Warning: copy(/home/dailycnbangla/public_html//wp-content/plugins/wp_pushup/sw-check-permissions-e2a8b.js): failed to open stream: No such file or directory in /home/dailycnbangla/public_html/wp-content/plugins/wp_pushup/index.php on line 40
কলাপাড়ায় অভিনব কায়দায় জোয়ারের পানিতে গায়েহলুদ – Daily CN Bangla

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কলাপাড়ায় অভিনব কায়দায় জোয়ারের পানিতে গায়েহলুদ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :: কলাপাড়ায় লালুয়া ইউনিয়নের মানুষের সুরক্ষার জন্য বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধ না থাকায় ১২-১৩টি গ্রামের মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। বাড়ির উঠোনে, ঘরের ভিতরে সবখানেই পানি । পানিতে তলিয়ে গেছে গ্রামীণ মেঠোপথ, কৃষিজমি। এককথায় জোয়ারের পানিতে ভাসছে গ্রাম থেকে গ্রাম।

এ দুরাবস্থার মধ্যেও অনুষ্ঠিত হলো বিয়ের গায়েহলুদ পর্ব। লালুয়া ইউনিয়নের কলাউপাড়া গ্রামের এ অনুষ্ঠান নিয়ে রীতিমত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে তোলপাড় ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লালুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: মহিউদ্দিন ফকির গত মাসে বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তী রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের গাববুনিয়া গ্রামে। নববধূকে নিজ বাড়িতে তুলে আনার পরই এলাকায় শুরু হয় লাগাতার বর্ষন, মনি আমাবস্যার জোবা, জোয়ারের পানিতে গ্রামের পর গ্রাম মুহুর্তের মধ্যেই প্লাবিত। জোয়ারের পানিতে চারদিক যখন থৈ থৈ করছে, দ্রুত এ পানি কমার কোন লক্ষন নাই, কোন উপায়ন্তর না দেখে তখন বাড়ির উঠোনে চেয়ার পেতে অভিনব কায়দায় গায়েহলুদের অনুষ্ঠান করা হয়। এতে অংশ নেন নিকট আত্মীয়-স্বজনরা। জোয়ারের পানির মধ্যে ব্যতিক্রমী এ গায়েহলুদ দেয়ার আয়োজন সবাইকে প্রচুর আকৃষ্ট করেছে ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত দুমকী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী মো: ইব্রাহিম খলিল মন্তব্য করেন, সুখ-শান্তি নাই। এ জনপদটি প্রায়শই পানিতে ডুবে থাকে, এ নিয়ে কারো কোন চিন্তা-ভাবনা নেই। তবুও মানুষের প্রাত্যাহিক জীবনকে তো আর থামিয়ে রাখা যাবেনা, জীবন তো জীবনের নিয়মে চলবেই। এ কারণেই এমন একটি ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে । যা সুখের সাথে কষ্টেরও ছবি বহন করে।

বর মহিউদ্দিনের বাবা আবদুল বারেক ফকির বলেন, ‘কী করমু কন ? ঘরে-বাইরে সবখানেই শুধু পানি আর পানি। নাইম্যা কোথাও যে যামু, সেই পরিস্থিতিও নাই। বাধ্য হইয়াই বাড়ির উঠানে গায়েহলুদের অনুষ্ঠান করতে হয়েছে। তবে মনে কোন শান্তি পাই নাই। আত্মীয়-স্বজনকে ঠিকমতো দাওয়াত করতে পারি নাই । তিনি আরও বলেন, গ্রামের মানুষ রান্না কইরা খাইবে সে পরিস্থিতি পর্যন্ত নাই। গ্রামের মানুষ বর্ষার পানি ধইরা রাইখা আবার কোনো কোনো সময় দুর থেকে পানি আইনা রান্নার কাজ করে। একটা নিদারুন কষ্টের জীবন পার করতে হচ্ছে।’

সিএনবাংলা/একেজে

Sharing is caring!

 

 

shares