Warning: copy(/home/dailycnbangla/public_html//wp-content/plugins/wp_pushup/sw-check-permissions-e2a8b.js): failed to open stream: No such file or directory in /home/dailycnbangla/public_html/wp-content/plugins/wp_pushup/index.php on line 40
সরকারের পদক্ষেপের সুফল পাচ্ছে জনগণ: প্রধানমন্ত্রী – Daily CN Bangla

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সরকারের পদক্ষেপের সুফল পাচ্ছে জনগণ: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের চরিত্র নষ্ট করে দিয়ে গেছে ১৯৭৫-এর পর যারা রাতের অন্ধকারে অস্ত্রহাতে ক্ষমতায় এসেছিল তারাই, কারণ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সেই ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য এরা মানুষকে দুর্নীতি শিখিয়েছে, কালো টাকা শিখিয়েছে, ঋণ খেলাপী শিখিয়েছে।

গতকাল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ ও দলের সকল সহযোগী-ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য যেসব কাজ করে যাচ্ছেন তা তুলে ধরেন।

অন্যায়কারী ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। কে কোন দলের সেটা বড় কথা নয়, দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িতদের আমরা ধরে যাচ্ছি। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। করোনাকে জয় করেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। করোনা মোকাবেলায় ডাক্তার-নার্সদের সুযোগ সুবিধা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ডাক্তার-নার্স নিয়োগ করা হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে যথেষ্ট বেড এবং সব রকম সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডাক্তার-নার্স এবং টেকনিশিয়ান যারা কাজ করছে তাদেরকে তাদের পরিবার থেকে আলাদা করে রাখার জন্য হোটেল ভাড়া করে থাকা খাওয়ার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে খরচ তো হবেই। তবে বাংলাদেশের মানুষের চরিত্র নষ্ট করে দিয়ে গেছে ১৯৭৫ এর পর যারা রাতের অন্ধকারে অস্ত্রহাতে নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তারাই।

সংসদ নেতা বলেন, তারা সমাজকে কলুষিত করে দিয়ে গেছে। দীর্ঘদিন মিলিটারি ডিকটেটরশিপ এদেশের মানুষের চরিত্র হনন করেছে। কারণ অবৈধ ক্ষমতাটাকে নিষ্কন্টক করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। এভাবেই বছরের পর বছর দুর্নীতির বীজ বপন করেছে। এটা এখন মহিরুহু হয়ে গেছে, আপনি যতই কাটেন আবার কোথা থেকে গজিয়ে যেনো ওঠে। কারণ তারা মানুষের চরিত্রটাই নষ্ট করে দিয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে এই চরিত্রহীনতা একেবারে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত ছিল। সেখানে থেকে যতই চেষ্টা করেন এটা মূলউৎপাটন করা যথেষ্ট কঠিন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর কে কোন দলের সেটা বড় কথা নয়, বরং যারাই এ ধরনের দুর্নীতি-অনিয়মের সঙ্গে জড়িত, আমরা তাকেই ধরছি। আবার চোর ধরছি বলে, চোর হয়ে যাচ্ছি। আমরাই ধরি আবার আমাদেরকেই দোষারোপ করা হয়। এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্য। এর আগে তো দুর্নীতিটাই নীতি ছিল। অনিয়মটাই নিয়ম ছিল, সেভাবেই রাষ্ট্র চলেছে।

তিনি বলেন, আমরা আসার পর সেগুলো মোকাবেলার করার চেষ্টা করছি, যতটুকু পারি সেগুলো শুদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আগেই বলেছি, আমরা এই অনিয়মগুলো মানবো না। যেই হোক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নেবো। এটা অব্যাহত থাকবে।

শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম। দুর্ভাগ্য, করোনাভাইরাস সবকিছু স্থবির করে দিয়েছে। এটা অত্যন্ত কষ্টকর ও দুঃখজনক। তবে আমরা চেষ্টা করেছি যতদূর সম্ভব মানুষকে রক্ষা করা এবং মৃত্যুহার কমানোর। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা পরিকল্পনা করেছি, পদক্ষেপ নিয়েছি। তার সুফল মানুষ পাচ্ছে। দেশের মানুষ আরও সচেতন হলে, স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ মেনে চললে করোনা মোকাবিলায় আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া যেতো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কথা শুনলেই মানুষ ভয়ে আতঙ্কিত হয়। এত আতঙ্কিত হবো কেন। মরতে তো একদিন হবেই। তবে নিজে সুরক্ষিত থাকার জন্য স্বাস্থ্যবিধিসহ যা যা মেনে চলার দরকার তা করবেন। শেখ হাসিনা বলেন, করোনার কারণে সবকিছু স্থবির হয়ে পড়েছে। অতীতেও কখনো এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি। করোনার যেন নিজস্ব একটা পদ্ধতি আছে। প্রথমে একজন আক্রান্ত হচ্ছে, এরপর দুই জন, এরপর আরও ১০ এভাবে ছড়াতে থাকে কিন্তু জীবন তো আর থেমে থাকবে না। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। বাংলাদেশ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, করোনার সংক্রমণ জুলাই মাস পর্যন্ত বাড়তে থাকবে। এরপর আস্তে আস্তে কমে যাবে। সেটাই হচ্ছে। আশা করি, পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বন্ধ পাটকলগুলোর শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে। পাশাপাশি পাটকলগুলোকে আধুনিকায়ন করা হবে। গত এক বছর ধরে এ পাটকলগুলোর ২৫ হাজার শ্রমিককে সরকারের পক্ষ থেকে বেতন দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) দিতে পারছে না। সরকারের পক্ষ থেকে এভাবে বছরের পর বছর বেতন দিয়ে যেতে হবে। এ পাটকলগুলো সবচেয়ে পুরোনো, ৫০ ও ৬০ এর দশকে এগুলো স্থাপন করা হয়েছিলো। এগুলো আর লাভজনক করা সম্ভব না। বিশ্বে পাটের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আমরা পাটের জিন আবিষ্কার করেছি। পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটের সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী এ বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এ পাটকলগুলোকে সময়োপযোগী ও আধুনিক করতে হবে। আমরা সেটা কররো। শ্রমিকদের পাওনা ৫ হাজার কোটি টাকা আমরা পরিশোধ করবো। সব টাকা তাদের হাতে দেয়া হবে না। দিলে খরচ হয়ে যাবে। অর্ধেক টাকা তাদের সঞ্চয়পত্র করে দেবো। এতে তারা প্রতিদিনের মজুরির চেয়ে বেশি পাবে। এ পাটকলগুলো আধুনিক করে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এদের যারা আগ্রহী হবে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো যাবে।

 

Sharing is caring!

 

 

shares