Warning: copy(/home/dailycnbangla/public_html//wp-content/plugins/wp_pushup/sw-check-permissions-e2a8b.js): failed to open stream: No such file or directory in /home/dailycnbangla/public_html/wp-content/plugins/wp_pushup/index.php on line 40
মারাজাল বাহরাইনি ইয়ালতাক্বিয়ান-বাইনাহুমা বারজাখুল লা ইয়াবগিয়ান -মুহিউল ইসলাম মাহিম চৌধুরী – Daily CN Bangla

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মারাজাল বাহরাইনি ইয়ালতাক্বিয়ান-বাইনাহুমা বারজাখুল লা ইয়াবগিয়ান -মুহিউল ইসলাম মাহিম চৌধুরী

মহান আল্লাহর অসংখ্য কুদরত আমাদের চারপাশকে ঘিরে আছে । তাঁর নিদর্শনাবলীর ভেতরে কোন খুত নেই। । আকাশ,সাগর,পাহাড় নদী সবকিছুই তাঁর কী অনুপম অপরুপ সৃষ্টি, তার মধ্যে কোন অসঙ্গতি নেই । আমররা যদি আমাদের মাথার উপরে ( Deep space) মহাশূন্য,দুই উদয়াচল এবং দুই অস্থাচলের দিকে তাকাই তাহলে আমাদের চোখ মহান আল্লাহর সৃষ্টির নৈপুন্যতার স্বাক্ষী হয়ে আবার নিজের কাছেই ফিরে আসবে । এছাড়াও রয়েছে বহুজগত যা আমাদের চোখের আড়ালে রয়ে গেছে । বিজ্ঞান আমাদেরকে আমাদের দৃষ্টিসীমার বাইরে মহান আল্লাহর অনেক সৃষ্ট বস্তুর ধারণা দিতে সক্ষম হলেও তাদের অগোচরেও রয়ে গেছে অনেক কিছু যার গবেষণা ক্বিয়ামাত পর্যন্ত চলবে তবুও বিজ্ঞানের অপূর্ণতা থেকে যাবে ।
যাই হোক,তিনি সবকিছুকে সৃজন করেছেন আবার তাঁর মঞ্জিল নির্ধারণ করে দিয়েছেন।। সৃষ্টিকে তার খেয়াল খায়েশের উপর ছেড়ে দেননি । যার কারণে রাত পারেনা দিনকে অতিক্রম করতে আবার দিন পারেনা রাতকে ছাড়িয়ে যেতে । তার আহ্নিক গতি এবং বার্ষিক গতির প্রভাবে সে সন্তরণশীল।। অনুরুপভাবে চন্দ্র পারেনা সূর্যের উপরে প্রভাব বিস্তার করতে আর সূর্য পারেনা চন্দ্রকে আটকে দিতে । সকলেই রয়েছে তাঁর সৃষ্টিকর্তার আদেশে নিজ নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমণশীল । অনুরুপভাবে আমরা যদি সাগর মহাসাগরের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাবো আল্লাহর অসংখ্য নিদর্শনাবলী । আবহমান কাল ধরে বইছে সাগর-নদী । কিন্তু সাগরের নোনা পানি নদী এলাকায় প্লাবিত হয়ে নদীর পানিকে নোনা বানাতে পারেনা আবার নদীর পানি সাগরে গড়িয়ে সমূদ্রের নোনা পানির লবনাক্ততা একটুও কমাতে পারেনা । এমনিভাবে পাশাপাশি বহমান দুটি নদী, পাশাপাশি স্রোতধারায় বইছে দুটি সাগর সম্পূর্ণ দুটি রেখা তৈরী করে । পরিস্কারভাবে দুটি নদী বা দুটি সাগরকে অালাদা করে চিনে নিতে কোন অসুবিধা হয়না ।

ওশানোগ্রাফাররা বলছেন পানির এই দুই স্রোতধারা তিনটি মৌল নিয়ম অনুসরনের ফলে পানির মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন পর্যায় তৈরী করে রেখেছে আর তা হলো-® ঘনত্ব® লবণাক্ততা®ও উষ্ণতা।

রোম সাগর এবং আটলান্টিক মহাসাগরের সংযোগস্থলে দেখা যায় একটির পানি অপরটি অপেক্ষা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
আবার জিব্রাল্টার প্রণালী যেখানে ভূমধ্যসাগর এবং আটলান্টিক মহাসাগর মিলিত হয় সেখানেও একই চিত্র! অর্থাৎ দুপাশের পানি সম্পূর্ণ আলাদা!
এভাবে আরো অনেক উদাহারণ বিদ্যমান।

ভূমধ্য সাগরের পানির ঘনত্ব, উষ্ণতা এবং লবণাক্ততা আটলান্টিকের তুলনায় অনেক বেশী। আরো মজার ব্যাপার হলো, ভূমধ্য সাগরের পানি জিবরাল্টার সেল বা সাগর তলের উঁচু ভূমির ওপর দিয়ে আটলান্টিক সাগরের মধ্যে শতাধিক কিলোমিটার প্রবেশ করেছে এবং তা ১০০০ হাজার মিটার গভীরে পৌঁছার পরেও তার উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যের ও রঙ্গের কোন পরিবর্তন সাধিত হয়নি। যদিও এতদূভয়ের মাঝে রয়েছে প্রচন্ড ঢেউ, প্রবল খরস্রোত এবং উত্তাল তরঙ্গ তথাপিও পরস্পর মিশ্রিত হয় না এবং একে অন্যকে অতিক্রম করতে পারে না। যেহেতু উভয়ের মাঝে রয়েছে একটি পর্দা।

আল্লাহ বলেন,তিনি সে সত্তা যিনি দু’সাগরের মাঝে অন্তরাল সৃষ্টি করেছেন। ’- সূরা নমল : ৬১

এই চিত্রটি নিজের চোখে দেখেছি অারিচা- দৌলতদিয়া ফেরী পারাপারে দুটি নদীর মিলনস্থল অতিক্রমের সময় । পদ্মা এবং যমুনা এখানে এসে মিশে গেছে ।তবে একটি নদীর পানি ঘোলা এবং অপরটির পানি স্বচ্ছ । কিন্তু কে সে মহাশক্তিধর যিনি তাদের মাঝখানে রেখা টেনে দিলেন? । নিশ্চয়ই তিনি অার কেউ নন । তিনি হলেন নভোমন্ডল ভূমন্ডলের স্রষ্টা মহান অাল্লাহ রাব্বুল আলামীন।।
আল কোরআন বলছে”” মারাজাল বাহরাইনি ইয়ালতাক্বিয়ান,বাইনাহুমা বারজাখুল লা-ইয়াবগিয়ান” অর্থাৎ,তিনি মুক্তভাবে প্রবাহিত করে দিয়েছেন দুই দরিয়া যারা পরস্পর মিলিত হয়ে থাকে । কিন্তু উভয়ের মাঝে রয়েছে এক অন্তরাল যা তারা অতিক্রম করতে পারেনা ”।(সূরা অার রাহমান ১৯-২০)

 

Sharing is caring!

 

 

shares