আমরা প্রত্যেকে যার যার অবস্থান থেকে আন্তরিকতার সাথে যদি মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে পারি, সেই ক্ষেত্রে মানুষের কল্যাণ এমনকি নিজেরও কল্যাণ অনস্বীকার্য। দেশে আমরা যারা স্বাস্থ্যকর্মী আছি, আমাদের কর্মগুণে সুনাম অর্জন করতে হবে।
মঙ্গলবার সকালে সিলেট ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের কনফারেন্স হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডি কন্ট্রোল প্রোগ্রাম এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ইউএসএ ভিত্তিক রিজল্ভ টু সেইভ লাইভ্স এর সহযোগিতায় উচ্চ রক্তচাপ নির্ণয়, চিকিৎসা ও ফলোআপ শীর্ষক পাইলট প্রকল্পের সিলেট জেলার ১৩ টি উপজেলার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে সিলেটের স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বে প্রতিবছর দেড় কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগে মৃত্যুবরণ করেন। আমাদের দেশও তা থেকে ব্যতিক্রম নয়। দেখা যায়, অনেকে জানেন না যে তার উচ্চ রক্তচাপ হয়েছে, তাই নিরব ঘাতক ব্যধি থেকে রক্ষা পেতে হলে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, যে সকল মানুষ অসংক্রামক ব্যধিতে ভোগছেন, তাদেরকে যদি আমরা চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুস্থ্য রাখতে পারি, তাহলে সমাজ অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. মো. আমিনুর রহমান লস্করের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ফাউন্ডেশনের পাবলিসিটি সেক্রেটারী ও প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর আবু তালেব মুরাদ, প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া এবং ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয়।
সভাপতির ভাষণে প্রফেসর ডা. আমিনুর রহমান লস্কর বলেন, সিলেটের ৪টি উপজেলায় উক্ত প্রকল্প সফল হওয়ায় সিলেট বিভাগের ৩৭টি এবং কিশোরগঞ্জ ও জামালপুরসহ মোট ৫৪ টি উপজেলায় বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উক্ত প্রকল্পের মাধ্যমে ১৮ বছরের বেশি বয়সের সবার রক্তচাপ পরিমাপ করা হয়। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করার পাশাপশি তাদেরকে ফলোআপও করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. শামিম জোবায়ের, প্রজেক্ট অফিসার এহসানুল আমিন ইমন এবং মেডিকেল অফিসার ডা. শাহিনুল ইসলাম।
এখানে উল্লেখ্য, ৭, ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর তিনদিনের এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রতিদিন ২৫ জন করে প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করছে।