তাহিরপুর প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের টাকাটুকিয়া গ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়–য়া ছাত্রীদের ইভটিজিং করার দায়ে, সামাজিক শাস্তির রোষানলে সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের উপড় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আতর্কিত হামালা চালায় একদল বখাটে যুবক।
এমন নেক্কার জনক ঘটনায়, বুধবার (১৪ এপ্রিল) রাতে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছেন তাহিরপুর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন, উপজেলার টুকেরগাঁও গ্রামের মৃত ফালু মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া (৪৫) ও তার সহোদর শহীদ মিয়া (৫০)।
এঘটনায় বুধবার রাতেই উপজেলার টুকেরগাঁও গ্রামের বিল্লাল মিয়া সহ ১৩ নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত কয়েক জনের নামে থানায় মামলা করেন আহত দেবেন্দ্র বর্মণের ছেলে শ্যামল বর্মণ।
জানাগেছে, একই ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী টুকেরগাওঁ গ্রামের মুক্তার মিয়ার বখাটে ছেলে কাশেম মিয়া, বিল্লালের ছেলে মুসা মিয়া ও পাভেল দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়–য়া দুই কিশোরীকে আসা যাওয়ার পথে মোটর সাইকেল চালিয়ে গতিরোধ করে তাদেরকে নানা আজেবাজে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো ওই বখাটেরা।
এক পর্যায়ে কিশোরীদের পরিবার তাদেরকে বিদ্যালয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দিলে বাড়ির আশেপাশে বখাটেরা চলাচল করতে শুরু করে। এ নিয়ে এলাকায় সালিশ বৈঠক হলে তাদেরকে কানে ধরে উঠবস করানো হয় এই ঘটনার ৪ মাস আগে। এসময় তারা সালিশী বৈঠকে তারা কথা দিয়েছিলো এরকম কোন কাজের সাথে আর জড়িত হবে না। কিন্তু এমন প্রতিশ্রুতি বঙ্গ করে বুধবার দুপুরে টুকেরগাওঁ গ্রামের মুক্তার হোসেন,তার ছেলে কাশেম মিয়া, বিল্লাল হোসেন তার ছেলে মুসা মিয়া, পাভেল মিয়া শহীদ মিয়া ও ফালু মিয়ার নেতৃত্বে ২০/৩০ জন দেশীয় ও দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে পার্শবর্তী গ্রামের দেবেন্দ্র বর্মণের বাড়িতে আতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে একই পরিবারের ৮ জন সদস্যকে কুপিয়ে আহত করে।
তাহিরপুর থানার (ওসি) আব্দুল লতিফ (তরফদার) জানান,টাকাটুকিয়া গ্রামের হিন্দু পরিবারের উপড় হামলার ঘটনায় মামলার এজাহার ভুক্ত ২ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদেরকেও আইনের আওতায় আনার ব্যাবস্থা অব্যাহত রয়েছে।
সিএনবাংলা/জীবন