সিএনবাংলা ডেস্ক:: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ২০ উপদেষ্টা ও স্পেশ্যাল এসিসট্যান্টের সম্পদ ও জাতীয়তার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের এসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে পাকিস্তান সরকারের কেবিনেট ডিভিশনের সরকারি ওয়েবসাইটে। এতে কমপক্ষে ৬ জন বিশেষ উপদেষ্টা বলেছেন, তাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে। এ ছাড়া অন্যদের সঙ্গে তারাও কোটি ডলার মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের ঘোষণা দিয়েছেন। এমন ঘোষণাকে বহু পাকিস্তানি সাধুবাদ জানিয়ে এর প্রশংসা করেছেন। তারা বলেছেন, এই ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জবাবদিহিতার প্রতিশ্রুতিই প্রদর্শন করে। এ ছাড়া তার সরকারের স্বচ্ছতার এক নতুন মানদন্ড স্থাপন করেছে। তবে বিরোধী দল থেকে উপদেষ্টাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে কড়া সমালোচনা করা হয়েছে।
ওই তালিকা অনুযায়ী, ইমরান খানের যে ৬ জন বিশেষ উপদেষ্টার দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে তারা হলেন, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দ জুলফিকার আব্বাস বুখারি। তিনি পাকিস্তান ও যুক্তরাজ্যের নাগরিক। জ্বালানি বিভাগ সম্পর্কিত উপদেষ্টা শাহজাদ কাশিম একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। পেট্রোলিয়াম বিষয়ক উপদেষ্টা নাদিম বাবর, রাজনৈতিক উপদেষ্টা শাহবাজ গিল- এই দুজনও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। পার্লামেন্টারি সমন্বয়ক উপদেষ্টা নাদিম আফজাল গোন্দাল কানাডার নাগরিক। ডিজিটাল পাকিস্তান বিষয়ক উপদেষ্টা তানিয়া এইদ্রুস জন্মসূত্রে কানাডার নাগরিক। শুরুতে এই তালিকায় ছিল ড. মুইদ ইউসুফের নাম। কিন্তু পরে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, তার যুক্তরাষ্ট্রে আবাসিক অনুমোদন আছে। তবে তিনি শুধু পাকিস্তানের নাগরিকত্ব বহন করেন। তিনি বলেছেন, আমি সরকারে বর্তমান দায়িত্ব নেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে যাই নি। যুক্তরাষ্ট্রে আমার এমন কোনো কাজ নেই, যেখান থেকে আয় করতে পারি। এ ছাড়া দেশের বাইরে আমার কোনো লাখ কোটি রুপির সম্পদও নেই।
কে বেশি ধনী
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সবচেয়ে সম্পদশালী স্পেশাল এসিসট্যান্ট হলেন পাওয়ার ডিভিশন ও মিনারেল রিসোর্স বিষয়ক সহকারী এসিসট্যান্ট শাহজাদ সৈয়দ কাশিম। তার সম্পদের পরিমাণ কমপক্ষে ৪০০ কোটি রুপির ওপরে। এরপরে রয়েছেন পেট্রোলিয়াম বিষয়ক উপদেষ্টা নাদিম বাবর। তার সম্পদের পরিমাণ ২৭৫ কোটি রুপির। বৈদেশিক বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দ জুলফিকার আব্বাস বুখারির নেট সম্পদের পরিমাণ ২০০ কোটি রুপির ওপরে।
উপদেষ্টাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের সম্পদের পরিমাণ সংক্ষেপে এরকম:
শাহজাদ কাশিম- ৪০০ কোটি রুপির ওপরে সম্পদ।
নাদিম বাবর- ২৭৫ কোটি রুপির সম্পদ।
জুলফিকার বুখারি- ২০০ কোটি রুপির ওপরে সম্পদ।
সরদার ইয়ার মুহাম্মদ রিন্ড- ৮১ কোটি ২০ লাখ রুপির সম্পদ।
তানিয়া এইদ্রুস- ৪৮ কোটি ১০ লাখের বেশি সম্পদ।
অসিম বাজওয়া- ১৫ কোটি ৮০ লাখ রুপির সম্পদ।
শেহজাদ আরবাব- ১২ কোটি ৭০ লাখ রুপির সম্পদ।
ড. মুইদ ইউসুফ- ১০ কোটি ৯০ লাখ রুপির সম্পদ।
উসমান দার- ৬ কোটি ২০ লাখ রুপির সম্পদ।
ড. জাফর মির্জা- ৫ কোটি রুপির সম্পদ।
ড. সানিয়া নিশতার- ১ কোটি ৪০ লাখ রুপির সম্পদ।
সিএনবাংলা/একেজে