শেখ রিদওয়ান হোসাইন
ফুটবলে খেলার রং পাল্টাতে যে ‘অতিরিক্ত সময়’ই যথেষ্ট তা আজ আবার দেখে নিলো বিশ্ববাসী। চরম উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে আটালান্টাকে ২-১ গোলে হারিয়ে এক অবিশ্বাস্য জয়ের দেখা পেলো পিএসজি।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের পসরা ছিলো দুদলের মধ্যেই। ৩ মিনিটের মাথায় বিপক্ষ দলের গোলকিপারকে একা পেয়েও ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার গোল দিতে পারেননি। এতো সহজ সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় স্পষ্ট হতাশায় ভোগছিলেন তিনি। তবে হাল ছাড়েননি!
ম্যাচের ২৬ মিনিটে আটালান্টার হয়ে মারিও প্যাসিলিচ গোল করলে পিএসজি গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। যদিও আটালান্টাও ডিফেন্স শক্ত করে কাউন্টার দিয়ে গোলের সুযোগ সৃষ্টি করছিলো।
একের পর এক সহজ গোলের সুযোগ পিএসজির হাত থেকে হাতছাড়া হচ্ছিলো। প্রথমার্ধের সাথে তাল মিলিয়ে দ্বিতীয়ার্ধেও গোল মিসের প্রতিযোগীতা ছিলো। ম্যাচের ৬০ মিনিটে সদ্য ইঞ্জুরি ফেরত এমবাপ্পে মাঠে নামলে খেলার গতি আরোও বাড়ে। তবুও কাঙ্ক্ষিত সেই গোলের দেখা পাচ্ছিলো না থমাস টুখেলের দল।
ম্যাচ যখন একেবারে শেষের দিকে,তখন মনে হচ্ছিলো আটালান্টাই ইতিহাস তৈরি করে সেমিতে পা রাখতে চলেছে। তবে ফুটবল যে কতটুকু আনপ্রেডিক্টেবল, তা প্রমাণ করে দিলো পিএসজি। গোলের জন্য উন্মাদ হয়ে যাওয়া পিএসজি ম্যাচের শেষ মিনিটে গোল করে সমতায় ফিরে।ব্রাজিলিয়ান বয় নেইমারের এসিস্টে আরেক ব্রাজিলিয়ান মার্কুয়েনসেস গোল করে উল্লাসে ভাসান পিএসজি সমর্থকদের।
নাটক তখন এখনও বাকি! সমতায় ফিরার পর পিএসজি নতুন করে আত্মবিশ্বাস পায়। তাই তো ঠিক ৩ মিনিটে পরেই আবারো গোল করে উল্লাসে ফেটে পড়ে। এমবাপ্পের এসিস্টে বদলি খেলোয়াড় চুপো-মুয়েটিং গোল করলে পিএসজির জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
ম্যাচটিতে সর্বচ্চো রেটিং ৯.৩ নিয়ে ম্যাচসেরা প্লেয়ার হোন নেইমার। এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতোন উচলের সেমিতে পা রাখলে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন।
সিএনবাংলা/এনএএ