তুমি নেই তাই
কবিঃ শাহ্জালাল
কবিতার পর কবিতা লিখেছি
তবুও আসোনি ফিরে,
গল্প লেখার পালা শেষ হলো
তুমি আছো কতদুরে?
ভাল আছো কি প্রবাসে তুমি
সত্যি করে বলো,
তুমি বিহনে হৃদ মাঝে নেই
একটুখানী আলো।
তারার মাঝে খুজেছি তোমায়
খুজেছি ভূবন জুরে,
তেরটি নদী পাড়ি দিয়েছি তবু
তুমি আজ কতদুরে?
সমুদ্র পাড়ে খুঁজেছি তোমায়
হয়েছি দিশেহারা,
তুমি নেই তাই নিরব হয়েছে
দেশের সকল পাড়া।
এদেশ থেকে ওদেশ গেছি
খুঁজেছি লোকের ভীরে,
তুমি নেই তাই বিষন্ন মনে
বসে একলা তীরে।
তোমার সাজানো বাগানে আজ
ফুল ফুটেছে কত!
পাপড়িগুলো ঝরে পড়েছে
কান্না বরেছে শত।
টিয়া পাখিটি মুক্ত করেছি
তবু যায় না দুরে,
সন্ধা বেলায় ফিরে আসে রোজ
ডাকে আপন সুরে।
কাকাতুয়া আজ কয় না কথা
মনটা ভীষন ভার,
ফুলের টবে পানি আছে তবু
সতেজ হয় না আর।
ডালিম গাছেতে পোঁকা ধরেছে
পাখি বসে না তাতে,
তোমার ছোয়াতে প্রাণ পাবে সে
আবার আসবে যবে।
ঘরের মেঝেতে মাদুর বিছায়ে
কেটেছে শত রাত,
ঘুম গুলো কেমন উকি দেয় তবু
কাছে আসে না আজ।
ঝিঝি পোঁকাগুলো গান গায় সদা
কেটেছে ঘুমের রেশ,
আসবে বলে তোমাকে তখন
সুর শোনাবে বেশ।
হয়তো আছো বেশ তুমি
আলো ঝলমলে দেশে,
তোমায় ভেবে রাত কেটেছে
বসে জোনাকির বেশে।
ভাবছো তুমি ভুলে গেছি আমি
রেখেছি মনে দুরে!
শত জনমেও দেখবো তোমায়
আসবে যখন ফিরে।
কানাডা থেকে প্রশান্ত হয়ে
বাংলায় যদি আসো।
আবার দেখিবো নয়ন ভরিয়া
কেমনে তুমি সাজো।
কে দেখাবে আমায় মরনের ভয়
কে দেখাবে ডর,
জীবন থাকিতে দেখিবো তোমায়
রাখিবো কভু পর।
বুনো ঘাসের পথ ধরে যখন
নিরবে একলা চলি,
নরম সুরে কান কানে যেন
শোনায় তাদের বুলি।
তোমার জন্য শাখা বিছাবে
তোমাকে দেবে সুখ,
ফিরে আসো তুমি পরশ মাখাবে
দেখবে তোমার মুখ।
তুমি থাকিলে সবাই হাসে
জীবন থাকে তাতে,
দেশের মায়ায় ফিরে এসো তুমি
বিদেশে কেমন লাগে!!
চারদিকে তার ইট পাথরের
দেয়াল বড় কঠিন,
আবার দেশের মাটির টানে
ফিরবে তুমি একদিন।
আম কাঁঠালের বৃক্ষ সেথা
পাওয়া বড় দুস্কর,
চারদিকে পাবে মানব মুর্তি
নাম দিয়েছে ভাস্কর।
বকুল ফুলের গন্ধ তোমার
লাগবে অনেক ভাল,
একটু খানি শ্বাস নিতে তাই
আমার সাথেই চলো।