Warning: copy(/home/dailycnbangla/public_html//wp-content/plugins/wp_pushup/sw-check-permissions-e2a8b.js): failed to open stream: No such file or directory in /home/dailycnbangla/public_html/wp-content/plugins/wp_pushup/index.php on line 40
সীমিত আকারে শুরু হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান, খুলছে কমিউনিটি সেন্টার – Daily CN Bangla

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সীমিত আকারে শুরু হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান, খুলছে কমিউনিটি সেন্টার

সিএনবাংলা ডেস্কঃ বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের পাঁচ মাস পার হয়েছে। অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের মতো ওই কয়েক মাসে যারা বিয়ের আয়োজন সারবেন বলে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন তারা বিয়ে পিছিয়ে দিয়েছেন। কেউবা আবার ঘরোয়া পরিবেশেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন। লকডাউনের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বিয়ে আয়োজনের মধ্যে ছিল বিধিনিষেধ। তবে লকডাউন তুলে দেওয়ার পর আবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সীমিত আকারে হলেও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এখন পাঁচ তারকা হোটেলের বলরুম, কমিউনিটি সেন্টার ও রেস্টুরেন্টে অল্প অতিথির উপস্থিতিতে বিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি অনুষ্ঠান হচ্ছে বর ও কনেপক্ষের বাড়িতে। বিশেষ করে কোরবানির ঈদের পর বা চলতি আগস্ট মাস থেকেই বিয়ে অনুষ্ঠানের হার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সামাজীক যোগাযোগ মাধ্যমে সংশ্লিষ্টরা এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যাদের ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন করার ইচ্ছা আছে তারা এখন শুধু আকদ অনুষ্ঠান সেরে রাখছেন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বড় অনুষ্ঠান করবেন। আর ঘরের আয়োজনে স্বাস্থ্যবিধির জন্য খুব বেশি অতিথি আমন্ত্রণ জানানোর সুযোগ না থাকায় নিকট আত্মীয়দের উপস্থিতিতেই করোনাকালের বিয়ের আয়োজন শেষ করতে হচ্ছে। তবে যেসব আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব মহামারীর সময় বিয়েতে উপস্থিত হতে পারছেন না তারা প্রযুক্তিকে বিকল্প মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছেন। ভিডিওকলের মাধ্যমে বিয়ে পড়ানোর বিশেষ মুহূর্তে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে বর-কনের প্রতি শুভ কামনা জানাচ্ছেন।

করোনাকালে দীর্ঘদিনের বন্ধু আতিফ ইসলামের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন ফারজানা ইসলাম। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বিয়ের তারিখ আগে থেকে ঠিক করা হলেও মহামারীর কারণে শেষ পর্যন্ত কোরবানির ঈদের পর বিয়ের কাজ সারেন এই দম্পতি। ফারজানা বলেন, ঢাকার মহাখালীর একটি কনভেনশন সেন্টারে অনেক কষ্টে বিয়ের অনুষ্ঠান করার জন্য বুকিং দিয়েছিলাম কিন্তু সেটিও বাতিল করতে হয়েছে। পরে মিরপুরে দুই পক্ষ নিজেদের বাসায় ঘরোয়া পরিবেশেই বিয়ের আয়োজন শেষ করে। দুই পরিবারের আত্মীয় যারা ঢাকার বাইরে থেকে আসতে পারেনি তাদের জন্য জুম মিটিং, ম্যাসেঞ্জারের মতো ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিয়ের অনুষ্ঠান দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়।

ঢাকার কয়েকজন কাজী জানান, ঢাকার রেস্টুরেন্ট ও কমিউনিটি সেন্টারগুলো খুলে দেওয়ায় সেখানেও কিছু বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে। এর পাশাপাশি বাসাবাড়িতেও বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে। যারা এখন বিয়ে করছেন তারা শুধু নিকট আত্মীয়ের উপস্থিতিতে অল্প লোকজন নিয়ে বিয়ে করছেন। যাদের ঘরে আকদ করতে সমস্যা তারা হয়তো কোনো রেস্টুরেন্টে ছোট করে আকদ করে রাখছেন।

ধানমন্ডি কাজী অফিসের কাজী হাফেজ মাসুম বিল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, তিন মাস বিয়ের অনুষ্ঠান পড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা ছিল। সম্প্রতি বিয়ে অনুষ্ঠানের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে কোরবানির ঈদের পর বিয়ের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। গত শুক্রবার চারটি বিয়ে পড়ান এই কাজী। এর মধ্যে দুইটি কমিউনিটি সেন্টারে, একটি মসজিদে এবং আরেকটি বিয়ে বাসায় পড়ান।

মহাখালীর রাওয়া কনভেনশন হলের ফ্রন্ট ডেস্ক এক্সিকিউটিভ মাহবুবা বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিগগিরই আবার বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছি। মহামারীতে কয়েক মাস অনেকেই বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করেন। কিন্তু পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় আগামী মাস থেকে আবারও বিয়ের বুকিং নিতে শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেল ওয়েস্টিনও বিয়ের আয়োজন পরিচালনার জন্য এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। হোটেলটির এক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, আমরা সবাই আগের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্যানিটাইজেশন ব্যবস্থার জন্য সর্বোচ্চ মান বজায় রাখছি। এক্ষেত্রে আমরা একটি বিদেশি কোম্পানির সরবরাহকৃত মেডিকেল সামগ্রী ব্যবহার করছি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে টেবিল সেটআপসহ অন্যান্য বিষয়ে সব সুরক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণ করছি। মহামারীর কারণে বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য কিছু গ্রাহক যোগাযোগ শুরু করেছেন, তবে সংখ্যায় খুব সীমিত।

বিয়ের কনে সাজানোর দায়িত্বে থাকা ঢাকার বিউটি পারলারগুলোও লকডাউনের কারণে দীর্ঘসময় বন্ধ ছিল। এরই মধ্যে নামকরা পারলারগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। অ্যাপয়নমেন্টের ভিত্তিতে স্বল্পসংখ্যক গ্রাহকের সেবা দিতে শুরু করেছে পারসোনা। সম্প্রতি বিউটি পারলারটির মিরপুর ব্রাঞ্চে গিয়ে দেখা যায়, সেবাদাতারা এপ্রোন, মাস্ক, ক্যাপ ও ফেস শিল্ড পরে বিয়ের কনেকে সাজানোর কাজ করছেন।

পরিমাণে সামান্য হলেও অল্প অল্প করে কাজ পাচ্ছে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলো। এ ওয়েডিং বিডি নামের ওয়েডিং ফটোগ্রাফি কোম্পানির ফটোগ্রাফার এ নেওয়াজ রাহুল বলেন, এখন বেশির ভাগ মানুষ বাসা-বাড়ির ছাদেই বিয়ের অনুষ্ঠান করছেন। আর যারা রেস্টুরেন্টে করছেন তারা সীমিতভাবে ৫০ জনের মতো অতিথি নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান সারছেন।

সিএনবাংলা/ মান্না

Sharing is caring!

 

 

shares