সিএনবাংলা ডেস্ক:: পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে নাগরিক জীবনের নিরাপত্তা বিধান ও শান্তি-শৃঙ্খলার লক্ষ্যে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এমএমপির অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া ও কমিউনিটি সার্ভিস) জ্যোতির্ময় সরকার স্বাক্ষরিত গতকাল রোববার গণবিজ্ঞপ্তিতে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নির্দেশনা মেনে ঈদ-উল-আযহা উদযাপন করার অনুরোধ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে সিলেট সিটি কর্পোরেশন, সিলেট সদর উপজেলা ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা হতে প্রাপ্ত স্থায়ী ও অস্থায়ী অনুমোদিত পশুর ১০টি হাটের তালিকা প্রকাশ করা হয়। পশুর হাটগুলো হচ্ছে, কোতোয়ালি মডেল থানার কাজিরবাজার পশুর হাট, জালালাবাদ থানার শিবেরবাজার পশুর হাট (খোলা জায়গা), এয়ারপোর্ট থানার ধূপাগুল পয়েন্ট সংলগ্ন মাঠ পশুর হাট (খোলা জায়গা) ও লাক্কাতুরা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ পশুর হাট, দক্ষিণ সুরমা থানার লালাবাজার পশুর হাট (খোলা জায়গা) ও কামালবাজার জাবেদ অটো রাইছ মিলের মাঠ পশুর হাট, মোগলাবাজার থানার জালালপুর বাজার পশুর হাট, রেঙ্গা হাজীগঞ্জ বাজার পশুর হাট (খোলা জায়গা), রাখালগঞ্জ বাজার পশুর হাট (খোলা জায়গা) ও কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনাল পশুর হাট।
ব্যাংক, অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে পুলিশের সহায়তা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিটি পশুর হাটে জাল টাকা সনাক্তকরণে ব্যাংক কর্তৃক স্থাপিত বুুথে জাল টাকা সনাক্ত করণ মেশিন দ্বারা টাকা পরীক্ষা করতে হবে, পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। ক্রেতা, বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্টদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কোনক্রমেই মাস্ক ছাড়া কোন ক্রেতা বা বিক্রেতা পশুর হাটের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন না।
সর্দি, কাশি, জ্বর বা শ্বাসকষ্ট নিয়ে কেউ পশুর হাটে প্রবেশ করবেন না। শিশু, বায়োবৃদ্ধ ও অসুস্থতা নিয়ে হাটে প্রবেশ করবেন না; রাতের বেলায় জনবহুল রাস্তা দিয়ে চলাচলের অনুরোধ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। রাস্তায় চলাচলের সময় সঙ্গে থাকা মূল্যবান সামগ্রী বা টাকা পয়সা সম্পর্কে সাবধানতা অবলম্বন করা এবং মধ্য বা শেষ রাতে বাসস্ট্যান্ডে নামলে সতর্কতার সাথে চলাচল করা প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নেবার পরামর্শ দেয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এছাড়া, ট্যাক্সি বা অটোরিক্সা বা ভাড়ায় চালিত অন্যান্য গাড়ি ভাড়া করার সময় গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং চালকের নাম, ঠিকানা লিখে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। প্রয়োজনে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও চালকের নাম, ঠিকানা নিকটজনের নম্বরে এসএমএস করা ; সীমিত সংখ্যক ক্রেতাকে হাটের ভিতর প্রবেশের সুযোগ দিয়ে বাকিদের বাইরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবস্থানের পরামর্শ দেয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
অস্থায়ী পশুর হাট নির্ধারিত সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে কোনক্রমেই হাটের সীমানা সম্প্রসারণ করা যাবে না। হাটের নির্ধারিত এলাকার বাইরে গরু রাখা যাবে না এবং রাস্তার উপর গরু ও গরুর ট্রাক রেখে যানজট সৃষ্টি করা যাবে না।
এক হাটের গরু জোর করে অন্য হাটে নেয়া যাবে না এবং পশুবাহী গাড়ী/ট্রাক পরিবহনে বাধা প্রদান করা যাবে না। গরুবাহী/পশুবাহী গাড়ীর সামনে ব্যানারে হাটের নাম বড়, স্পষ্ট করে লিখতে হবে; প্রতিটি পশুর হাটে আলাদা পোশাকে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে এবং প্রয়োজনে হাটের চারপাশে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
কোনভাবে হাসিলের টাকা বেশি নেয়া যাবে না এবং প্রতিটি পশুর হাটে নির্দিষ্ট হাসিলের হার সর্বসাধারণের অবগতির জন্য বড় ব্যানারে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখতে হবে; হাট ইজারাদার কর্তৃক কোরবানির পশু ক্রেতা-বিক্রেতাগণকে মলমপার্টি, অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম এবং স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সম্পর্কে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে সচেতন করতে হবে;হাটে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য আলাদা পথ রাখতে হবে। পশুর হাটে প্রবেশের পূর্বে ও বের হওয়ার সময় তরল সাবান বা সাধারণ সাবান এবং পানি দিয়ে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা রাখা ও জীবাণুনাশক চেম্বার স্থাপনের জন্য অনুরোধ করা হয়।
হাটে একটি পশুর সারি হতে অন্য সারির দূরত্ব অন্ততপক্ষে ১৫ ফুট রাখতে হবে। মূল্য প্রদান, হাটে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় কমপক্ষে দুই হাত দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়াতে হবে প্রয়োজনে রেখা টেনে বা গোল বৃত্ত তৈরী করতে হবে। ভিড় এড়াতে মূল্য পরিশোধ ও হাসিল আদায় কাউন্টারের সংখ্যা বাড়াতে হবে; পর্যাপ্ত পানি, ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পশুর বর্জ্য দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে। কোথাও জলাবদ্ধতা তৈরী করা যাবেনা; এবং পশুর হাটের সাথে জড়িত সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী ও হাট কমিটির সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি সমূহ সার্বক্ষণিক মাইকের মাধ্যমে প্রচার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে ।
এছাড়া, প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য এসএমপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন ফোন নাম্বার দেওয়া হয়েছে, যোগাযোগের নাম্বারগুলো হলো-পুলিশ কমিশনার-০১৭১৩-৩৭৪৫০৬, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদর ও প্রশাসন)-০১৭১৩-৩৭৪৫০৭, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস)-০১৭৬৯-৬৯১৩২৬, ডিসি (উত্তর) ০১৭১৩-৩৭৪৫০৯, ডিসি (দক্ষিণ) ০১৭১৩-৩৭৪৫১০, ডিসি (ট্রাফিক) ০১৭১৩-৩৭৪৫১১, ওসি, কোতোয়ালি-০১৭১৩৩৭৪৫১৭, ওসি, জালালাবাদ-০১৭১৩৩৭৪৫২২, ওসি, এয়ারপোর্ট-০১৭১৩৩৭৪৫২১, ওসি, দক্ষিণ সুরমা-০১৭১৩৩৭৪৫১৮, ওসি, শাহপরান (রঃ)-০১৭১৩৩৭৪৩১০, ওসি, মোগলাবাজার-০১৭১৩৩৭৪৫১৯।
পুলিশ কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগ হচ্ছে, (২৪ ঘন্টা খোলা) ০১৭১৩-৩৭৪৩৭৫, ০১৯৯৫-১০০১০০, ০৮২১-৭১৬৯৬৮। ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের নম্বর হচ্ছে, ০৮২১-৭১৮০২৮, ০১৯৬৬-৬০৬৬৩৬ ও জরুরী সেবা ৯৯৯।
সিএনবাংলা/একেজে