গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাদেপাশা ইউপির কোনাগাও-উত্তর আলমপুর রাস্তাটিরবেহাল দশায় ভুক্তভোগী এ এলাকার হাজার হাজার মানুষ। কুশিয়ারা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত এ রাস্তাটি উত্তর আলমপুর, কোনাগাও ও খুলিয়া গ্রামসহ ভাদেশ্বর ইউপির উজান মেহেরপুর, কাটাখাল, নিয়াগুল, গোয়াসপুর, শেখপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের জনসাধারণের যাতায়াতের অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম।
বিশেষ করে উত্তর আলমপুর, কোনাগাও এবং খুলিয়া গ্রামের মানুষের যাতায়াতের জন্য কোন উপযুক্ত যাতায়াতের ব্যবস্থা না থাকার কারণে এ গ্রামগুলোর মানুষের যেন দূর্ভোগের শেষ নেই। এ সড়কটির প্রায় ৭৫% ভাগই ভাঙ্গাচোড়া। আর বর্ষাকালে রাস্তাটির বেশিরভাগ তলিয়ে যায় পানির নিচে। এ এলাকার কেউ যদি অসুস্থ হয় তবে এ রাস্তা দিয়ে তার চিকিৎসার জন্য শহরে নিয়ে যাওয়া প্রায় অসাধ্য ব্যপার হয়ে দাড়ায়, নেই বিকল্প কোন যাতায়াতের ব্যবস্থাও। সরেজমিনে গেলে ঐ এলাকার লোকজন জানান, প্রায় ৩/৪ বছর পূর্বেও এ সড়ক দিয়ে সিএনজি অটোরিকশার মাধ্যমে এলাকার মানুষ যাতায়াত করলেও বর্তমানে এ রাস্তাটি ভাঙ্গনের ফলে মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সেই সাথে বিপাকে পড়েছেন যাতায়াতরত সাধারণ মানুষ। কমবেশি প্রতিনিয়তই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘদিন যাবত এ রাস্তায় কোনও উন্নয়ন কিংবা সংস্কার কাজ না হওয়াতে রাস্তাটি আজ বিলীন হওয়ার পথে। একাধিকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লীষ্টদের দ্বারস্থ হলেও এর কোনও সুষ্ঠু সুরাহা পাননি বলে দাবী এলাকাবাসীর।
এদিকে অত্র এলাকার আবু সাঈদ জানান, এই রাস্তার বেহালদশা হওয়ায় অনেকের মা-বোনের প্রসব রাস্তায় হয়েছে। এমন অনেক হৃদয়বিদারক ঘটনা প্রায়শই শুনা যায়। রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় রাতে শহর থেকে ফেরার পথে অনেককেই ডাকাতীর কবলেও পড়তে হয়েছে বহুবার। তিনি আরো জানান, রাস্তাটি যদি চলাচলের উপযোগী করা হয় তাহলে কিছুটা হলেও এলাকাবাসীর কষ্ট লাঘব হবে সেই সাথে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া ডাকাতীর ঘটনা থেকেও মুক্তি পাবেন তারা।তাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লীষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।