়া অনুকুল থাকায় ও সময় মত বৃষ্টি হওয়ায় কচুর আশানুরুপ গাছ ভাল হয়েছে। এ বছর তিনি কচু বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা আয় করেন এবং পানি কচু চাষ করে একদিকে নিজে স্বাবলম্বী হয়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। আধুনিক পদ্ধতিতে কচু চাষ করে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে এবং পরিবারের ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করায় দূর হয়েছে দরিদ্রতা, সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা।

চাষী আলী আহম্মেদ বলেন, ছেলে মেয়ে নিয়ে ৬ জনের সংসার, ২ মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। এক মেয়ে খেপুপাড়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১০ম শ্রেনীতে আর ছেলে বরিশাল বিএম কলেজে অনার্সে পড়াশুনা করে। কচু চাষে লাভের টাকায় ছেলে-মেয়ে পড়াশুনা ও সংসারের খরচ চালান। সংসারে এখন কোনো ধার-দেনা নেই। সহায়তা পেলে তার কচু চাষ আরো ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেত বলে তিনি সরকারি কৃষি দফতরের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মন্নান বলেন, কচু সবজি স্বাস্থ্যর জন্য উপকারি ও পরিবেশ বান্ধব এবং নিরাপদ সবজি। বর্ষাকালে যখন অন্য সবজি বাজারে থাকেনা তখন কচু বাজারে পাওয়া যায়। কচু উৎপাদনে খরচও কম, রোগ বালাই কম। দামও ভাল পাওয়া যায়। কলাপাড়ার সলিমপুর, ধানখালী, মিঠাগঞ্জ এলাকায় বর্তমানে কচু চাষ করা হয়।

সিএনবাংলা /শোভন

Sharing is caring!

 

 

shares