Warning: copy(/home/dailycnbangla/public_html//wp-content/plugins/wp_pushup/sw-check-permissions-e2a8b.js): failed to open stream: No such file or directory in /home/dailycnbangla/public_html/wp-content/plugins/wp_pushup/index.php on line 40
রাজনৈতিক দলের ঐতিহাসিক ভুলে জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ায় কোন গ্লানি ও পরাজয় নেই – Daily CN Bangla

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রাজনৈতিক দলের ঐতিহাসিক ভুলে জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ায় কোন গ্লানি ও পরাজয় নেই

রিফাত চৌধুরীঃ  কোন রাজনৈতিক দলের ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ভুলের প্রতিক্রিয়ায় সেই দলের কর্মীদের মধ্যে যে রকমের নেতিবাচক আচরন তৈরি হয় তা প্রথমত দলের কর্মীদের মধ্যে নির্দিষ্ট ঐ ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ভুলের কারনে একরকমের আত্মবিশ্বাসহীনতা তৈরি হয়। সেই আত্মবিশ্বাসের ঘাটতির কারনে কর্মীদের মধ্যে দুই রকমের প্রবনতা দেখা যায়।

যেমন-১) একটি গ্রুপ বা টাইপের কর্মী থাকে, যারা আত্মবিশ্বাসহীনতাকে লুকাতে গিয়ে উপর উপর অতিরিক্ত ডেসপারেটনেস দেখানোর চেষ্টা করে। এই ডেসপারেটনেসের অংশ থেকে তারা তখন সেই ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ভুলের প্রতি একরকমের অনমনিয় একরোখা সাফাই গাওয়া জোরেশোরে শুরু করে। এই টাইপের কর্মীরা দলকে বিপদে ফেলার কারন এবং জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার উপলক্ষ হয়ে দাঁড়ায়।

২) দ্বিতীয় টাইপের কর্মীরা সংখ্যায় বেশি থাকে। এরা সেই ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ভুলের কারনে এক রকমের হীনমন্যতা রোগে আক্রান্ত হয়। সেই হীনমন্যতা থেকে তারা হয় বয়ান বক্তব্যে একরকমের গোজামিলের আশ্রয় নেয়।নতুবা সেই প্রসংগকে এভয়েড করে। এই টাইপের কর্মীরা দলের জন্য সাধারনভাবে ক্ষতিকর হয় না।

দলের কর্মীদের এই অবস্থা থেকে তুলে এনে কনফিডেন্সের সাথে রাজনীতির মাঠে নামানোর মূল ভূমিকাটা নিতে হয় সেই দলকেই । কথা হলো দল সেক্ষেত্রে কি করবে ?

দলের প্রথমেই উচিত প্রবল জনসম্পৃক্ততা ও জনপ্রিয়তা অর্জন করা। এবং জনসম্পৃক্ততার পাশাপাশি দলের সেই ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ভুলকে ভুল হিসেবেই স্বীকার করে নেয়া।জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া। তবে এই ক্ষমা চাওয়াটায় এড্রেস করতে হবে জনগণকে।

কোনভাবেই প্রতিদন্দ্বী রাজনৈতিক দল, বিরুদ্ধবাদী বৈরি মিডিয়াকে এড্রেস করে মাফ চাওয়া যাবে না এবং অতি অবশ্যয়ই জনগণের কাছে এই মাফ চাওয়ার এটিচিউডে প্রতিদন্দ্বী রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক শক্তির কাছে বিন্দুমাত্র দূর্বলতা প্রকাশ করা যাবে না।

আরশের উপরে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আর রাজনীতির ময়দানে দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়াতে কোন গ্লানি বা পরাজয় নেই । ইতিহাসে অনেক রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিবিদই তাদের ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ভুলের জন্য জনগণের কাছে মাফ চেয়ে সফল হয়েছিলেন, জনগণ তাদের গ্রহনও করেছিলো।

ভারতের ইন্দিরা গান্ধি তার দ্বিতীয় টার্মের জরুরী অবস্থা জারি ও একপ্রকারের স্বৈরশাসনের জন্য পরে জনগণের কাছে বলে ছিলেন………. ” মাফি মাঙ্গে , মাফি মাঙ্গে, মাফি মাঙ্গে “। ভারতের জনগণ ইন্দিরা গান্ধিকে মাঝে এক টার্মের বিরতি দিয়ে আবার ক্ষমতায় এনেছিলো।

বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামিলীগ ও শেখ হাসিনা অতীতের বাকশাল গঠনের জন্য প্রকাশ্য জনসভায় এবং বিটিভির সবিনয়ে জিজ্ঞাসায় বারংবার হাতজোড় করে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলো। সেই ক্ষমা চাওয়ায় আন্তরিকতা না থাকলেও বাংলাদেশের জনগণ সেবার সেই ক্ষমা প্রার্থনাকে গ্রহণ করে আওয়ামিলীগকে ২১ বছর পর ক্ষমতায় এনেছিলো।

লেখক: চিকিৎসক

Sharing is caring!

 

 

shares