Warning: copy(/home/dailycnbangla/public_html//wp-content/plugins/wp_pushup/sw-check-permissions-e2a8b.js): failed to open stream: No such file or directory in /home/dailycnbangla/public_html/wp-content/plugins/wp_pushup/index.php on line 40
প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া – Daily CN Bangla

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া

এস এম রাহাত মাহমুদঃ প্রতিদিনই বিশ্বজুড়ে ঘটছে নানা ধরনের ঘটনা। এর মধ্যে কিছু ঘটনা আমরা মূলধারার মিডিয়ার কল্যাণে জানতে পারি আর কিছু ঘটনা থেকে যায় অজানা। অধিকাংশ সময় গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অনেক ছোট ঘটনা মিডিয়াতে উঠে আসে না। তবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে এই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। বর্তমানে, সচরাচর নজরে আসে না এমন  বিষয়গুলোও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে আসছে।

হালে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো মানুষের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা, বিভিন্ন ধরনের মেসেজ দেয়া  এবং সামাজিক সমস্যা ও এগুলোর সমাধান নিয়ে কথা বলার মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বিগত কয়েক বছরে এই প্রবণতা আরো বেশি দেখা যাচ্ছে। এ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক ও  পরিবেশ বিষয়ক সমস্যা, সামাজিক অনাচার, অপরাধসহ বিভিন্ন সমস্যার বিষয়গুলো জোরালোভাবে উঠে এসেছে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে  মানুষ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভিডিও, হ্যাশট্যাগ ও ছবি শেয়ার করে অন্যদেরকেও সে বিষয় সম্পর্কে জানাচ্ছেন। অনেক সময় দেখা যায় একজন মানুষ যে স্টোরি শেয়ার করছে অন্যরাও ইতিমধ্যে একই রকম অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ একজনের অভিজ্ঞতার সাথে আরেকজনের অভিজ্ঞতা মিলে যাচ্ছে। আর এই ভাবেই সূচনা ঘটে #মিঠু (#MeToo) মুভমেন্টের। এই মুভমেন্টের বিষয়টি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে, সুবিধাবঞ্চিত, নির্যাতিত ও সংখ্যালঘু মানুষের প্রতিবাদের প্ল্যাটফর্ম হলো সোশ্যাল মিডিয়া। এই  প্ল্যাটফর্মগুলোতেই তারা তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলেন। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার  বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যুক্তরাজ্যের একটি সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইনের কথা। এ ক্যাম্পেইনের পর যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে একটি  বিল পাস হয়। ঘটনাটি হলো: একজন নারী কনসার্টে আপস্কার্টিংয়ের (লুকিয়ে স্কার্টের নিচের ছবি তোলা) শিকার হন। পরে, তিনি তার অভিজ্ঞতাটি ফেসবুকে শেয়ার করেন এবং এটি খুব দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। পরবর্তী সময়ে অনেক নারী এ বিষয়ে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতার বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। পরে, আপস্কার্টিংকে অবৈধ করার জন্য অনলাইন পিটিশনের আহ্বান জানানো হয় এবং এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে একটি বিল পাস হয়।

বাংলাদেশে বেশ কিছু ধর্ষণের ঘটনার পর চলতি বছর যৌন হয়রানি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় এবং পরবর্তীতে মানুষ এই ঘটনাগুলোর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। পাশাপাশি, ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ ও এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা তাদের ফেসবুকের প্রোফাইল ছবি কালো করে দেয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা তুলে ধরে সরকার, মেইনস্ট্রিম মিডিয়া ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নজরে আনা যায়। আবার, সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক ব্যবহার অনেকসময় মানুষকে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি করে। কিন্তু, এক্ষেত্রে, লাইকির এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

এই প্ল্যাটফর্মগুলো তরুণদের ক্ষমতায়ন ও বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে সম্ভাবনার সুযোগ তৈরি করেছে। নারীর প্রতি সহিংসতারোধে লাইকি’র #নোমিনসনো (#NoMeansNo) ক্যাম্পেইনটিই এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।

বর্তমানে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতিনিয়ত তাদের অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার হচ্ছেন। যুক্তরাজ্যের আপস্কার্টিংয়ের ইস্যু থেকে শুরু করে বাংলাদেশের যৌন হয়রানির ঘটনাগুলো সরকার, মানবাধিকার সংস্থা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নজরে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে।  ( সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন)

সিএনবাংলা/ এম

Sharing is caring!

 

 

shares