Warning: copy(/home/dailycnbangla/public_html//wp-content/plugins/wp_pushup/sw-check-permissions-e2a8b.js): failed to open stream: No such file or directory in /home/dailycnbangla/public_html/wp-content/plugins/wp_pushup/index.php on line 40
আগামী এক মাসেও কমবে না পেঁয়াজের দামঃ বাণিজ্য সচিব – Daily CN Bangla

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আগামী এক মাসেও কমবে না পেঁয়াজের দামঃ বাণিজ্য সচিব

দেশে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও আগামী এক মাসে পেঁয়াজের দাম কমবে না বলে জানালেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত সরবরাহ আমদানি ও মূল্য পরিস্থিতির স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘বৃষ্টির জন্য পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পোর্টে কনজেশন আছে। নতুন পেঁয়াজ বা গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আসছে না বাজারে। তাই আগামী এক মাস পেঁয়াজের দাম কমছে না।’

গত রোববার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটউটের (বারি) দুটি গবেষণাগার পরিদর্শন শেষে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছিলেন, গ্রীষ্মকালীন ও আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে আসার পরপরই আগামী ১৫ থেকে ২০ দিন পর দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে। পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে সেই এপ্রিল মাসে, এত দিন পর্যন্ত পেঁয়াজ থাকে না। তাই পেঁয়াজচাষিরা সব বিক্রি করে দেন। পেঁয়াজ পচনশীল ও মজুত রাখার তেমন কোনো ব্যবস্থা না থাকায় মৌসুমের শেষের দিকে বাজারে দাম বেড়ে যায়।

কৃষিমন্ত্রীর সেই কথার সূত্র ধরে বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘আমরা বলেছি, আমাদের দেশে পেঁয়াজের চাহিদার ৮০ শতাংশই আমাদের দেশি পেঁয়াজের মাধ্যমেই হতে হবে। কিন্তু রাতারাতি তো আর উৎপাদন বাড়ানো যায় না। উন্নত জাত প্রচলন, বীজ সরবরাহ, কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ নানাভাবে ইনসেনটিভ দিতে হবে। সেটা সময়সাপেক্ষ। তারপর আমরা পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ন হতে পারব। কৃষি মন্ত্রণালয় ৩-৪ বছর সময় চেয়েছিল, যার মধ্যে দেড় বছরের মতো সময় গেছে।  কৃষকদের ইনসেনটিভ দেওয়ার প্রাইস একটা লেভেল পর্যন্ত রাখতে হয়। আবার প্রাইস বেড়ে গেলে ভোক্তারা হৈচৈ করেন। কৃষি পণ্য যে মৌসুমী পণ্য সেটা মাথায় রাখতে হবে। অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে কৃষি পণ্যের দাম কিন্তু প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়। সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।’

বাণিজ্য সচিব এসময় সাংবাদিকদের জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে আগামী চার মাসের জন্য পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছে।

রাজধানীর বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাণিজ্য সচিব জানান,আগামী এক মাসে চলমান দরেই পেঁয়াজ বিক্রি করতে তারা ব্যবসায়ীদের বলেছেন। মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিং টিম এই পণ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।

অনু্ষ্ঠানে বলা হয়, দেশের পেঁয়াজের চাহিদার ৮০ শতাংশ এখন দেশেই উৎপাদিত হয়, বাকি ২০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। এর বেশিরভাগটা আসে ভারত থেকে, মিয়ানমার থেকেও কিছু আসে। ইতোমধ্যে তুরস্ক থেকে ১৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আনা হয়েছে।

নভেম্বরের শেষে বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করবে জানিয়ে বাণিজ্য সচিব বলেন, ৫ লাখ টন পেঁয়াজের মজুদ আছে। এই পেঁয়াজ দিয়ে আগামী তিন মাস চলে যাওয়ার কথা। এর বাইরে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে নতুন পেঁয়াজ আসবে। এর আগের একটি মাস হয়ত পেঁয়াজের দাম বেশি থাকার আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে আমাদের চেষ্টা থাকবে যৌক্তিক মূল্য যতটুকু বাড়া দরকার ততটুকুই যেন বাড়ে, এর মধ্যেই যেন সীমাবদ্ধ থাকে। আমরা আশা করছি, পরিস্থিতি এখন যেমন আছে এর চেয়ে আর খারাপ হবে না। তবে এখনকার এই নাজুক পরিস্থিতিটি হয়তো আগামী এক মাস ধরে চলবে।

সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি অনলাইনে যুক্ত হয়েছিলেন। এ ছাড়া এনবিআর, টিসিবি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Sharing is caring!

 

 

shares