নিউজ ডেস্কঃ সিলেটে জামায়াতে ইসলামি সমর্থিত দুই চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে সিলেটের দায়রা জজ আদালতে জামিন নিতে গেলে তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠনোর নির্দেশ দেন আদালত।
গ্রেপ্তারকৃত দুই চেয়ারম্যান হলেন- বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউপি চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা মো. দেলওয়ার হোসেন এবং মুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. ফরিদ আহমদ। জানা যায়, গত ২৯ ডিসেম্বর সিলেট আলিয়া মাদ্রাসার পাঠাগারে ‘গোপন সম্মেলন’র আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামের ছাত্র সংগঠন শিবির। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় শিবিরের ৩ কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পরবর্তীতে পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় দেলওয়ার হোসেন ও ফরিদ আহমদকে আসামি করা হয়।
সদ্য সমাপ্ত চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুই ইউপিতে স্বতন্ত্রের ব্যানারে বিজয়ী হন জামায়াতের এই দুই নেতা। এর মধ্যে ১০নং মুড়িয়া ইউনিয়ন বিয়ানীবাজার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ফরিদ আল মামুন ভোট পান ৬ হাজার ২২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির পান ৩ হাজার ৩৪৭ ভোট।
অপরদিকে ১১ নম্বর লাউতা ইউনিয়নে তিনবার নির্বাচন করে জয়ের মুখ দেখেন ইউনিয়ন জামায়তের নেতা দেলোয়ার হোসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও গত মেয়াদের চেয়ারম্যান গৌছ উদ্দিন। ওই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আব্দুল জলিল তৃতীয় হন।
উল্লেখ্য, সিলেট আলিয়া মাদরাসার পাঠাগার দীর্ঘদিন থেকেই পরিত্যক্ত। পরিত্যক্ত পাঠাগারে কে বা কারা আসে-যায় তা দেখভাল করা হয় না। নেই কোনো সিসি ক্যামেরাও। গত ২৯ ডিসেম্বর সেই পাঠাগারে ‘গোপনীয়ভাবে’ সম্মেলনের আয়োজন করে শিবির। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে ওই পাঠাগারে অর্ধশতাধিক শিবিরের নেতাকর্মী অবস্থান নেন। খবর পেয়ে সিলেটে মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ২ শিবির নেতা ও সন্দেহভাজন আরও একজনসহ তিনজনকে আটক করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
ওই দিন আটক শিবির কর্মীরা হলেন- সিলেট শহরতলির জালালাবাদ থানাধীন আটগাঁও গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে আমিনুর রহমান, দক্ষিণ সুরমা সিলামের আসাদ মিয়ার ছেলে শাহার আহমদ তানভির আহমদ নামের আরও এক যুবক।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, দুই চেয়ারম্যান জামিন নিতে গেলে তাদের জামিন না মঞ্জুর করেন আদালত। কোতোয়ালী থানার মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আরো মামলা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।