জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:সংস্কারহীন জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কে সংস্কারের দাবিতে ধর্মঘটের কারনে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি উপজেলা সদরে রিকশাও চলাচল করেনি।
মঙ্গলবার (পহেলা সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে জগন্নাথপুরের অভ্যন্তরিক সড়কগুলোতে যান যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েন জনসাধারণ।
পৌর পয়েন্ট, জগন্নাথপুর-সিলেট বাসস্ট্যান্ড, ইকড়ছই এলাকা, হাসপাতাল পয়েন্ট সহ জগন্নাথপুরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে শ্রমিকরা পিকেটিং বসায়। শ্রমিকদের বাঁধার কারণে কোন প্রকার যান চলাচল করতে পারেনি। এমনকি মালামাল বহণকারী যানবাহনও চলাচল করতে দেয়া যায়নি। শহরে রিকশাও চলাচল বন্ধ ছিল। প্রয়োজনের তাগিতে বাহিরে বের হওয়া লোকজন পায়ে হেঁটেই চলাচল করতে হয়। যে কারণে
অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন। সিলেট বিভাগীয় শহর সহ ঢাকার রাজধানীর সঙ্গে জগন্নাথপুর ও সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ জগন্নাথপুর বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে আসছেন।জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বেহালদশা বিরাজ করে আসছে।
গত বছরের শেষের দিকে জগন্নাথপুর অংশের ১৩ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য ২৫ কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করা হলে কাজটি পায় মাদারীপুরেরর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হামীম সালেহ (জেভি)।চুক্তি অনুযায়ী গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১০তারিখ থেকে সড়কে কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মার্চের প্রথম দিকে কাজ শুরু হলে করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব দেখা দেওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় সড়কের কাজ। স¤প্রতিকালে সড়কের নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় সংস্কারের দাবিতে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয়।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিজামুল করিম জানান,সংস্কারের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার আমাদের বিভিন্ন কর্মসুচী প্রত্যাহার করা হয়েছে। বর্তমানে সড়কে বেহাল দশা বিরাজ করছে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা কর্মসুচী দিয়েছি। প্রায় ৬ মাস ধরে সড়কের কাজ বন্ধ রয়েছে। আমাদের কর্মসুচীকে বানচাল করতে গত সোমবার দুই তিনজন শ্রমিক দিয়ে সড়কের একাংশ কাজের নামে নাটক করা হচ্ছে। দ্রুত সঠিকভাবে সড়কে কাজ না করা হলেও আমাদের আন্দোলন চলবে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার সাকলাইন হোসেন জানান, করোনা ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে সংস্কার কাজ ব্যাহত হয়েছে। তবে কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি র্নিধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) গোলাম সারোয়ার বলেন, সড়কের কাজ চলছে।
জগন্নাথপুর উপজেলার্নিবাহী র্কমর্কতা মেহেদী হাসান বলেন, আন্দোলনকারীদের দাবীর প্রেক্ষিতে আমরা সড়কের র্গত ভরাটের কাজ গত দুইদিন ধরে শুরুহয়েছে। তারপর র্কমসুচীতে ডাকা খুবই দুঃখজনক ।
সি এন বাংলা /শোভন