নিজস্ব প্রতিবেদক: চায়ের রাজধানী সিলেটে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে লোকাল ব্রান্ডের চা পাতার কোম্পানীগুলো।সিলেট শহরতলী ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায় এসব ব্রান্ডের আধিক্য।হাজার কোটি টাকার বহুজাতিক কোম্পানী তাজা, ইস্পাহানী অথবা সরকারী ব্রান্ড ন্যাশনাল ক্রমশ মার খেয়ে যাচ্ছে এসব অখ্যাত চা কোম্পানীর কাছে।গত কয়েকবছর ধরেই এই অবস্থা চলছে।
সিলেট শহরতলীর আখালিয়া নয়া বাজার ঘুরে পাওয়া গেল ম্যাগভিল টং এর চা নামক একটি ব্রান্ডের।ঝকঝকে দামী মোড়কের এই চা সরবরাহ করছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী।পাশেই পাওয়া গেল তাদের।তাদের কাছে চায়ের ব্যবসা ও ব্রান্ড সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়,পড়ালেখার পাশাপাশি চায়ের ব্যবসায় নেমেছে তারা।মানসম্মত চায়ের সন্ধান খুজতে গিয়েই ম্যাগভিলের খুঁজ পায় তারা।
দোকানদারের ভাষ্য অনুযায়ী, ম্যাগভিল ব্রান্ডটি কম টাকায় মানসম্মত চা দিচ্ছে তাই পুষ্টি চা বাদ দিয়ে ম্যাগভিল চালাচ্ছেন তিনি।আখালিয়ার পার্শ্ববর্তী এলাকা মদিনা মার্কেটেও দেখা গেল একই অবস্থা। ইউনিলিভারের তাজা মার খাচ্ছে খোলা চায়ের কাছে।লতিফ স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল লতিফের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মানুষ এখন কম টাকায় ভালো জিনিসের দিকে ছুটছে।বহুজাতিক কোম্পানীর একই মানের চা কেজিতে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কমে পাওয়ায় এইসব ব্রান্ডের দিকে মানুষ আকৃষ্ট হচ্ছে।
সিলেট নগরীর আম্বরখানা,খাসদবীর,বড়বাজার ঘুরে দেখা গেল পুষ্টি,ম্যাগভিল,ইস্পাহানীর আধিক্য।এসব বাজারেও লোকাল ব্রান্ড ম্যাগভিল দাপট দেখাচ্ছে। অবশ্য ভিন্ন চিত্র বন্দর,জিন্দাবাজার,কালিঘাট এলাকায়।এসব এলাকায় একচেটিয়া দাপট ইস্পাহানী ও তাজা চায়ের। কালিঘাট এলাকায় সিলেটের পাইকারী চায়ের বাজারে দেখা পাওয়া গেল মেঘা,হাইলেভেল,শেরাটন,হলিসহ কয়েকটি চা কোম্পানীর।তারাও সমানতালে ব্যবসা চালাচ্ছে বড় কোম্পানীগুলোর সাথে টক্কর দিয়ে।তবে লোকাল কোম্পানীগুলোর বেশিরভাগেরই মূলধন কয়েক কোটি টাকা করে।মেঘা ও হাইলেভেলে গিয়ে দেখা যায় গোডাউন ভর্তি চায়ের স্তুপ।মেঘা চায়ের ম্যানেজার ইমরান জানান, তাদের কাছে কয়েকয়েক কোটি টাকার চা স্টক করা আছে।এছাড়াও তাদের কাছে ১০ গ্রাম থেকে শুরু করে ৫০০ গ্রামের প্রায় ১৩ রকমের প্যাকেট চাও আছে।