Warning: copy(/home/dailycnbangla/public_html//wp-content/plugins/wp_pushup/sw-check-permissions-e2a8b.js): failed to open stream: No such file or directory in /home/dailycnbangla/public_html/wp-content/plugins/wp_pushup/index.php on line 40
মাদক নিরাময়ে চাই আন্তরিকতা ও পারস্পরিক ভালোবাসা – Daily CN Bangla

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাদক নিরাময়ে চাই আন্তরিকতা ও পারস্পরিক ভালোবাসা

সাকারিয়া সাকিরঃ তরুণ সমাজের বহু মেধাবী ও সম্ভাবনাময় প্রতিভা মাদকের নেশার কবলে পড়ে ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে সামাজিক অবক্ষয়ের পথ বেছে নিয়েছে। যেহেতু মাদকাসক্তি ও নেশাজাতীয় দ্রব্য মানবসমাজের জন্য সর্বনাশ ও চিরতরে ধ্বংস ডেকে আনে, তাই ইসলামি শরিয়ত মাদকদ্রব্যকে চিরতরে হারাম ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। পবিত্র কোরআনে অনেক আয়াতেই মাদক সেবনের ওপর রয়েছে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও নিষেধাজ্ঞা।

মাদকাসক্তির আগ্রাসন ধীরে ধীরে গ্রাস করছে তরুণ সমাজকে। তবে এটি প্রতিরোধে সচেতনতা আগের তুলনায় অনেক বেশি। তারপরও মাদকাসক্তির এ বিস্তার উদ্বেগজনক। দেশের উন্নতি অগ্রগতি নির্ভর করে যুব সমাজের কর্মক্ষমতার ওপর। সেই যুব সমাজ যদি মাদকাসক্তিতে ঝুঁকে পড়ে তাহলে জাতীয় অগ্রগতি হুমকির মুখে পড়তে বাধ্য।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন কে আরো কঠোর ও যুগোপযোগী করে মাদক নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখছে বর্তমান সরকার। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও রয়েছেন কঠোর অবস্থানে। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মাদক নিরাময়ে চাই পরিবারের আন্তরিকতা ও পারস্পরিক ভালোবাসা। ধর্মভীরু পরিবারের পিতা-মাতাই সন্তানকে মাদকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে পারেন। পিতা-মাতারা যদি তাঁদের ব্যস্ত সময়ের একটা নির্দিষ্ট অংশ সন্তানের জন্য বরাদ্দ রাখেন, তাদের ইসলামের বিধিবিধান ও ধর্মীয় অনুশাসন শিক্ষা দেন, তাদের সঙ্গে সদাচরণ করেন, তাদের জীবনের জটিল সমস্যাবলি সমাধানে অত্যন্ত সচেতন ও মনোযোগী হন, তাহলেই যুবসমাজে মাদকাসক্তির প্রতিরোধ বহুলাংশে সম্ভব।

মাদকাসক্ত একজন তরুণ-তরুণীর দিনের প্রায় বেশিরভাগ সময় ব্যয় হয় মাদক সংগ্রহ ও মাদকের কারণে সৃষ্ট শারীরিক ও মানসিক সমস্যা ও কষ্ট দূর করতে। ফলে তার দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজকর্ম, পড়াশুনা, ব্যক্তিগত এবং সামাজিক জীবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাদকের ব্যয় নির্বাহ করতে গিয়ে অনেকে চুরি, ছিনতাই এমনকি মাদক ব্যবসায়ের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। মাদকাসক্ত একজন তরুণকে কখনো অপরাধী হিসেবে গণ্য করা যাবে না যতক্ষণ সে মাদক বিক্রি ও অন্যান্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

মাদকের ভয়াল ও আগ্রাসী ব্যাধিতে দেশের যুবসমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে ও মাদক সেবন রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন।
এছাড়া মাদকাসক্তি রোধে মানসম্পন্ন মাদকাসক্তি চিকিৎসাকেন্দ্র, পরামর্শ কেন্দ্র ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণে কার্যকরী ভূমিকা রাখছে সরকার।

মাদকাসক্তি মুক্ত সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গঠনে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। কিন্তু এর সাথে পরিবার, সমাজ, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমূহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও প্রয়োজন। তাই আমাদের সকলের উচিৎ সরকারকে ও সহযোগিতা করা।

লেখকঃ সাকারিয়া হোসেন সাকির, সিলেট মহানগর যুবলীগ

Sharing is caring!

 

 

shares